১০ লাখ কুয়ার মেগাসিটি!

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
21 December, 2021, 07:00 pm
Last modified: 22 December, 2021, 12:50 pm
এককালে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানির নির্ভরযোগ্য উৎস হলেও এখন আর কুয়া খুঁড়তে দেখা যায় না। কুয়া নির্মাণ কঠিন কাজ হলেও প্রাচীন এই উৎসই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শহরকে রক্ষা করবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

ভারতের প্রযুক্তি চিন্তার রাজধানীখ্যাত বেঙ্গালুরুর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দ্বিতল স্কুলটি অবস্থিত। ভবনের পিলারগুলো ভারতীয় পতাকার কমলা, সাদা ও সবুজ রঙে রাঙানো। আর দশটি স্কুলের মতো দেখতে হলেও এখানকার বিশেষ আকর্ষণ হলো পানির প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহৃত কুয়া।

প্রযুক্তিকেন্দ্রের অংশ হয়েও বেঙ্গালুরুর এই অঞ্চল একটি বিষয়ে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। দ্রুত উন্নয়নশীল এই শহরে নেই পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ। পানির সমস্যা কাটাতেই স্কুলমাঠে খনন করা হয়েছে কুয়া।

এককালে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানির নির্ভরযোগ্য উৎস হলেও এখন আর কুয়া খননের সেই চর্চা তেমন দেখা যায় না। তবে টেকসই পানি সরবরাহে পুরোনো এই ব্যবস্থাকেই নতুন করে কাজে লাগানোর কথা ভাবছে বেঙ্গালুরু। রেনুকা স্কুলের এই কুয়াটি অলাভজনক সংস্থা বায়োম এনভায়রনমেন্টাল ট্রাস্টের ১০ লাখ কুয়া নির্মাণ পরিকল্পনার অংশ। কুয়া নির্মাণ কঠিন কাজ হলেও প্রাচীন এই উৎসই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শহরটিকে রক্ষা করবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

শুষ্ক শহর

এশিয়ার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল শহরে রূপান্তরিত হওয়া বেঙ্গালুরুর জন্য সহজ ছিল না। শহরের সবচেয়ে কাছের নদী হলো আরকাবতী। কিন্তু নদীটি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের পানির চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয়। শহরের প্রধান পানির উৎস কাবেরী নদী। সেখান থেকে দিনে প্রায় এক হাজার ৪৫০ লিটার পানি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু নদীর সবচেয়ে নিকটবর্তী প্রবাহ শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে।

এছাড়া বিকল্প উৎস হলো ভূগর্ভস্থ পানি। শহরে প্রায় চার লাখ গভীর নলকূপ থাকলেও অতিরিক্ত পানি তোলায় অনেকগুলোই এখন শুষ্ক। মাটির নিচে ৬০ মিটার (২০০ ফিট) গভীর থেকে পানি টেনে তুলে এসব নলকূপ। সেখানে পানির প্রবাহ বেশ ধীর গতির। ভূগর্ভস্থ পাথরের স্তর পুনরায় পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠতেও লেগে যায় কয়েক বছর। দ্রুত বর্ধনশীল শহরের জন্য এই ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত।

বেঙ্গালুরুর শেফিল্ড আরবান ইন্সটিটিউটের হিস্ট্রি অব কমিউনিটি ওয়াটার রিসোর্স বিষয়ে কর্মরত হিতা উন্নিকৃষণান বলেন, 'ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বেঙ্গালুরু পর্যাপ্ত জল সরবরাহের অনুপযোগী।'

শহরের সবচেয়ে কাছের নদী হলো আরকাবতী। কিন্তু নদীটি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের পানির চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয়। ছবি: গেটি ইমেজেস

তবে পানি সংকট থাকলেও এই অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এপ্রিল থেকে নভেম্বরে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯৭২ মিমি (৩.২ ফুট)। বছরে প্রায় ৬০ দিন বৃষ্টি পড়ে।

কিন্তু বৃষ্টির পানি যায় কোথায়? সেন্টার ফর ইকোলজিকাল সায়েন্সেস এট দ্য ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্সের পরিচালিত এক গবেষণার মিলবে এই প্রশ্নের উত্তর। ১৯৭৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে পাকা সড়ক ও ভূমি বেড়েছে ১০ শতাংশ। শহরের প্রায় ৯৩ শতাংশই পাকা।

