যেভাবে বুথের গলি হয়ে গেল ভূতের গলি আর ককেরেল থেকে কাকরাইল!

ফিচার

05 July, 2022, 01:30 pm
Last modified: 09 October, 2022, 03:11 pm
এক শহরে একদিকে যেমন রয়েছে রাজাবাজার বা মগবাজার কিংবা কারওয়ান বাজার, তেমনি রয়েছে মালিবাগ, শাহবাগ, সেগুনবাগিচার মতো কতশত বাগবাগিচা। আবার এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুল, পিলখানা, হাতিরঝিল, মাহুতটুলি...এক হাতি নিয়েই যে কত নাম দেখা যায়!
ছবি: সংগৃহীত

বায়ান্ন বাজার তেপান্ন গলির শহর ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানী। দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর পূর্বের দেশ বাংলাদেশের ঠিক মধ্যে অবস্থিত এ শহরটির গোড়াপত্তন হয়েছিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে। বর্তমানে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সপ্তম এ শহরটির বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে দুই কোটিরও বেশি মানুষের বাস। ভাবুন তো, গোড়ার দিকে কেমন ছিল এর হাল? সেইসময়কার ঘন গাছগাছালিতে ঢাকা, হিংস্র শ্বাপদে ভরা এ অঞ্চলের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি কিন্তু কম নয়। ইতিহাসবিদদের অনেকের মতে ৪শ' বছর আগে গোড়াপত্তন হয় এ শহরের, আবার অনেকের মতে হাজার বছর ছাড়িয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ শহর।

এমনকি এ শহরের নাম 'ঢাকা' কেন হলো, তা নিয়েও জনশ্রুতি কিন্তু নেহায়েৎ কম নয়। অনেকের মতে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন মাটির  নিচে দুর্গা মূর্তি খুঁজে পান। ঢাকা অবস্থায় সেই মূর্তি ছিল বলে ওই স্থানে তিনি একটি মন্দির স্থাপন করেন যার নাম রাখা হয় ঢাকেশ্বরী। সেই ঢাকেশ্বরী থেকেই ঢাকার নামকরণ। আবার অনেকের মতে, মোগল শাসনামলে সুবেদার ইসলাম খান চিশতি এ অঞ্চলে পা দেওয়ার পর ঢাকীদের দিয়ে ঢাক বাজিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেন, সেজন্য এ নগরীর নাম রাখা হয় ঢাকা।  

রাজধানীর নাম কীভাবে ঢাকা হয়ে উঠলো এ নিয়ে যেমন প্রচুর গল্প-কথা রয়েছে, তেমনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নামকরণ নিয়ে জনশ্রুতিও কিন্তু প্রচুর। এক শহরে একদিকে যেমন রয়েছে, রাজাবাজার বা মগবাজার কিংবা কারওয়ান বাজার, তেমনি রয়েছে মালিবাগ, শাহবাগ, সেগুনবাগিচার মতো কতশত বাগবাগিচা। আবার এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুল, পিলখানা, হাতিরঝিল...এক হাতি নিয়েই যে কত নাম দেখা যায়! সঙ্গে ভূতের গলি, পল্টন, ধানমণ্ডিসহ আরও কতশত নাম তো রয়েছেই। কখনও জ্বলজ্যান্ত ইতিহাসের সাক্ষী এসব নামগুলো, আবার কখনও নেহাতই নামের বিকৃতি, ঐতিহ্যবাহী শহরটির নামের পেছনের এরকম কারণগুলো ইতিহাসের ভিত্তিতে তুলে ধরার চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত পরিসরে।

ইন্দিরা রোড

ফার্মগেটে পাশে অবস্থিত এ রোডটি আপাতদৃষ্টিতে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামে মনে করা হলেও কাজী মোতাহার হোসেনের বড় মেয়ে যোবায়দা মীর্জার আত্মজীবনী 'রচনাসংগ্রহ'- থেকে জানা গেছে, ১৯৩০-এর দশকে দ্বিজদাস নামে এক ব্যক্তির বড়মেয়ে ইন্দিরার অকাল মৃত্যু হয়। তার বাড়িতেই মেয়ের সমাধি রাখা হয়। সেখান থেকে ওই এলাকার নাম হয় ইন্দিরা রোড।

ভূতের গলি

ইংরেজ আমলে মিস্টার বুথ নামে এক সাহেব থাকতেন এলাকাটিতে। তিনি ছিলেন ওখানকার প্রথম সাহেব বাসিন্দা। সে জন্য তার নাম অনুসারে রাস্তাটার নাম দেওয়া হয়েছিল, বুথের গলি। সেই বুথের গলি কবে যে  ভূতের গলি হয়ে গেল!

