উত্তরবঙ্গের ১০০ বছরের জমজমাট পশুর হাট

ফিচার

18 March, 2022, 07:10 pm
Last modified: 18 March, 2022, 07:33 pm
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তালগাছির পশুর হাটটি প্রায় একশ বছরের পুরনো। উপজেলার প্রখ্যাত সমাজসেবী মরহুম আবু ইসহাক মিয়া ১৯২০-এর দশকে ৩০০ টাকায় হাটটির ইজারা নেন।

বিরাট এক ময়দানে সারি সারি গরু, ঘোড়া, ছাগল ও ভেড়া। ময়দানে নানা বয়েসি মানুষের আনাগোনা। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ব্যাপারী ও খরিদ্দারদের সংকোচহীন দরাদরি, অনবরত পশুর ডাক, ময়দানের ভেতরই কয়েকটি ভাতের হোটেল। হাটের পাশ দিয়ে ট্রাক-পিকাপভ্যান-লছিমন-করিমনের বড় বড় সারি, হাটজুড়ে গমগম আওয়াজ। সিরাজগঞ্জের বিখ্যাত তালগাছির পশুর হাটের চিত্র এটি।

১০০ বছরের প্রাচীন এই তালগাছির হাটের কথা বলার সময় সবাই-ই একে 'উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ পশুর হাট' বলছেন। 

আবু ইসহাক মিয়া ও তালগাছির হাটের ইতিহাস 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তালগাছির পশুর হাটটি প্রায় একশ বছরের পুরনো। উপজেলার প্রখ্যাত সমাজসেবী মরহুম আবু ইসহাক মিয়া ১৯২০-এর দশকে হাটটির ইজারা নেন। 

এর আগে হাটটি ঠাকুর জমিদারদের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হত। 

ইসহাক মিয়া হাটের পত্তনি গ্রহণ করার পর থেকে হাটের খ্যাতি ও জাঁকজমক বাড়তে থাকে। ইসহাক মিয়ার চতুর্থ সন্তান হাজি রফিকুল আলম, স্থানীয় গবেষক ও সাহিত্যানুরাগী আশরাফ খান হাটের ব্যাপারে এসব তথ্য জানান। 

ইসহাক মিয়ার বাবা প্রয়াত মোকিমুদ্দিন সরকার শাহজাদপুরের ঠাকুর জমিদারদের ম্যানেজার ছিলেন। মোকিমুদ্দিনের মৃত্যুর পর ইসহাক নানাবাড়িতে বড় হন। নানার মৃত্যু হলে ইসহাক আর পড়াশোনা চালাতে পারেননি। এরপর তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। 

শুভাকাঙ্ক্ষীরা ইসহাককে জমিদারের সাথে দেখা করে তালগাছি হাট ইজারা নেওয়ার পরামর্শ দেয়। তিনি ইলিশ মাছ, ঘি-মিষ্টি ও নান রকম উপঢৌকন নিয়ে জমিদারের সাথে দেখা করেন। এস্টেটের ম্যানেজার ও বাবু সন্তুষ্ট হলে তাকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে তালগাছির হাট ৫ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।

এটি ছিল ইসহাক মিয়ার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। 

দেশভাগের আগ পর্যন্ত তিনি হাটের পত্তনি গ্রহণ করতেন। সারা জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে তিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। 

হাট ইজারা নেওয়ার পর হাটের বিস্তৃতি ও প্রসারে তিনি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। হাট থেকে উদ্বৃত্ত যে টাকা আসত তার একটি বড় অংশ তিনি জনকল্যাণে ব্যয় করতেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে হাটে ব্যাপারীদের আগমন ঘটতে থাকে। 

গবেষক ও ইতিহাস অনুরাগী আশরাফ খান জানান, পাকিস্তান আমলে তালগাছির গরুর হাট ছিল একচ্ছত্রভাবে বৃহত্তর পাবনা জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট।

হাটটিকে রমরমা করে তোলার পেছনে বড় অবদান ছিল ইসহাক মিয়ার। তিনি সবার বিশ্বাসের মধ্যমণি ছিলেন। একহাতে পুরো হাট নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার কাছে বহিরাগত ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিজেদের পুঁজি আমানত রাখত। তিনি টাকার থলিতে নাম লিখে একটি সিন্দুকে সেগুলো রেখে দিতেন। ফেরত চাইতে এলে নাম দেখে থলি ফেরত দেওয়া হত। 

