একদিনে প্রাণ গেল রেকর্ড ১১২ জনের

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
19 April, 2021, 04:40 pm
Last modified: 19 April, 2021, 05:02 pm
এ পর্যন্ত দেশে ১০ হাজার ৪৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডজনিত কারণে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে বাংলাদেশে আরও ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে; মহামারি শুরুর পর থেকে যা একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গত তিন দিনই দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। গত এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১০ হাজারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে। এ পর্যন্ত দেশে ১০ হাজার ৪৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডজনিত কারণে।

মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ৪ হাজার ২৭১ জনের দেহে। মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ এ। সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভে গত কয়েক দিন ধরেই ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। তবে লকডাউনের কারণে পরীক্ষা কমে যাওয়ার সঙ্গে কমেছে শনাক্তের সংখ্যাও।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাস বিষয়ে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৪ হাজার ১৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তবে মোট ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ২১৯ টি নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় গত এক বছরে সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। 

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৫ জন নারী ৩৭ জন।

অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীদের অন্তত তিনগুণ বেশি। 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ হাজার ৩৬৪ জন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৬ লাখ ২১ হাজার ৩০০ জন সেরে উঠলেন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে।  

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সে বছরের ১৮ মার্চ। 

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু রেখেছে সরকার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী গত বুধবার থেকে সারা দেশে আট দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে মানুষের দেহে প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করতে সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এক নজরে বাংলাদেশের করোনা চিত্র: 

  • মোট শনাক্ত: ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জন 
  • মারা গেছেন:  ১০ হাজার ৪৯৭ জন 
  • মোট সুস্থ: ৬ লাখ ২১ হাজার ৩০০ জন   
  • মোট নমুনা পরীক্ষা: ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ২১৯টি 
     

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.