জিগাতলা

একসময় ঢাকায় জন্মাতো প্রচুর ঝিগা গাছ। খুব সম্ভবত বাড়ির সীমানায় এসব গাছ লাগানো হতো। ইতিহাসবিদ নাজির হোসেনের মতে, ঢাকার অনেক এলাকাতেই গরিব লোকেরা তাদের বাড়ির প্রাচীর ইট দিয়ে দিতে পারত না বলে ঝিগাগাছ দিয়ে বাড়ির চারদিক বেষ্টিত করতো। বর্তমানের জিগাতলা বা ঝিকাতলা এলাকায় এ গাছ এতো জন্মাতো যে, পুরো এলাকাটির নামকরণ করা হয় ঝিগাতলা।

রাজাবাজার

ফার্মগেটের দক্ষিণের অংশে ভাওয়াল রাজার বেশকিছু জমি ছিল। সেখানে একটি বাজার তৈরি হয়, তাই পরে এলাকাটি রাজাবাজার হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

কারওয়ান বাজার

মোগল আমলে শহরে ঢোকার মুখে ছিল একটি নিরাপত্তা চৌকি রাখা হতো। সবাইকে পরীক্ষা করতে চৌকিটি ব্যবহার করা হতো। চৌকিটির পাশে কারওয়ান সরাই বা সরাইখানা ছিল। পরবর্তীতে কারওয়ান সরাইখানাই কারওয়ান বাজার নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।

কারওয়ান বাজারে তিন গম্বুজওয়ালা শায়েস্তাখানী স্থাপত্যের অনুসরণে তৈরি একটি মসজিদ রয়েছে। ১৬৭৯-৮০ সালের মধ্যে এ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন শায়েস্তা খানের প্রধান খোজা খাজা অম্বর। তার নামেই  এ মসজিদটির পাশেই সমাহিত আছেন খাজা অম্বর।

খাজা অম্বর মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত

শাহবাগ

শাহবাগ মোগলবাগ বা মোগলদের বাগানের স্মৃতি বহন করছে, এরকম ধারণা করা হয়। কেননা, মোগল শাসনের অবসানের পর অনেকটা জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে পড়ে শাহবাগ। জানা যায়, রমনার পশ্চিমাংশে একটি বাগানবাড়ি করেছিলেন ইংরেজ বিচারক গ্রিফিথ। ১৮৪৪-৪৫ সালে গ্রিফিথের কাছ থেকে বাগানবাড়িটি কিনে নেন জমিদার গনি মিয়া, যিনি নবাব খাজা আবদুল গনি নামে পরিচিত চিলেন। তিনি একটি চিড়িয়াখানাও তৈরি করেন।

বাগানবাড়িটি আরও বড় করেন তার ছেলে নবাব খাজা আহসানউল্লাহ। 'সেকালের গৃহবধূর ডায়েরি'র লেখক মনোদা দেবীর আত্মজীবনী থেকে মুনতাসীর মামুন জানান, খুব সম্ভবত পুত্র আহসানউল্লাহ আলাদাভাবে আরও একটি বাগানবাড়ি তৈরি করেন। সেই বাগানবাড়িটির নাম রাখে এশরাত মঞ্জিল। আর বাগানটির নামে পুরো এলাকাটির নাম রেখেছিলেন শাহবাগ। তবে তিনি তার বাবার তৈরি একটি ওই চিড়িয়াখানারও অনেক উন্নত করেন।

তবে তখনকার শাহবাগ ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। নবাব খাজা সলিমুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সহচর হাকিম হাবিবুর রহমান শাহবাগ সম্পর্কে লিখেছিলেন, প্রত্যেক বছর পয়লা জানুয়ারি শাহবাগে সর্বসাধারণের জন্য আনন্দোৎসব হতো। সেসময় শাহবাগ বেহেশতের মতো হয়ে যেতো। তার বর্ণনায় উঠে এসেছে, চারদেয়ালে সুরক্ষিত বাগানবাড়ির দেয়াল ছিল গাছ-গাছড়ায় ঘেরা, মার্বেল  পাথরের তৈরি একটি গোলাকার বৈঠকখানাও ছিল, বেশ কয়েকটি হ্রদ বা দিঘি, আর সেখানে যাবার জন্য মনোরম পুল বাগানটিতে। এর পাশ দিয়ে গোলাকার প্রকোষ্ঠ অনেক ভবন, যেখানে সংগৃহীত ছিল আজব আজব প্রাণী। এর ডানদিকে ছিল উঠান বা প্রাঙ্গণ, সেখানে জলধারাও ছিল। এ জলধারাগুলো সোজাসুজি, চক্রাকারভাবে বিচ্ছুরিত হতো।

