ঈদের ২য় দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের উভমুখী চাপ 

বাংলাদেশ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
22 July, 2021, 01:20 pm
Last modified: 22 July, 2021, 01:30 pm
আগামীকাল থেকে আবারও কঠোর লকডাউন শুরু হতে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল হতেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি ও লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ দেখা দিয়েছে ।

লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঈদ উদযাপনের পরদিনই রাজধানীসহ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। আবার ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে না পারা যাত্রীরা ফিরছে বাড়িতে। এতে বৃহস্পতিবার সকাল হতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি ও লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ দেখা দিয়েছে । তবে বাড়ি ফেরা মানুষের চাইতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। 

এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ সারি দৃশ্যমান। বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, ঘাটে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী  মিলিয়ে ৫ শতাধিক গাড়ি পদ্মাপারের অপেক্ষায় আছে। অন্যদিকে লঞ্চে ভোগান্তি ও চাপ কিছুটা কম। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া মাজিরকান্দি নৌরুটে ৮৪টি লঞ্চে উভয় যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার করছে। 

যাত্রীদের একজন বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আফজাল হোসেন জানান, "ঢাকার মিরপুরে যাব। পরিবার নিয়ে ঈদ করতে খুলনা গিয়েছিলাম। বাকিদের সবাইকে রেখে আসছি লকডাউনের কারণে। কিন্তু ব্যাংক খোলা, তাই আমাকে তো ঢাকায় ঢুকতে হবে"।

ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বলেন, "গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর এ গিয়েছিলাম কোরবানি দিতে। এখন ঢাকায় যাচ্ছি উত্তরায়"।  

সেলিনা আফরোজ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত; সপরিবারে ঈদ করতে গিয়েছিলেন বাগেরহাটে। তিনি বলেন, "সচরাচর গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না, কোরবানি উপলক্ষেই সপরিবারে প্রতিবছর যাই। লকডাউনের জন্য তড়িঘড়ি করে ঢাকার জিগাতলায় ফিরছি"।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোঃ ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি মিলিয়ে ৪ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রী এবং মোটরসাইকেলের চাপ রয়েছে ফেরিগুলোতে।

তিনি আরো জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতে নৌরুটে ফেরি চলাচলে বেশি সময় আর ঘাটে থাকা যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।  
 
 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.