পানি সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ  বিশ্বনাথ শ্রীকান্তাইয়াহ বলেন, 'সাধারণ অবস্থায় প্রাকৃতিকভাবে শহরের ৩ থেকে ১০ শতাংশ বৃষ্টির পানি ভূগর্ভস্থ স্তরে গিয়ে পৌঁছে। কিন্তু ভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ ও পাকা করে ফেললে ১০ শতাংশ প্রবাহ শূন্যতে নেমে আসে।'

আর তাই মূল্যবান এই বৃষ্টির পানি ভূগর্ভস্থ জলাধারে জমা পরিবর্তে পাকা নর্দমায় গিয়ে পড়ে এবং অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।

পানির সন্ধানে

কয়েক বছর আগেও বেলান্দুর কিংবা ইবলুর থেকে ৪ কিলোমিটার ব্যস্ত সড়ক পাড়ি দিয়ে রেণুকা হাইস্কুলে আসত পানির ট্যাঙ্কার। সপ্তাহে এক বা দুইবার করে ট্যাঙ্কারগুলো এক হাজার লিটার পানি নিয়ে আসত।

প্রক্রিয়াটি শুধু জটিলই ছিল না, সরবরাহকৃত এই পানির বিশুদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। বেঙ্গালুরুর শহরাঞ্চলের অনেক এলাকার ভূগর্ভস্থ পানিই পয়ঃনিষ্কাশন, শিল্প বর্জ্য ও উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট দ্বারা দূষিত। স্থানীয় কাইকোন্দ্রহল্লি লেকও পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য দূষণের কবলে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। ২০০৯ সালে পুনরুদ্ধার অভিযানে হ্রদটি রক্ষা পায়।

ফলে হাতে শুধু বাস্তবসম্মত একটি বিকল্পই ছিল। ২০১৩ সালে রেনুকা হাইস্কুল ১৪ ফিট (৪.২ মিটার) গভীর উন্মুক্ত কূপ খননের জন্য প্রথাগত কূপ খননকারীদের নিয়োগ করে। স্থানীয় ভাষায় এই কূপ খননকারীদের বলে মান্নু ভাদ্দার।

কূপ খনন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বিশেষ দক্ষতার ঝুঁকিপূর্ণ একটি পেশা। বয়সে অভিজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তারা এই পেশা টিকিয়ে রেখেছে। শুধু শাবল-বেলচা দিয়েই প্রবীণরা কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই দক্ষতার সঙ্গে কূপ খননের কাজ করেছেন।

এই কুয়াগুলো যেগুলো মাটির নিচুস্তর থেকে পানি তোলা গভীর নলকূপের মতো সরু নয় । খোলা অগভীর এই কুয়োগুলো বৃষ্টির পানিতে সহজেই ভরে ওঠে।

বেঙ্গালুরুর শহরাঞ্চলের অনেক এলাকার ভূগর্ভস্থ পানিই পয়ঃনিষ্কাশন, শিল্প বর্জ্য ও উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট দ্বারা দূষিত। ছবি: গেটি ইমেজেস

যেভাবে কুয়া নির্মিত হয়

শুনতে সহজ লাগলেও কূপ খননের বেশ কঠিন। বর্তমান যুগে জমির মালিকরা হাইড্রোজিওলজিস্টদের সাহায্য নিয়ে নলকূপ স্থাপন থাকলেও প্রাচীন ভারতীয় এই কূপ খননকারীরা বাস্তুশাস্ত্র অনুসরণ করে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী কুয়োর স্থান নির্বাচন ও স্থাপত্য নকশা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত হয়। সঠিক স্থানটি নির্বাচনের পর মান্নু ভাদ্দাররা স্ট্রিং এর সাহায্যে কুয়োর মুখের ব্যাসার্ধ নির্ধারণ করে। মাটিতে প্রথম কোপ বসানোর আগে হয় দেবী গঙ্গার পূজা অর্চনা।

