শীতের আমেজ পেতে ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গ

ফিচার

21 November, 2021, 02:10 pm
Last modified: 21 November, 2021, 03:55 pm
উত্তরাঞ্চলের এই জেলাগুলোতেই ফি বছর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ফলে যান্ত্রিক কোলাহলের বাইরে কুয়াশার গন্ধে মুখর হয়ে হাড়কাপানো শীতের আমেজ নিতে চাইলে এই জেলাগুলো হতে পারে আপনার আদর্শ গন্তব্য।

ঢাকায় আজকাল ঠিকমতো শীত পড়ে না। এই নিয়ে আফসোসের শেষ নেই নগরবাসীর। 

জলবায়ু পরিবর্তনের কবলে পড়ে শহরে নয়-দশ মাস তীব্র গরমের পর একটু শীতের আবেশে জড়িয়ে থাকতে চান অনেকেই। কিন্তু শীতের কাপড় গায়ে তুলতে না তুলতেই শীত পালিয়ে যায় ইট-পাথরের জঞ্জালে ভরা এই শহর থেকে। 

তাই বছর দশেক আগের শীতের কুয়াশা ঢাকা ভোর, মিঠে রোদের দুপুর আর লেপ মোড়ানো রাতের কথা স্মরণ করে বিষণ্ণতা ভর করে কত মানুষের মনে!

ঢাকা থেকে শীত পালিয়েছে। এখন শীত-সদৃশ এমন দৃশ্য দেখা যায় কেবলই বায়ু দূষণের কল্যাণে; ছবি: মুমিত এম

শীতকাল জুড়ে যাদের মনে বাজে অনুপম রায়ের লাইন, "আরো শীত চুয়ে পড়ুক গাছের পাতার তলায়," তাদের জন্য শীতের ছুটি কাটানোর উপযুক্ত জায়গা হতে পারে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো। যেমন : রাজশাহী, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রাম। 

উত্তরাঞ্চলের এই জেলাগুলোতেই ফি বছর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ফলে যান্ত্রিক কোলাহলের বাইরে কুয়াশার গন্ধে মুখর হয়ে হাড়কাপানো শীতের আমেজ নিতে চাইলে এই জেলাগুলো হতে পারে আপনার আদর্শ গন্তব্য।

তীব্র শীতের আমেজ ছাড়াও ঐতিহাসিক গুরুত্ববহ নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে জেলাগুলোতে।। চলুন জেনে নিই শীতের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার এই স্থানগুলোয় ভ্রমণের আদ্যোপান্ত।

রাজশাহীর রাস্তাগুলোর দুপাশে রয়েছে সবুজের সমাহার; ছবি: আতিক হোসেন জিসান

রাজশাহী

সিল্ক সিটি ট্রেনে চড়ে 'ক্লিন সিটি' রাজশাহীতে যাওয়ার পর এর নির্মল বাতাসে শুরুতেই যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে। রাজশাহীর পদ্মার পাড় শীতের সকাল বা পড়ন্ত বিকেলের অলস সময় কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গা। কুয়াশা মোড়ানো পূর্ণিমায় পদ্মার পাড় হয়ে উঠে অপার্থিব সৌন্দর্য মন্ডিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রাজশাহীর আরেক স্নিগ্ধ গন্তব্য।  

রাজশাহী শহরে আরও রয়েছে ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদ, পুঠিয়া রাজবাড়ি, ইতিহাস সমৃদ্ধ নানা মন্দির। যেসকল জায়গায় গিয়ে প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের সাথে অতীতে উঁকি দিয়ে দেখা যায়। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, শিশুপার্ক, হাওয়াখানা, চিড়িয়াখানা প্রভৃতি ভ্রমণকেন্দ্রও রয়েছে শহরে। রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সিল্কের মার্কেটও অনেক পর্যটকের প্রিয় গন্তব্য।

