কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যু, প্রার্থীসহ আহত ৭
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজারে দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সংঘর্ষে একজন মেম্বার পদপ্রার্থীসহ আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
খুরুশকুল ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল আমিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "১ নং ওয়ার্ডের দুই মেম্বার প্রার্থী শেখ কামাল ও আবু বক্কর ছিদ্দিকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শেখ কামালের কর্মী পুতু মারা গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৬ থেকে ৭ জন।"
তিনি আরও বলেন, "এই ইউপির আরো তিনটি কেন্দ্র অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মনুপাড়া, ডেইল পাড়া ও গাজীর ডেইল কেন্দ্রে প্রশাসনের অবস্থান আরো বেশি নিশ্চিত করা দরকার; নতুবা যেকোনো মুহুর্তেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।"
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রার্থী শেখ কামালের লোকজন ব্যালট ছেঁড়ার জন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করলে আবু বক্কর ছিদ্দিকের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাদের দুপক্ষই ধারালো অস্ত্রে নিয়ে সংঘর্ষ চালায়। পরে উভয়পক্ষই ফাঁকা গুলি ছুড়ে কেন্দ্র ভোটারশূন্য করে দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কক্সবাজারের উপ সচিব (ডিডিএলজি) শ্রাবস্তী রায় বলেন, "দুপক্ষের সংঘর্ষে কেউ মারা গেছে কিনা জানি না। তবে কয়েকজন আহত হওয়ায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।"
তিনি আরো বলেন, "বর্তমানে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রে কোন ভোটার নেই। ভোটার আসলে পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হবে।"
র্যাব-১৫'র কক্সবাজার কর্মকর্তা মেজর মেহেদী হাসান বলেন, "আহতদের নিয়ে র্যাবের একটি টিম কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পুতুকে মৃত ঘোষণা করেন।"
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।