হাটে তোলা ভেড়া ও ছাগলের একাংশ।

দেশভাগের পরে পাকিস্তান সরকার জমিদারদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। তালগাছি হাটের ইজারার দায়িত্ব ও স্বত্ব সরকার নিজের কাঁধে তুলে নেয়। পাঁচ বছরের পরিবর্তে ফি বছর ডাকের প্রচলন করা হয়। ইসহাক মিয়া পাকিস্তান আমলেও হাটের ইজারা গ্রহণ করেন। 

স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম দৌলত জানান, 'পাকিস্তান পিরিয়ডে ইজারা ভাগ হওয়া শুরু হয়। ইসহাক মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হাটের ইজারা গ্রহণ করতেন। বারো আনা স্বত্ব ইসহাক মিয়া নিতেন, চার আনা বাকিদের দিতেন।'

ইসহাক মিয়া ১৯৭২ সালে শেষবারের মতো তালগাছির হাটের ইজারা নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে হাটে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়া শুরু করে। হাটে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটে। ১৯৭৩ সালে ৮৫ বছর বয়সে ইসহাক মিয়া মারা যান।

এখনও রমরমা হাট

বৃহত্তর তালগাছির হাটে বর্তমানে কয়েক জাতের গরু, ছাগল, দেশীয় সব জাতের ভেড়া, মহিষ, ঘোড়া বিক্রি হয়।

প্রতি সপ্তাহের রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে হাট শুরু হয়। দশটা-এগারোটায় হাট থাকে পুরো জমজমাট। দুপুর দুইটার পর থেকে হাট ভাঙা শুরু হয়। বিকাল পাঁচটা-ছয়টার ভেতর পুরো হাট ভেঙে যায়। 

গ্রামের প্রান্তিক চাষী বা খামারিরা বাছুর কিনে খাইয়ে-দাইয়ে বড় করে হাটে বিক্রি করতে আসে। অনেকসময় খামারিদের বাড়ি থেকে ব্যাপারীরা গবাদিপশু কিনে নিয়ে আসে। ছোট ব্যাপারীদের কাছ থেকে সেগুলো বড় ব্যাপারীরা কিনে নেয়। হাটে বড় ব্যাপারীদের প্রত্যেকের নিজস্ব গরু বাঁধার জায়গা থাকে। সে জায়গাগুলোর নাম 'ডোগা'। বাঁশের খুঁটি পুঁতে বাঁশের ফালি চওড়াভাবে বেঁধে একেকটি ডোগা তৈরি করে।

৩৭ বছর ধরে হাটে বেচাকেনা করেন ব্যাপারী সিরাজউদ্দিন। তিনি জানান, কয়েক হাত ঘুরে গরু হাটে ওঠে। এ কারণে সরাসরি খামার থেকে গরু কিনলে দাম খানিকটা কম পড়ে। তবে খামারিদের কেউ কেউ সিরাজউদ্দিনের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। তারা মনে করেন, হাটেই গরুর প্রকৃত দাম পাওয়া যায়। কেউ কেউ অভিযোগের সুরে জানান, অসাধু দালালের জন্য তারা গরুর ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন।

দালালরা ব্যাপারীর মতো পুঁজি নিয়ে গরু কিনতে নামেন না। তারা হাটের দিন যে খামারিরা অল্প গরু নিয়ে আসেন তাদের কাছে গিয়ে প্রস্তাব দেন যে তারা খামারিদের কাঙ্ক্ষিত মূল্যে গরু বিক্রি করে দেবেন, বিনিময়ে তাকে কিছু টাকা দিতে হবে বা বিক্রির পরে খামারির চাওয়া দাম তাকে মিটিয়ে দিয়ে উদ্বৃত্ত অংশ দালাল নিজের ট্যাঁকে গোঁজে। 

দালালদের উৎপাত বন্ধে হাট কর্তৃপক্ষ প্রায়ই নানা রকম উদ্যোগ নেয়। কিন্তু অনভিজ্ঞ ক্রেতারা বারবারই দালালদের খপ্পরে গিয়ে পড়ে।

 

হাটের এখনকার ইজারা ব্যবস্থা

ইসহাক মিয়ার পর থেকে সাধারণত জনপ্রতিনিধিরাই হাটের ইজারা বা কর্তৃত্ব লাভ করেছেন। অবশ্য ইসহাক মিয়ার মতো কেউ কয়েক যুগ টানা ইজারা নিতে পারেননি।

তালগাছি হাটটি গাড়াদহ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। হাটের বর্তমান ইজারাদার গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। 