ঢাকা থেকে রাজশাহী জেলায় যাতায়াত ব্যবস্থা বেশ ভালো। ট্রেনে যেতে চাইলে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও বনলতা এক্সপ্রেসে যাওয়া যাবে। ৩৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথের যাত্রায় ট্রেন ভাড়া পড়বে শ্রেণিভেদে ৩৪০ থেকে ১০২০ টাকা। সময় লাগবে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার কাছাকাছি।

ট্রেন ছাড়াও ঢাকা থেকে রাজশাহী যাতায়াতের জন্য বেশ কিছু এসি ও ননএসি বাস সার্ভিস আছে। বাস ভাড়া পড়বে ৪৫০-১০০০ টাকার মতো।

রাজশাহীতে থাকার জন্য সার্কিট হাউজ, পর্যটন হোটেল-মোটেল ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু ভালো আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থা। সেখানে বেশ নিরাপদে পরিবারসহ থাকা যাবে।

শিলাদহের কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাটিয়েছিলেন তাঁর জীবনের ১২ বছর; ছবি: তারেক অণু

কুষ্টিয়া

বাউল ফকির লালন শাহের স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়া দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে খ্যাত। কুষ্টিয়ার টাটকা খেজুরের রস দিয়ে শীতের সকাল শুরু করার পর ঘুরে বেড়ানো যায় লালন ফকিরের মাজার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও জাদুঘর, ঠাকুর লজ, মীর মোশারফ হোসেনের বাস্তুভিটা, লালন শাহ সেতু, ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ, জিউর মন্দিরের মতো ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলোতে। এছাড়াও কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও অবসর সময়ে ঘুরে বেড়ানো যায়।

ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া রেল পথে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেসে যাওয়া যাবে। সিট অনুযায়ী ভাড়া পড়বে ৩০০ থেকে ১০৮০ টাকা পর্যন্ত। সময় লাগবে ছয় ঘন্টার কাছাকাছি। চাইলে এসি বা ননএসি বাসেও যাওয়া যাবে কুষ্টিয়ায়। ভাড়া পড়বে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকার মতো।

কুষ্টিয়া শহরেই থাকার জন্য রয়েছে সরকারি, বেসরকারি বেশ কিছু নিরাপদ ও ভালো মানে হোটেলের ব্যবস্থা।  

পঞ্চগড়ই বাংলাদেশের একমাত্র স্থান যেখান থেকে পাওয়া যায় হিমালয়-দর্শন; ছবি: ফিরোজ আল সাবাহ

পঞ্চগড়

দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড় পরিচিত হিমালয় কন্যা নামে। নাম শুনেই নিশ্চয়ই আঁচ করা যায় হিমালয় কন্যায় হিমের প্রভাব! সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে এখন শীতে ভ্রমণপ্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণ পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া। 

প্রতি বছর নভেম্বরের শুরুতে পর্যটকেরা সেখানে পাড়ি জমান সোনার পাহাড় দেখার আশায়! আবহাওয়া ও আকাশের অবস্থা অনুকূলে থাকলে তেতুলিয়া থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারতের কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে মহানন্দার পাড়ে থেকেই। 

এছাড়াও বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, সমতলে বিস্তৃত চা বাগান, গোলকধাম মন্দির, বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির, বার আউলিয়া মাজার, ভিতরগড় দুর্গ নগরী, মহারাজার দীঘি, মির্জাপুর শাহী মসজিদসহ নানা ঐতিহাসিক স্থাপনা পঞ্চগড়ে ভ্রমণের অন্যতম গন্তব্য। 

পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে আছে বাংলাদেশের একমাত্র পাথরের জাদুঘর। ব্যতিক্রমী এই জাদুঘরে বিভিন্ন বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের নানা বয়সী পাথর , বিভিন্ন আদিবাসীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র , পোড়ামাটির নানা মূর্তিসহ নানা অভিনব নিদর্শন।

ট্রেন বা বাস দুই পথেই পঞ্চগড় ভ্রমণের সুব্যবস্থা রয়েছে। পঞ্চগড় একপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে সিট ভেদে টিকেটের দাম পড়বে ৩৬৫ থেকে ১২৫৪ টাকা পর্যন্ত। বাস ভাড়া পড়বে এসি-ননএসি সিট ভেদে ৫৫০-১৬০০ টাকা পর্যন্ত।

