খুলনার দুই পাটকল শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার দেখালো পুলিশ

বাংলাদেশ

খুলনা প্রতিনিধি
07 July, 2020, 03:55 pm
Last modified: 07 July, 2020, 04:17 pm
স্টার জুট মিলের শ্রমিক ও পাটশিল্প রক্ষা যুব জোটের আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান এবং প্লাটিনাম জুবিলি জুটমিলের শ্রমিক ও পাটশিল্প রক্ষা যুব জোটের উপদেষ্টা নূর ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। 

খুলনায় সদ্য বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের দুইজন শ্রমিক নেতাকে 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনী'র পরিচয়ে ধরে নেওয়ার ২০ ঘণ্টার মাথায় আগের একটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

সোমবার রাত পৌঁনে ১২ টার দিকে তাদের দৌলতপুর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। 

এর আগে গত রোববার মধ্যরাতে স্টার জুট মিলের শ্রমিক ও পাটশিল্প রক্ষা যুব জোটের আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান এবং প্লাটিনাম জুবিলি জুটমিলের শ্রমিক ও পাটশিল্প রক্ষা যুব জোটের উপদেষ্টা নূর ইসলামকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হলেও ঘটনার পর থেকে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। 

তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ওসি সৈয়দ মোশাররফ হোসেন জানান, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল পাটকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ থেকে নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ের পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা থানার এস আই শাহীনুর রহমান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে সকাল ১০টায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছেন। আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠান। 

এ বিষয়ে অলিয়ার রহমানের ছেলে নাইম শেখ বলেন, অবশেষে বাবাকে দেখতে পেলাম। বাবাকে তুলে নেওয়ার পর থেকে পুলিশ অস্বীকার করে যাচ্ছিল, তারা কিছু জানে না। আমরা বুঝতেই পারছিলাম না এটা কি রাজনৈতিক, না প্রশাসনিক কারণে হয়েছে। এখন তারা কিভাবে জানলো। এই দীর্ঘ সময় আমাদের কিভাবে কেটেছে  কেউ তা জানে না।

গণসংহতি আন্দোলন খুলনা  জেলা শাখার আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন,  সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দুই শ্রমিক নেতাকে গভীর রাতে তুলে নেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদের মিথ্যা মামলায় আটক ও কালক্ষেপণ করে একটি নাটক মঞ্চায়ন করেছে। সরকার জনরোষের ভয়ে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। এতে শ্রমিকদের পরিবারের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দ্রুত ওই শ্রমিক নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.