সাইফুল জানান, 'দিন দিন হাটের দাম বাড়ছেই। মাননীয় জেলা প্রশাসকের অফিস হাটের ওপেন টেন্ডার ছাড়ে। কয়েকজন শিডিউল জমা দেয়। তার ভেতর থেকে একজন ক্যান্ডিডেট ইজারা লাভ করেন।'

গত বছর হাটের দাম উঠেছিল প্রায় ৮৬ লাখ টাকা। এবার সেটি ৯০ লাখ টাকা ছাড়াতে পারে বলে জানান সাইফুল।

বছরের ৫২ সপ্তাহে ৫২টি হাটের বিক্রিবাট্টার হিসাব করে হাটের টেন্ডার ছাড়া হয়। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের মধ্যে হাটের ডাক বা টেন্ডার শেষ করার নিয়ম। সাধারণত একজন ব্যক্তির নামেই হাট ধরে আনা হয়। মাঝেমাঝে কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট গঠন করে ইজারা নেয়।

এবছর হাটের শিডিউল তুলেছে প্রায় ২৮ জন। যিনি হাটের কর্তৃত্ব লাভ করবেন তিনি কয়েকজনের মধ্যে সেটি ভাগ করে দেবেন। তারা ক্রেতার কাছ থেকে গরুপ্রতি ৫০০-৭০০ টাকার বিনিময়ে হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। গরুর যাচাইকরণসহ ক্রেতা-বিক্রেতার নানামুখী সমস্যার সমাধানও করেন তারা। 

সবচেয়ে বেশি চাহিদা যেসব পশুর

তালগাছির হাটে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গরু। তারপর ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও ঘোড়া। 

গরুর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের চাহিদা বেশি। দুধেল ও গাভিন বা গর্ভবতী গরুর দাম বেশি হয়। 

এ হাটে খামার করার জন্য বা লালন-পালনের উদ্দেশ্যে গরু কিনতে আসা ক্রেতার সংখ্যাই অধিক। খামারিদের প্রথম পছন্দ ফ্রিজিয়ান, তারপরে জার্সি, তারপরে ক্রস বা হাইব্রিড, তারপরে শাহিওয়াল। 

দেশি গরু আকারে ছোট এবং কম দুধ দেয় বলে খামারিরা দেশি গরু খুব একটা নিতে চায় না। 

তালগাছি হাটের পার্শ্ববর্তী গ্রাম নরিনার খামারি নিজামুদ্দিন সরকার বলেন, 'দুধের কথা চিন্তা করলে অস্ট্রেলিয়ান বা জার্সি নিতে হবে। শাহিওয়াল বা দেশির দুধ কম, কিন্তু পালন করা সহজ। মাংসের স্বাদ ভালো। কসাইরা নেয়।'

হাটের গবাদিপশুর একটা বড় অংশ কিনে নিয়ে যায় কসাইরা। তারা পশুর দাম দেয় মাংসের হিসাব করে। গরুর প্রতি কেজি মাংসের দাম দেওয়া হয় ৫০০-৫৫০ টাকা। ছাগলের ক্ষেত্রে ৭০০-৮০০ টাকা। কিন্তু গরুর ওজন কীভাবে ঠিক করেন তারা?

হাবিবুর রহমান নামক একজন কসাই হেসে উত্তর দিলেন, 'সব কিছু চোখের আন্দাজ। অভিজ্ঞরা চোখ দিয়ে দেখেই বলে দিতে পারে গরুর বয়স কত, কতটুকু দুধ বা মাংস হবে, কোনো রোগ আছে কি না, চামড়ার কোয়ালিটি কেমন হবে, গরুকে কোনো ইনজেকশান দেওয়া হয়েছে কি না ইত্যাদি।'

এ ব্যাপারে হাটের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাপারী শাহাদত আলী বলেন, 'চোখের দেখা থেকেই আপনাকে গরুর ব্যাপারে ফুল আইডিয়া নিতে হবে। যেমন: গরুর পিঠের কুঁজ যত নিচু এবং পিঠ যত সোজা, সে গরুর ছাম ('জাত'-এর আঞ্চলিক রূপ) তত ভালো বুঝতে হবে। ভালো মানের গরুর বানে কোনো ঘা থাকে না এবং চার বান চারদিকে ছড়ানো থাকে, কান ছোট থাকে, গলার দিকটা চিকন এবং পেছনের দিকটা মোটা বা চওড়া থাকে।

