কক্সবাজারে চালু হলো দেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ ‘ফ্লাই ডাইনিং’ 

বাংলাদেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
01 December, 2021, 11:30 am
Last modified: 01 December, 2021, 01:01 pm
২০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন রেস্টুরেন্টটিতে খেতে জনপ্রতি খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা (খাবারসহ)।

কক্সবাজার সৈকতে যাত্রা শুরু করেছে 'ফ্লাই ডাইনিং' নামের একটি ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বের) সন্ধ্যায় সৈকত পাড়ের সুগন্ধা পয়েন্টে এ রেস্টুরেন্টটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান। শূন্যে ভেসে এখানে নানান স্বাদের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন যে কেউ।

উদ্বোধনীতে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) মো. মুসলেম উদ্দিন, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান ও ফ্লাই ডাইনিং রেস্টুরেন্টের কর্ণধার নবাব ফয়েজ আবু বক্কর খান প্রমুখ।

ছবি-সংগৃহীত

উদ্বোধনীতে জানানো হয়, সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অত্যাধুনিক ক্রেনের সাহায্যে সৈকতের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬০ ফুট উঁচুতে এ রেস্টুরেন্টে থাকবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। এতে মেঘের রাজ্যে বসে আপ্যায়িত হওয়ার এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন পর্যটকরা। আধুনিক জগতের এমন ব্যতিক্রম আয়োজন পাল্টে দিবে কক্সবাজারের পর্যটনের আবহ।

'ফ্লাই ডাইনিং' নির্মাণ করেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠন 'ইউর ট্রাভেলস লিমিটেড'।

ছবি-সংগৃহীত

সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল সী প্রিন্সেসের পাশের প্লটে দৃষ্টিনন্দনভাবে বসার পর্যাপ্ত স্থান রেখে চালু করা হয়েছে রেস্তোরাঁটি। রেস্তোরাঁর পশ্চিম পাশের খালি স্থানে বসানো আছে একটি ক্রেন। বিশেষ পাটাতনে ২০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন চেয়ার, টেবিল ও উপরে ছাতার মতো এক ধরনের ছাদ দিয়ে চারপাশ খোলা রাখা হয়েছে। এ্যালুমিনিয়াম ও স্টীলের সমন্বয়ে তৈরী তার ক্রেনটির মাথায় লাগিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে সেই পাটাতনের চারপাশ। মাটিতে থাকা রান্নাঘরে পছন্দমতো খাবারের অর্ডার করে উড়ন্ত পাটাতনে পরিবেশনের সুবিধা নিতে পারছেন যে কেউ।   

ছবি-সংগৃহীত

আয়োজকরা জানান, ২০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন 'ফ্লাই ডাইনিং' রেস্টুরেন্টটি মাটি থেকে সৈকতের আকাশে ১৬০ ফিট ওপরে চতুর্দিক ঘুরতে ঘুরতে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করবে। এসময় আকাশ থেকে উপভোগ করা যাবে সৈকত ও আশপাশের দৃশ্যও। এতে জনপ্রতি খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা (খাবারসহ)। পাটাতনে ওঠা, আকাশে উড্ডয়ন এবং অবস্থান ও নেমে আসার সময়সহ প্যাকেজের পরিধি এক থেকে দেড় ঘণ্টা। বিনোদন ও খাবারের ব্যবস্থাপনায় থাকছেন দেশের বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী টনি খান। 

উদ্বোধনী দিনে শূন্যে ভেসে খাবার উপভোগ করা জসিম উদ্দিন, তুষার তুহিন, আবদুল আজিজসহ বিভিন্ন পর্যটক এককথায় জানিয়েছেন, এ এক অন্যরকম অনুভূতি। পাটাতনের চেয়ারে বিমানের মতো সিট বেল্টে প্রথমে আটকানো হয়। যাত্রার শুরুতে একটু ভীতি কাজ করলেও উপরে ওঠার পর আনন্দে সব ভুলে যান তারা। উপর থেকে পুরো সৈকতে এবং কক্সবাজারের পাহাড় ও ভবনগুলো বিমোহিত দৃশ্যে ধরা দেয়। এটা পর্যটনে বিনোদনের জন্য নতুন সংযোজন হিসেবে গণ্য হবে বলে তাদের মত।   
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.