পঞ্চগড়ে থাকার জন্য তেতুলিয়ার ডাকবাংলো বেশ জনপ্রিয় জায়গা। মহানন্দার কোলে ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা এই ঐতিহাসিক ডাকবাংলোর পাশেই রয়েছে পিকনিক স্পট। তাই পরিবার বা বন্ধুবান্ধবসহ থাকার জন্য এত মনোরম জায়গা এই ডাকবাংলো। এছাড়াও পঞ্চগড় সার্কিট হাউজসহ বিভিন্ন সরকারি রেস্ট হাউজ আছে পঞ্চগড় শহরেই। বেসরকারি বিভিন্ন হোটেলেও থাকার সুব্যবস্থা আছে।  

দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির হিন্দু ধর্মের কান্ত বা কৃষ্ণের মন্দির হিসেবে পরিচিত; ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর

শীতের হাড় কাঁপানো অনুভূতি পেতে প্রাচীন শহর দিনাজপুর হতে পারে আকর্ষণীয় গন্তব্য। স্থাপত্যশৈলীর বিচিত্র নিদর্শন দেখা যায় দিনাজপুরের নানা বিখ্যাত স্থাপনায়। এরমধ্যে দিনাজপুর রাজবাড়ী, কান্তজির মন্দির, নয়াবাদ মসজিদ, দীপশিখা আনন্দালয় ও মেটি স্কুল অন্যতম। এছাড়াও রামসাগর দীঘি, সুখসাগর ইকোপার্ক, স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট, লিচুবাগানের মতো ভ্রমণকেন্দ্রও রয়েছে দিনাজপুরে। সময় থাকলে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘুরে আসা যায়।

ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাতায়াতের ক্ষেত্রে ট্রেন আছে একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস। সিট অনুযায়ী ট্রেন ভ্রমণে ভাড়া লাগে ৩৯০ থেকে ১৩৯০ টাকা পর্যন্ত। ঢাকা টু দিনাজপুর যাতায়াতে সময় লাগে ৮ ঘন্টার মতো।

এছাড়াও এসি-ননএসি বাসে করেও যাতায়াত করা যায় ঢাকা-দিনাজপুর। বাসভাড়া ৫৫০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।  

দিনাজপুর শহরে থাকার জন্য আছে সার্কিট হাউজ, পর্যটন মোটেল, রামসাগর জাতীয় উদ্যান রেষ্ট হাউজ, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো সহ নানা সরকারি রেস্টহাউজ ও বেসরকারি হোটেল।

রংপুরের শীত প্রতিবছর নতুন রেকর্ড গড়ে যায়; ছবি: সংগৃহীত

রংপুর

উত্তরবঙ্গের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান রংপুরের শীত প্রতিবছর নতুন রেকর্ড গড়ে যায়। শীতে ভাওয়াইয়া গানের দেশ রংপুরে বেড়াতে গিয়ে দেবী চৌধুরানীর রাজবাড়ি, পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়ার বাড়ি, লালদিঘি নিয় গম্বুজ মসজিদ, তাজহাট জমিদার বাড়ি, প্রয়াস সেনা বিনোদন পার্ক, ভিন্নজগত পার্কসহ নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো যায়।

ঢাকা থেকে রংপুরে রেলপথে যাওয়া যায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে। সিট অনুযায়ী ভাড়া ৫০৫ থেকে ১১৬২ টাকা। ট্রেনে পৌঁছাতে সময় লাগে ১০ ঘন্টার মতো। বিভিন্ন এসি ও ননএসি সার্ভিসে বাসভাড়া ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত। থাকার জন্য রংপুরে পর্যটন মোটেল, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ছাড়াও রয়েছে নানা সরকারি রেস্টহাউজ। এছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন হোটেলেও ভালো থাকার ব্যবস্থা আছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের সূর্যপুরী আমগাছের উচ্চতা আনুমানিক ৮০-৯০ ফুট, আর পরিধি ৩৫ ফুটের কম নয়; ছবি: জামিউল হাসান

