খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা আইনগত ব্যাপার: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ

বাসস
17 November, 2021, 09:50 pm
Last modified: 17 November, 2021, 09:54 pm
৭৫-এর বিয়োগান্তক অধ্যায় টেনে এনে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করার পরও তাঁর সরকার খালেদা জিয়াকে মানবতা দেখিয়েছেন বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার বাবা,মা, ভাই এমনকি ছোট্ট রাসেলকে পর্যন্ত হত্যা করেছে। তারপরও তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। কারণ আমরা অমানুষ নই।” 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হবে কি না, তা আইনগতভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, "খালেদা জিয়ার জন্য আমি আমার নির্বাহী ক্ষমতা বলে যা করতে পারি তাই করেছি, আইন পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে।"

৭৫-এর বিয়োগান্তক অধ্যায় টেনে এনে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করার পরও তাঁর সরকার খালেদা জিয়াকে মানবতা দেখিয়েছেন বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আমার বাবা,মা, ভাই এমনকি ছোট্ট রাসেলকে পর্যন্ত হত্যা করেছে। তারপরও তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। কারণ আমরা অমানুষ নই।" 

সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং লন্ডন ও ফ্রান্সে দুই সপ্তাহের সফর বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। 

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর মার্চে করোনাভাইরাসের কারণে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে কিছু শর্তে সাময়িক মুক্তি দেয়। শর্তানুযায়ী তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। 

তবে খালেদার বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার কথা থাকলেও তিন দফায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর একই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমার কাছে চান কীভাবে? খালেদা জিয়াকে যে বাসায় থাকতে এবং চিকিৎসা করার সুযোগ দিয়েছি সেটাই কি বেশি নয়?"

প্রধানমন্ত্রী বারবার তাঁকে হত্যা প্রচেষ্টায় খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উত্থাপন করে উল্টো প্রশ্নকারী সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন, "আপনাকে কেউ হত্যার চেষ্টা করলে আপনি কি তাকে ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন? বা আপনার পরিবারকে কেউ হত্যার পর বিচার না করে সেই খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরী দিয়ে পুরস্কৃত করতো তাহলে কি করতেন?"

এরপরও মানবিক দিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকতে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "অমানুষ নই দেখেই তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি, অন্তত সেই এক্সিকিউটিভ ক্ষমতা বলে, আমার হাতে যতটুকু রয়েছে। বাকীটা আইনগত ব্যাপার।"

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন অন্যান্যের মধ্যে গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.