স্মার্টফোনের পর্দার আদর্শ মাপ কত?
ছোট পর্দার স্মার্টফোনের দিন প্রায় শেষ হয়ে এল বলা চলে। অ্যাপল এ বছর আইফোন মিনি বন্ধ করে দেবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতেও আজকাল আর বেশি ছোট পর্দা দেখা যায় না।
কিন্তু একটি স্মার্টফোনের পর্দার আদর্শ মাপ কত হওয়া উচিত? প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে এ মাপটি ৬.১ ইঞ্চি। এর পেছনে তারা কিছু যুক্তিও দিয়েছে।
গুগল পিক্সেল ৬এ-এর পর্দা ৬.১ ইঞ্চি। সে তুলনায় পিক্সেল ৬ এবং ৬ প্রো-এর পর্দা যথাক্রমে ৬.৪, ও ৬.৭ ইঞ্চি। ছোট স্মার্টফোন এখন আর কেউ পছন্দ করেনা সত্য, কিন্তু বেশি বড় স্মার্টফোন হলে তা ব্যবহারেও অসুবিধা। সেজন্য স্মার্টফোনের আকার এমন হওয়া উচিত যা সহজে পকেটেও রাখা যাবে, আবার বড় পর্দাপ্রেমীদের মনও ভাঙা যাবে না। আর তার জন্য যুতসই মাপ হচ্ছে ৬.১ ইঞ্চি।
কমপ্যাক্ট ফোন
২৫ আগস্ট সনি এক্সপেরিয়া মডেলের নতুন একটি ফোন আনার টিজার প্রকাশ করেছে। এ ফোনের পর্দা ৬.১ ইঞ্চি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। যেহেতু বর্তমানে বহুল বিক্রিত এবং বাজেট ও মিডরেঞ্জের ফোনগুলোর পর্দা ৬.৫ ইঞ্চির মধ্যেই থাকে, তাই এটিকে এখন কমপ্যাক্ট সাইজ হিসেবে গণ্য করা হয়।
এ মাপ আবার খুব বেশি ছোটও নয়। বড় মাপের ফোন ব্যবহার করতে করতে একটা সময় আপনি ছোট পর্দার ফোনগুলো ব্যবহারের স্বাদ ভুলে যাবেন। বেশি বড় পর্দা কিন্তু মোটেই স্বাভাবিক কিছু নয়।
৬.১ সর্বজনীন
অনেকেই এখন বড় পর্দার স্মার্টফোন পছন্দ করেন। স্যামসাং ও অ্যাপল উভয়েরই গ্যালাক্সি এস২২ ও আইফোন ১৩-এর ভিত্তি সংস্করণের পর্দার মাপ ৬.১ ইঞ্চি। আরও বড় পর্দা চাইলে কেউ বেশি দাম দিয়ে অন্য সংস্করণগুলো ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ যেহেতু এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর মূল সংস্করণগুলো ৬.১ ইঞ্চির, সেহেতু এই মাপটিকে আদর্শ মাপ বলতে বাধা নেই।
বড় পর্দায় লাগাম দরকার
কয়েক বছর আগেও পাঁচ ইঞ্চি পর্দার ফোনে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। এরপর সময়ের সাথে সাথে সবাই আরও বেশি ডিসপ্লের জন্য বুভুক্ষু হয়ে উঠল। সবচেয়ে বড় আইফোনের পর্দা ৬.৭ ইঞ্চি! সামনে কি এবার অ্যাপল ৭.৬ ইঞ্চি পর্দার ফোন নিয়ে আসবে নাকি! ফোনের আকার এত বড় যে ফোনকে এখন ভাঁজও করার পদ্ধতি তৈরি হয়েছে। এই পাগলামো বন্ধ করা উচিত।