ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিতে আদালতের নির্দেশ

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
30 June, 2021, 10:45 am
Last modified: 30 June, 2021, 10:50 am
প্রদীপ ও তার স্ত্রীর এসব সম্পদ হলো- চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটায় থাকা ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, একটি কার ও একটি মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট। 

মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর চুমকি কারণের নামে থাকা সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিয়ে রিসিভার নিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের আদালত পরিদর্শক এমরান হোসেন।

তিনি জানান, গত বছরের আগস্টে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর চুমকি কারণের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করে। প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি ইতিপূর্বে আদালত ক্রোক করেছেন। গতকাল দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন রিসিভার নিয়োগের জন্য আদালতে আবেদন করেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিয়ে রিসিভার নিয়োগের জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।

প্রদীপ ও তার স্ত্রীর এসব সম্পদ হলো- চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটায় থাকা ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, একটি কার ও একটি মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নির্দেশে প্রদীপ, তার স্ত্রী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রদীপসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর অসুস্থতার কথা বলে থানা থেকে ছুটি নিয়ে চলে যান প্রদীপ। তিনি চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকেন। সেখান থেকে ৬ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তারপর থেকে প্রদীপ কারাগারে আছেন। সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে রোববার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.