একজন মান্নু ভাদ্দার খননের কাজ করেন। বাকিরা প্লাস্টিকের বালতিতে করে মাটি সরায়। মাটি খুব বেশি আলগা হলে খননের অগ্রগতির সাথে চারপাশের মাটি ধসে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। ঝুঁকি কমাতে গর্তের ভেতর বিশেষভাবে নির্মিত তারের জাল স্থাপন করা হয়। খনন শেষ হলে সিমেন্ট বলয় নির্মাণের সুবিধার্তে এই জাল তুলে ফেলা হয়।

কুয়ার গভীরে মাটিতে যখন ছোট ছোট বুদবুদ উঠে তখনই কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছানোর ইঙ্গিত মিলে। এই স্তরেই রয়েছে অগভীর একটি জলাধার যা ভূপৃষ্টের ৩ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পানি ধরে রাখে। এরপর মাটি থেকে পানি উঠতে শুরু করে। খননকারীরা আরও ২.৫ থেকে ৩ ফিট পর্যন্ত খনন করে। পুরো কাজটিই বেশ শ্রমসাধ্য ও প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন পড়ে।

বংশ পরম্পরায় কুয়া খননের কাজ

আগে কুয়োর মুখে পাথর দিয়ে বলয় নির্মাণ করা হলেও এখন সিমেন্টের দেয়াল নির্মিত হয়। এর বাইরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একই পদ্ধতিতে কূপ খননের কাজ চলছে। আজ থেকে ১০০ বছর আগে অসমান পাথর দিয়েই কুয়ার ঘের নির্মিত হতো যাতে পাথরের ফাঁক দিয়ে পানি যেতে পারে। তবে এখন সে জায়গায় পানি যাওয়ার জন্য সিমেন্টের বলয়ে চারটি এক ইঞ্চি ছিদ্র রাখা হয়।

৩০ থেকে ৪০ ফিট কুয়া খনন করতে সাত থেকে আটজন মান্নু ভাদ্দারের একটি দলের প্রায় তিনদিন সময় লাগে। বাবা-ছেলে, ভাই, চাচা, চাচাতো ভাইরা মিলেই মান্নু ভাদ্দারদের দল তৈরি হয়। সকলে শুধু সমান মজুরি পায় না, তাদের শ্রম ও প্রচেষ্টাও থাকে সমান।

কূপের গভীরতার ওপর নির্ভর করে খননের মজুরি ৩০ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার রুপি পর্যন্ত হয়ে থাকে। গড়ে প্রতি কূপ খননকারী দিনে ১২০০ রুপি মজুরি পান যা ভারতে শহুরে পুরুষ মজুরদের দৈনন্দিন মজুরির দ্বিগুণেরও বেশি।

বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে অবস্থিত ৭৫টি কূপ খননকারী পরিবারের গ্রাম ইয়েল্লাম্মাপালিয়া। গ্রামটির অধিবাসী ও কূপ খননকারী পেধান্না বলেন, "আমার খনন করা যেকোনো কূপের সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারি। যখন পানি দেখা যায় তখনই আমি মজুরি নেই। এখন পর্যন্ত এর ব্যতিক্রম হয়নি।

মান্নু ভাদ্দারদের দক্ষতা এই প্রকল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা শুধু তাদের মজুরি খাটার বিষয় নয়, বরং তাদের জ্ঞান ও কৌশলের একটি বিষয়। ছবি: বিশ্বনাথ শ্রীকান্তাইয়াহ

১০ লাখ কুয়া

রেনুকা হাইস্কুলে মান্নু ভাদ্দাররা কূপ খননের পর প্রতিদিন দুইবার ৫০০ লিটার করে ১০০০ লিটার পানি তোলা হয় যা আগে সপ্তাহে একবার করে আসা ট্যাঙ্কারের পানির সমপরিমাণ। স্কুলের টয়লেট, ওয়াশরুম এবং বাগানে সরবরাহের জন্য এই পানি যথেষ্ট।

