আবারও রাবির প্রশাসন ও উপাচার্য ভবনে তালা দিল বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্তরা

বাংলাদেশ

রাজশাহী প্রতিনিধি
19 June, 2021, 02:15 pm
Last modified: 19 June, 2021, 02:18 pm
গত ৬ মে উপাচার্য হিসেবে শেষ কার্যদিবস পালন করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মেয়াদের শেষ দিনেই অ্যাডহকে নিয়োগ দেন ১৪১ জনকে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।

নিজ নিজ দপ্তরে যোগদানের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন ও  উপাচার্য ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

শনিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন। বেলা ১১টার সময়ও তাদের কর্মসূচি চলছিল। এর আগেও কয়েক দফায় প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছেন তারা। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টায় প্রশাসনের  আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির মিটিং ছিল। এছাড়াও ২২জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। 

তাদেরকে কাজে যোগদানের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকাণ্ড চলতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারী মতিউর রহমান মর্তুজা বলেন,  "আমরা নিজ দপ্তরে যোগদানের দাবিতে অবস্থান নিয়েছি। যতদিন যোগদান করতে না পারবো, ততোদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। রুটিন উপাচার্য আমাদেরকে কাজে যোগদান করতে না দিয়ে নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।  তিনি অর্থ কমিটির সভা, সিন্ডিকেট সভা করছেন। এটি হতে দেওয়া হবে না।"

আন্দোলনকারীরা ১২টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে রুটিন ভিসি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার বাসভবনে অবস্থান নেয়। ভিসির বাসভবনে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম অবস্থান করছিলেন। আন্দোলনকারীরা অর্থ কমিটির সভা হওয়ার আশঙ্কায় সেখানে অবস্থান নেন।পরে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার রুটিন ভিসির বাসভবনে থেকে নিজ বাড়িতে চলে গেলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

এসময় আনন্দ কুমার সাহা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "নিয়োগ দেওয়া বা আটকে রাখার এখতিয়ার আমার নেই৷ শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমার হাত বেঁধে দিয়েছে।  আমি আবার মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেবো,"

গত ৬ মে উপাচার্য হিসেবে শেষ কার্যদিবস পালন করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মেয়াদের শেষ দিনেই অ্যাডহকে নিয়োগ দেন ১৪১ জনকে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।

'বিতর্কিত' এই নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে ওইদিন সন্ধ্যায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করে গত ২৩ মে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। এতে এ নিয়োগকে 'অবৈধ' উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিটি এ নিয়োগে বিদায়ী উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.