ঠাকুরগাঁও

শীতকালে প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত ঠাকুরগাঁও এর শান্ত পরিবেশ যে কারো মনে এনে দেবে প্রশান্তির ছোঁয়া। জগদল রাজবাড়ি, হরিপুর রাজবাড়ি, জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ, বালিয়া মসজিদ, হরিণমারী শিব মন্দির, রাজা টংকনাথের রাজবাড়িসহ নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যতম আকর্ষণ। শ্রমজীবী মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনজীবনের লোকজ সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে আকচা গ্রামে গড়ে উঠেছে লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর। ব্যতিক্রমধর্মী এই জাদুঘরে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত কৃষি ও লোকজ ঐতিহ্যের নানা নিদর্শন সাজানো আছে।

রেলপথে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেসে করে ঠাকুরগাঁও যাওয়া যায়। সিট ভেদে ভাড়া পড়বে ৫২০- ১৭৮৩ টাকা পর্যন্ত। বাসে করে গেলে ভাড়া ননএসি-এসি ভেদে ভাড়া পড়বে ৬০০-১৪০০ টাকা পর্যন্ত।

সার্কিট হাউজ, সরকারি রেস্ট হাউজ সহ নানা বেসরকারি হোটেলের সুব্যবস্থা আছে থাকার জন্য।  

২৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছে কুড়িগ্রামের মুন্সিবাড়ি; ছবি; সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম

শীতে কাঁপতে কাঁপতে ঘুরে বেড়াতে চাইলে কুড়িগ্রাম বেশ রোমাঞ্চকর গন্তব্য। নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি, চান্দামারী মসজিদ, ভেতরবন্দ জমিদার বাড়ি, উলিপুর মুন্সিবাড়ী, বঙ্গ সোনাহাট ব্রিজ কুড়িগ্রামের ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তঘেষা নদী ধরলার উপর নির্মিত ধরলা ব্রীজ কুড়িগ্রামে অলস বিকেল কাটানোর জনপ্রিয় গন্তব্য।  

কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে সিট ভেদে ৫১০-১৮০৪ টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাওয়া যাবে। বাসে যেতে খরচ পড়বে এসি-ননএসি ভেদে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।

সরকারি সার্কিট হাউজ ছাড়াও কুড়িগ্রামে কিছু বেসরকারি হোটেল রয়েছে পর্যটকদের জন্য।  

উত্তরবঙ্গের এই নির্দিষ্ট জেলাগুলো ছাড়াও শীতের আমেজ নিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ সিলেটের বেশ কিছু জায়গা ভ্রমনপিপাসুদের প্রিয় স্থান। ছুটি কাটাতে গিয়ে এই জায়গা গুলোর ঐতিহ্য ও লোকজ জীবন সম্পর্কে গভীরভাবে জানা যায়।

হারিয়ে যাওয়া শীতের আমেজ ফিরিয়ে আনতে নগর জীবন থেকে কিছুদিনের ছুটি নিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলো ঘুরে আসতে পারেন বছরের শেষেই। তবে বৈশ্বিক মহামারির ভেতর ঘুরতে গিয়ে অবশ্যই নিজের এবং ভ্রমণসঙ্গীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কঠোর হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে আপনার ভ্রমণের কারণে যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয়।

শীত উদযাপন করতে গিয়ে ভুলে যাবেন না দরিদ্র শীতার্ত জনগোষ্ঠীর কথা; ছবি: এএফপি

উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষেরা শীতের সময় অনেকটাই মানবেতর জীবনযাপন করে। নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী তাদের প্রতি সাহায্যের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন এই শীতে। লেপতোষক মোড়া আরো শীতের উষ্ণ আমেজ তাদের জীবনেও আনন্দ বয়ে আনতে পারে আপনার মাধ্যমে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.