করোনায় দেশে ২৬ জনের মৃত্যু, ৪ মাসে সর্বনিম্ন

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
20 September, 2021, 06:15 pm
Last modified: 20 September, 2021, 09:22 pm
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে; বিগত ১১৬ দিনের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। একদিনে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৫৫৫ জনের দেহে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে; গত চার মাসে যা সর্বনিম্ন। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের কারণে গত দুইমাস টানা শতাধিক মৃত্যু হলেও গত তিন সপ্তাহ থেকে তা কমেছে।

গত এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ২৭ হাজার ২৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডজনিত কারণে।

গত এক বছরে দেশে যতো মানুষ করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে।

মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ১ হাজার ৫৫৫ জনের দেহে।

এর আগে গত ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছিল।

মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৮ জনে। গত বছর থেকে দুইটি আলাদা ওয়েভে দেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণ দেখা গেলেও চলতি বছরের জুনের প্রথমার্ধ থেকেই করোনা শনাক্তের পরিমাণ ব্যাপকহারে বাড়তে শুরু করে। তবে বর্তমানে শনাক্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।

বিগত কয়েক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে কমতে কমতে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪৩১টি কোভিড পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৬৭ জনের মধ্যে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর এর মতে, কোনো এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার ১০ শতাংশের বেশি হলে সেটিকে 'উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ', ৫-১০ শতাংশের মধ্যে হলে 'মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ' এবং ৫ শতাংশের নিচে হলে 'স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  
 
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাস বিষয়ে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত দেড় বছরে মোট ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭ টি নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও নারী ১৫ জন।

অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীদের প্রায় দ্বিগুণ।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৫১৬ জন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৩ হাজার ১০৬ জন সেরে উঠলেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সে বছরের ১৮ মার্চ। চলতি সেপ্টেম্বরে রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ পেরিয়ে গেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু রেখেছে সরকার।

ভাইরাসটির মোকাবিলায় ফেব্রুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করে সরকার। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হলেও ভারত ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এই কর্মসূচী অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে চীন থেকে আনা সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিন বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভির বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া ফাইজার ও মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে এ কর্মসূচি চলছে। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.