'গরুর বয়সের ব্যাপারে ধারণা পেতে চাইলে দাঁত দেখতে হবে। ২ দাঁতওয়ালা গরু সবচেয়ে কম বয়েসি। সাধারণত ৪ দাঁতওয়ালা গরুকে প্রাপ্তবয়স্ক বিবেচনা করা হয়। এরকম ৬ ও ৮ দাঁতওয়ালা গরুও আছে। বেশি বয়স্ক গরু কিনলে ঝামেলা পোহাতে হয়।'

তালগাছির হাটে ১০ লিটার দুধ দেওয়া একটি গরু বিক্রি হয় প্রায় ২ লাখ টাকায়। দুধের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে গরুর দামও বাড়ে। ২৫ লিটারের বেশি দুধ দেওয়া গরু সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। 

গরুর একটি সুস্থ বাচ্চা প্রসবের ঘটনা খামারির কাছে সবচেয়ে আনন্দের। তারা একে বলেন বিয়ান দেওয়া। কোনো গরু দুইবার বাচ্চা প্রসব করলে সেটি দুই বিয়ান দেওয়া গরু। 

গরু যত বেশি বিয়ান দেয় গরুর দুধের পরিমাণ ও গুনগত মান তত ভালো হয়। ফ্রিজিয়ান, জার্সি বা ক্রস গরু ৫-৬ বিয়ান দেওয়ার পরে দুর্বল হওয়া শুরু করে। অন্যান্য জাতে এই পরিমাণ আরো কম। 

৫ বিয়ানের পরে গরু আর পেটে বাচ্চা ধরে রাখতে পারে না। তখন সেগুলা কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

হাটে ঘোড়া বিক্রি করতে এসেছেন খলিল ফকির।

তালগাছির হাটের একটি অংশ জুড়ে শুধু গরুর বিভিন্ন বয়সি বাছুর বিক্রি হয়। এঁড়ে-বকনা দুরকম বাছুরই বিক্রি হয়। 

ছোট খামারিরা বাড়িতে গরু পালার জন্য বাছুর কিনে নিয়ে যান। 

ছাগল বা ভেড়ার খরিদ্দারদের সিংহভাগও লালন-পালনের উদ্দেশ্যেই পশু কিনতে হাটে আসে। এগুলোর দুধ ও মাংসের দর গরুর চেয়ে বেশি। একটি প্রাপ্তবয়স্ক ছাগল তালগাছির হাটে ১০,০০০-২৫,০০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। ভেড়ার দাম ছাগলের কাছাকাছি। 

জনি নামক একজন ভেড়া বিক্রেতা বলেন, 'আমার কাছ থেকে বেশিরভাগ সময় খামার করার উদ্দেশ্যে ক্রেতারা ভেড়া কিনে নিয়ে যায়। প্রতি হাটে প্রায় ৮-১০ টা ভেড়া বিক্রি হয় আমার। বেশিও হয়।'

তালগাছির প্রতি হাটে কয়েক হাজার গবাদিপশু নিয়ে আসা হয়। প্রতি হাটে গড়ে প্রায় ১৫০০-২০০০ পশু বিক্রি হয়। হাটের একজন নিয়ন্ত্রক সেলিম হোসেন বলেন, 'পৌষ-মাঘ মাসে গরুর আমদানি বেশি হয়। কারণ, তখন মাঠে গরুর পর্যাপ্ত খোরাক থাকে। ঘাস-খেসারি-মাসকালাইয়ের ঘাটতি থাকে না। আর, ভাদ্র-আশ্বিন বা বর্ষা মৌসুমে গরুর আমদানি কম হয়। কুরবানি ইদের আগে কয়েকটা হাট খুব জমজমাট হয়। হাটে এঁড়ে গরুর সংখ্যা বেড়ে যায়।' 

ইদানীং হাটে ঘোড়া ওঠা শুরু হয়েছে। একসময় গাধা আর খচ্চরও বিক্রি হত। ঘোড়া যারা কিনতে আসেন তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান যে, মূলত গাড়ি টানা, বিয়ে-সাদি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানো, ঘোড়দৌড়ের জন্য তারা ঘোড়া কিনতে এসেছেন। 

খলিল ফকির হাটে গত ৪ বছর ধরে নিয়মিত ঘোড়া নিয়ে আসছেন। এক জোড়া মর্দা ঘোড়ার দাম হাঁকছেন ৬০,০০০ টাকা। তিনি বলেন, 'আমি সারা জীবন গরু-ছাগল পালিচি, এখন বুড়া হয়া গেচি। শখ কইরা ঘোড়া পালি। লাভ-লস নিয়া অত ভাবি না।'

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.