'খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা অসহায় বোধ করছি'

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
28 November, 2021, 09:10 pm
Last modified: 28 November, 2021, 10:23 pm
ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা প্রয়োজন, সেটি দেশে সম্ভব নয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশ তো বটেই, সিংগাপুর-ব্যাংককেও এ ধরনের চিকিৎসা নেই।

লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক সান্ট (টিআইপিএস) করানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক।

সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় এক ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশ বা সিঙ্গাপুর-ব্যাংককেও এর চিকিৎসা নেই।

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রক্তক্ষরণে ভুগছেন বলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার 'ট্রান্সজুগুলার ইনট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস)' চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মিডিয়াকে ব্রিফ করার সময় মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, 'এটি তার জন্য একমাত্র জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা। কিন্তু প্রযুক্তিটি ভারতীয় উপমহাদেশে, এমনকি ব্যাংকক বা সিঙ্গাপুরেও পাওয়া যায় না।'

টিআইপিএস হলো লিভারের মধ্যে একটি কৃত্রিম চ্যানেল, যা ইনফ্লো পোর্টাল শিরা এবং আউটফ্লো হেপাটিক শিরার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে।

তিনি আরও বলেন যে, খালেদার সাম্প্রতিক গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রক্তক্ষরণগুলোর উৎস স্পষ্ট ধারণা করতে পারছেন না বলে ডাক্তাররা অসহায় বোধ করছেন।

খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস হয়েছে হয়েছে জানিয়ে এই চিকিৎসক জোর দিয়ে বলেছেন যে, চিকিৎসার জন্য তাকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠানো উচিত। 

ফখরুদ্দিন সিদ্দিকী আরও বলেন যে, খালেদার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কয়েকবারই কমে গেছে। এছাড়াও তার বেশ কয়েকবার রক্তবমি হয়েছে।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার তিন দফায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। তৃতীয়বার রক্তক্ষরণ অনেক বেশি ছিল বলে জানান ফখরুদ্দিন সিদ্দিকী। তবে আজ রক্তক্ষরণ হয়নি। 

ফখরুদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, আগামী সপ্তাহে খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হওয়ার আশঙ্কা ৫০ শতাংশ এবং ৬ষ্ঠ সপ্তাহে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমতো দেশের সবচেয়ে সেরা চিকিৎসকদের দিয়ে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা করে যাচ্ছি। কিন্তু তার যে চিকিৎসাটি প্রয়োজন, সেটি দেশে সম্ভব নয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশ তো বটেই, সিংগাপুর-ব্যাংককেও এ ধরনের চিকিৎসা নেই। এটি বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি অ্যাডভান্সড সেন্টারেই অত্যন্ত দক্ষ কয়েকজন চিকিৎসক করে থাকেন।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.