পিলখানা

পিলখানা শব্দটি আসে ফিলখানা থেকে। ফিলের বিকৃতি রূপ পিল, যার মানে হাতি। আর খানা অর্থ আশ্রম। অর্থাৎ হাতির আশ্রমকেন্দ্রকে বলা হতো পিলখানা। জায়গাটিতে প্রচুর হাতি পালা হতো। মোগলরা আসার পর এ জায়গায় হাতি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করেন তারা। জায়গাটি বর্তমানে পিলখানা নামে পরিচিত।

এলিফ্যান্ট রোড

পিলখানা থেকে চরানোর জন্য রমনায় নিয়ে আসা হতো হাতির পাল। এসময় যে পথটি ব্যবহৃত হতো, ব্রিটিশ আমলে তাই এলিফ্যান্ট রোড নাম নেয়।

এলিফ্যান্ট রোড। ছবি: সংগৃহীত

হাতিরপুল

এলিফ্যান্ট রোডে আবার ছিল জলাভূমি, চলাচলের সময় হাতিরগুলোর পা দেবে যেতো, এজন্য ইস্টার্ন প্লাজা ও পরিবাগ বরাবর একটি পুল নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই থেকে এলাকাটির নাম হয়ে গেল হাতিরপুল। এমনভাবেই জানাচ্ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক একেএম শাহনাওয়াজ।

হাতিরঝিল

পিলখানা থেকে রমনায় পৌঁছুনোর পথে জলাশয় ছিল, সেখানে নামা কর্দমাক্ত হাতিগুলো গোসলের জন্য পাশে থাকা বড় একটি ঝিলে নামত, এটিই মূলত হাতিরঝিল হিসেবে পরিচিত।

মাহুতটুলি

কোম্পানি আমলে পিলখানায় নির্দিষ্ট ফি-র বিনিময়ে হাতি পোষ মানাতে পাঠাতেন জমিদাররা। হাতিদের রক্ষা ও দেখাশোনা করতেন মাহুতরা। তাই পিলখানার আশেপাশের এলাকায় থাকতেন তারা। এজন্য আবুল আসনাত রোড থেকে ওল্ড ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটা মাহুতটুলি হিসেবে পরিচিত।

চানখাঁর পুল

চানখাঁর পুলের সঙ্গে কামরাঙ্গি চরের ভেতর একধরনের যোগ রয়েছে। জানা যায়, মোগল আমলে কামরাঙ্গি চরের একটি অংশ বাকা চাঁদ খা নামে পরিচিত ছিল। চাঁদ খার মালিক ছিলেন চান খাঁ।

মুনতাসীর মামুনের মতে, বাকে চাঁদ খা খুব সম্ভবত কামরাঙ্গি চরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। তবে মেডিকেল কলেজের পাশে চানখাঁরপুল এলাকাটির নাম চান খাঁর নামেই হয়েছে।

নিমতলা এলাকা ও এখনকার চানখাঁর পুলের এলাকার মাঝামাঝি অংশ নিয়ে একটি ক্যানাল বা খাল যুক্ত ছিল ধোলাই খালের সঙ্গে, এর ওপরই পুল তৈরি করেন চান খাঁ। মূলত, তখন থেকেই এলাকাটি স্বীকৃতি পায় চানখাঁর পুল হিসেবে।

গেন্ডারিয়া

এক ইংরেজ পর্যটক নাকি ঘোড়ায় চড়ে গেন্ডারিয়ার লোহারপুলে কাছে আসেন। তিনি নাকি এলাকাটা দেখে এতোটাই অবাক হন যে বলেছিলেন, 'What a grand Area!' পরবর্তীতে লোকমুখে ঘুরতে ঘুরতে ওই এলাকাটির নামই হয়ে গেল 'গেন্ডারিয়া'। দয়াগঞ্জ, মীরহাজিরবাগ এলাকায় প্রচুর গেন্ডারি বা আখ চাষ হতো, সেজন্যও এ এলাকার নাম হয়েছে গেন্ডারিয়া, এমনটিও ধারণা করা হয়। এর নামকরণ করা হয় গেন্ডারিয়া।

কাকরাইল

কাকরাইল নিয়ে মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, উনিশ শতকের শেষ দশকে ঢাকার কমিশনার ছিলেন ককরেল নামে এক ইংরেজ। তার নামানুসারেই রাস্তার নাম রাখা হয়েছিল। তবে সাধারণ মানুষ ওই রাস্তার রাস্তাটির নাম ককেরেল থেকে কাকরাইল বানিয়ে ফেলে।

