ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা একে অপরকে রাজাকার বলছে: কাদের

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
27 October, 2021, 09:20 pm
Last modified: 27 October, 2021, 09:22 pm
তিনি বলেন, এতে প্রার্থী বাছাইয়ে ‘দুর্বিষহ অবস্থা’র সৃষ্টি হয়েছে। অফিসে অভিযোগের স্তুপ জমা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা একে অপরকে রাজাকার বা রাজাকারের পরিবারের সদস্য আখ্যা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এতে প্রার্থী বাছাইয়ে 'দুর্বিষহ অবস্থা'র সৃষ্টি হয়েছে। অফিসে অভিযোগের স্তুপ জমা হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত 'করোনকালীন শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে শেখ হাসিনার ভূমিকা' শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা একে অপরকে রাজাকার আখ্যা দিচ্ছে। বলা হচ্ছে রাজাকারের সন্তান, অথবা রাজাকারের নাতি, অথবা রাজাকারের নাতির ঘরের লোককে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।

"অথবা শান্তি কমিটির নেতা ছিল তাঁর (প্রার্থীর) দাদা। এই হচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একে অপরের বক্তব্য। অভিযোগে অফিস স্তুপ হয়ে গেছে। আমরা অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভুল যে হয় না, তা নয়। আমরাও তো মানুষ। এখানে ভুলও হতে পারে।"

তিনি বলেন, "কিন্তু দূর্ভাগ্য হলো আমাদের জনপ্রতিনিধিরা যে কারা, তারা জনগণের প্রতিনিধি না খুঁজে, নিজের লোক খুঁজে। নিজেদের পকেটের লোক খুঁজে, জনগণের প্রতিনিধি খুঁজে না।"

তিনি আরও বলেন, "রাজনীতিবিদরা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করি, না জনগণের জন্য করি, সেটা দেখার বিষয়। এই করোনাকালেও শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, তিনি নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি জনগণের জন্য রাজনীতি করেন।"

"আমরা রাজনীতিতে শেখ হাসিনাকে যদি অনুসরণ করতে পারতাম তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ আগেই গড়ে তুলতে পারতাম", বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়েও বিরোধিতা করেন তিনি। 

তিনি বলেন, "ব্যবসায়ীদের রাজনীতি করার বিরুদ্ধে আমি। আর রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে যারা ব্যবসা করে, তাদেরকে আমি ঘৃণা করি। তবে আমি এটাকে ডিসকারেজ করছি না। কিন্তু ব্যবসায়ী রাজনীতি করতে আসলে রাজনীতিও হয় না আবার ব্যবসাও হয় না।"

আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির চেয়্যারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী।

ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সাবেক সভাপতি এবং স্টার্লিং গ্রুপের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস-চেয়্যারমান ও এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন এবং এফএফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.