পাম্পিং করার দুই থেকে তিন ঘণ্টার ভেতর কুয়ায় পানি জমা হয়। পার্শ্ববর্তী লেক থেকে এসে সঞ্চিত হয় এই পানি। স্কুলের ছাদে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই পানিও কুয়ায় এসে জমে। কুয়োর পানির স্তর হ্রদের স্তরের সমান থাকে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে হ্রদের পানির স্তর যেভাবে পরিবর্তিত হত, কুয়াতেও তাই ঘটে। হ্রদ ও কূপের মধ্যবর্তী মাটির স্তর প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে কাজ করে।

টেকসই পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে অলাভজনক সংস্থা বায়োম এনভায়রনমেন্টাল ট্রাস্টের সাহায্য নেয় রেনুকা হাইস্কুল। স্কুলটি ছাড়াও এখন বেঙ্গালুরুর অনেক কমিউনিটিই তাদের সাহায্য নিচ্ছে। বায়োমের পরিচালক শ্রীকান্তাইয়াহর মতে বেঙ্গালুরুতে ইতোমধ্যে পূর্বে খনন করা ১০ হাজার খোলা কুয়া আছে। কিন্তু ১০ লাখ কূপ নির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে এখনও অনেক দূর যেতে হবে।

"মান্নু ভাদ্দাররা শহরে এক লাখ কূপ খনন করলে বৃষ্টির পানির ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে আমাদের অনুমান," বলেন শ্রীকান্তাইয়াহ। এর ফলে তার হিসাব অনুসারে শহরের অগভীর জলাশয় থেকে দিনে ১৪০০ মিলিয়ন লিটার পানি আসবে।

তবে এই উদ্যোগে মান্নু ভাদ্দারদের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা শুধু তাদের মজুরি খাটার বিষয় নয়, বরং তাদের জ্ঞান ও কৌশলের একটি বিষয়। "বংশ পরম্পরায় কাজ করা এই কূপ খননকারীরা দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুতে একটি অংশগ্রহণমূলক জলাধার নকশা নির্মাণ প্রকল্পে অংশ নিয়ে পূর্বনির্মিত কূপ, মাটির ধরন, পাথুরে স্তরের উপস্থিতি এবং এই অঞ্চলের জলাশয়ের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করে," বলেন বায়োম এনভায়রনমেন্টার ট্রাস্টের টেকসই পানি বিষয়ক কনসাল্টেন্ট শুভ রামাচন্দ্রন। "শহরের খোলা কূপের ইতিহাসের এ জ্ঞান অমূল্য," বলেন তিনি।

নির্ভরযোগ্য হওয়ার পাশাপাশি এই পানি অনেক বেশি সাশ্রয়ী। খোলা কূপে মাত্র ছয় মিটার গভীর থেকে পানি পাম্প করতে হয়। অন্যদিকে, কাবেরী নদী থেকে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর জন্য ৩০০ মিটারের বেশি পানি পাম্প করে আনতে হয় হয়। অর্থাৎ খোলা কূপ থেকে পানি তোলার খরচ কাবেরী নদীর মাত্র এক শতাংশ।

বেঙ্গালুরুর পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে মান্নু ভাদ্দাররা। প্রতিটি কুয়া নির্মাণের সঙ্গেই বাড়ছে তাদের চাহিদা। বেঙ্গালুরুর পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন বোর্ড এখন প্রতিটি ঘর ও এলাকায় ভূগর্ভস্থ জল বাড়াতে বাধ্যতামূলকভাবে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ব্যবস্থা রাখার নিয়ম করেছে। ফলে মান্নু ভাদ্দারদের কর্মসংস্থান আরও বাড়বে বলেই ইঙ্গিত মিলছে। একইসঙ্গে শ্রীকান্তাইয়াহর ১০ লাখ কুয়োর স্বপ্নপূরণেও এই সিদ্ধান্ত আশাব্যঞ্জক।

"মান্নু ভাদ্দারদের কূপ খননের এই অনন্য কৌশল বেঙ্গালুরুর পানি সংকট দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে। তাদের সাহায্যে শহরে নদীর পানি পাম্প করে আনার পরিবর্তে ভূপৃষ্ঠের নিচে অগভীর জলাধারগুলোর সংযোজনে শহরের ভূগর্ভে পানির প্রবাহ বইবে," বলেন তিনি।


  • বিবিসি থেকে ভাষান্তর: তামারা ইয়াসমীন তমা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.