করোনায় মৃত্যুতে নিজ গ্রামের শ্মশানে মেলেনি যুবকের ঠাঁই! 

বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
01 August, 2021, 10:10 am
Last modified: 01 August, 2021, 10:15 am
দীর্ঘক্ষণ মরদেহ শ্মশানে রাখা হলেও গ্রামের কেউই এগিয়ে আসেনি সৎকারকাজে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের বাসিন্দা সুমন আচার্যের (৩৮) নামে সৎকার করা যায়নি তার নিজ গ্রামে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালে মারা যান তিনি। সুমন ফান্দাউক গ্রামের বিনয় আচার্যের ছেলে। সৎকারের জন্য লোকজন এগিয়ে না আসায় সুমনের শ্বশুরবাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তার সৎকার করা হয়েছে।

মৃতের পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালে মারা যান সুমন। সৎকারের জন্য রাত দুইটার দিকে তার মরদেহ ফান্দাউক গ্রামের শ্মশানে নিয়ে আসেন সঙ্গে থাকা দুই স্বজন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ মরদেহ শ্মশানে রাখা হলেও গ্রামের কেউই এগিয়ে আসেনি সৎকারকাজে। ফলে ফান্দাউক গ্রামে সৎকার করতে না পেরে সুমনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার শ্বশুরবাড়ি শ্রীমঙ্গলে। সেখানকার একটি শ্মশানে শনিবার (৩১ জুলাই) তার সৎকারকাজ সম্পন্ন হয়।

ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলমগীর শাহ বলেন, "সুমনের সৎকারের বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি। তবে করোনার ভয়ে লোকজন না আসায় তাকে গ্রামের শ্মশানে দাহ করা যায়নি"।

সুমনের নিকটাত্মীয় রনি আচার্য জানান, "স্থানীয়ভাবে সাড়া না পাওয়ায় শ্রীমঙ্গলের সৎকার কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রীমঙ্গল পৌর শ্মশানে সুমনের সৎকার সম্পন্ন করা হয়"।

শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সৎকার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু লাল রায় জানান, "সুমনের স্বজনরা জানিয়েছেন করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে নিজ এলাকায় তার সৎকারে লোকজন এগিয়ে না আসায় মরদেহ এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে সৎকার কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে সুমনের মরদেহের সৎকারকাজ সম্পন্ন করা হয়"।  
 
 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.