মগবাজার

বাংলার সুবেদার আজিমুশানের মতে, বাংলা বারবার আক্রমণ করেছে মগরা। ১৬২০ সালে তারা বাংলা আক্রমণ করেন।

মগবাজার নিয়ে ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দুইধরনের মতবাদ পাওয়া যায়। একজায়গায় বলা হয়েছে চট্টগ্রামে আরাকানের মগরাজার ভ্রাতৃষ্পুত্র ও গভর্নর মুকুট রায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সুবাদারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। পরে সুবেদার দ্বিতীয় ইসলাম খাঁ তাদের এ এলাকায় থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। সেই এলাকাই মগবাজার নামে পরিচিত।

তবে ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের মতে, এ ধারণা সঠিক নয়। তিনি উল্লেখ করেন উনিশ শতকে  আরাকান থেকে অনেক মগ ব্রিটিশ রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এদের একজন মগসর্দার কিং ব্রিং। তারসঙ্গে ছিল প্রায় ৫০জন মগ আশ্রয়প্রার্থী। এরা যেস্থানে বাস করা শুরু করেন তাই পরিচিতি পায় মগবাজার নামে।ইংরেজ সরকার থেকে এরা মাসে ১২ টাকা ভাতা পেতেন।

জানা যায়, একশ'  থেকে ১১৫ বছর আগেও এসব এলাকায় ঘুরে বেড়াতো  হিংস্র প্রাণী।              

মালিবাগ

ঢাকায় প্রচুর বাগান থাকায় স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর মালিও ছিল। মগবাজারের পাশে তারা সেসব এলাকায় থাকতেন, সেসব এলাকারই নামকরণ করা হয় মালিবাগ।

পল্টন

পল্টন শদ্বের অর্থ সেনানিবাস। ১৮৪০ সাল পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির  সেনানিবাস ছিল পুরান পল্টন, নয়পল্টন ও তোপখানায়। পরে তা সরিয়ে রমনা, বেগুনবাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সৈন্যদের রোগ-শোক এর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল। সেনানিবাস সরিয়ে নিলেও জায়গাটির নাম পল্টনই থেকে যায় জায়গাটির নাম।

হাতিরঝিল। ছবি: সংগৃহীত

সেগুনবাগিচা

সেনানিবাস সরিয়ে নেওয়ার পরে এ জায়গাটিতে বাগান তৈরি করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। যদিও ইতিহাসবিদদের মতে, কোম্পানির বাগান অনেক আগে থেকেই তেজগাঁওয়ে ছিল।

মুনতাসীর মামুন অনুমান সাপেক্ষে বলেন, ওই জায়গাটি ঘিরে নতুন এ বাগানটি সেগুনবাগান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। যা বর্তমানের সেগুনবাগিচা।

কামরাঙ্গি চর

কামরাঙ্গি চর নিয়ে দুটি জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে, এ চরে নাকি কামরাঙ্গি নামে এক অনিন্দ্য সুন্দরী নারী থাকতেন।  নৌকাডুবিতে তিনি মারা যান, সেই থেকে এর নাম কামরাঙ্গি চর। অন্যদিকে, কামরাঙ্গা নামে একধরনের মরিচের চাষ হতো এ অঞ্চলে। সেই কামরাঙ্গা থেকে কামরাঙ্গি চর নামটির উৎপত্তি।

তবে ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর এ চর এলাকাটি খুব পুরোনো নয়।

যাত্রাবাড়ি

১৯ শতকে ঢাকায় অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম ছিল যাত্রা। ঢাকার পাশেই ব্রাক্ষ্মণচিরণ নামে এলাকার একটি বাড়িতে যাত্রামণ্ডপ ছিল। সেখানে প্রায়ই যাত্রাপালা দেখানো হতো। যে বাড়িটিতে যাত্রামণ্ডপটি অবস্থিত সেটিকে তখন যাত্রাবাড়ি নামে ডাকা শুরু হয়। এরপর থেকে এলাকাটির নামই হয়ে যায় যাত্রাবাড়ি।

এরকম করেই ধানমণ্ডি, মতিঝিল, মিরপুর, বাড্ডা থেকে শুরু করে একালের জনবহুল এলাকাগুলোর নামের পেছনে না জানি লুকিয়ে রয়েছে কতশত জানা-অজানা ইতিহাস। 

[তথ্যসূত্র

  • মুনতাসীর মামুন এর ঢাকা : স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী ১, ২, ৩
  • ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ, অধ্যাপক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.