অভিজিৎ হত্যা মামলার রায় আজ
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায় আজ (মঙ্গলবার) ঘোষণা করা হবে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার উগ্রপন্থি ছয় আসামির সবার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি বলেই তাদের বিশ্বাস।
মামলার আসামিরা হলেন- সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস্), আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ এবং উগ্রপন্থি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী।
আসামিদের মধ্যে ফারাবী ছাড়া বাকি সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য। জিয়া ও আকরাম পলাতক আছেন, বাকি সবাই কারাগারে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম সারোয়ার খান (জাকির) বলেন, 'আমরা আসামিদের যুক্তিতর্কের জবাব দিয়েছি। এই মামলায় তিন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অভিজিৎকে তারা কীভাবে হত্যা করেছে, তার সব বর্ণনা জবানবন্দিতে আছে। অন্যান্য সাক্ষী ও আসামিদের জবানবন্দি— সব মিলিয়ে এই আসামিরা যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তা আদালতে তুলে ধরেছি। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছি।'
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, 'আসামিদের সাজা দেওয়ার মতো তেমন কোনও এভিডেন্স আসেনি। আমরা আসামিদের খালাস দাবি করেছি। বাকিটা আদালত বিবেচনা করবেন, খালাস দেওয়া যাবে কী যাবে না।'
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।