শতাব্দীর সবচেয়ে বড় কফিন আবিষ্কার মিশরে

ফিচার

রয়টার্স
20 October, 2019, 09:00 pm
Last modified: 20 October, 2019, 09:04 pm
লুক্সর শহরের পশ্চিম তীরের আল-আসারিফ সমাধিক্ষেত্র থেকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) মমিসহ কাঠের রঙ করা ৩০ টি কফিন আবিষ্কার করা হয় বলে জানিয়েছে মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়

মিশরের দক্ষিণাঞ্চলীয় লুক্সর শহরে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় কফিন আবিষ্কার করেছে দেশটির প্রত্নতত্ত্ববিদরা।  

লুক্সর শহরের পশ্চিম তীরের আল-আসারিফ সমাধিক্ষেত্র থেকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) মমিসহ কাঠের রঙ করা ৩০ টি কফিন আবিষ্কার করা হয় বলে জানিয়েছে মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়।

নারী, পুরুষ এবং শিশুদের জন্য নির্মিত এই কফিনগুলো দেখলে বোঝা যায় যে তারা প্রত্যেকে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা দলের সদস্য ছিলেন।


লুক্সর শহরে এক অনুষ্ঠানে মিশরের পুরাতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রী খালেদ আল-ইনানী বলেন, “১৯ শতকের শেষ থেকে এই পর্যন্ত গত ১০০ বছরের মধ্যে এটাই সবচাইতে বড় আকৃতির কফিন”।    

নিঁখুত নকশা কাটা এবং রঙ করা কাঠের এই কফিনগুলোর বয়স হাজার বছরেরও বেশি। কফিনগুলোর ভেতরে মমিগুলোও ‘ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত’ আছে। 

প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজের দলপ্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি জানান, নারী ও পুরুষ পুরোহিত এবং শিশুদের জন্য এই কফিনগুলো নির্মিত হয়েছে খ্রিষ্টপূর্ব ১০ম শতকে ২২তম ফেরাউনের শাসনামলে।

বর্তমানে কফিনগুলো সংরক্ষণ জন্য কাজ করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এরপর এগুলোকে মিশরের গ্র্যান্ড মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। 

২০১১ সালে হোসনি মোবারকের উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে মিশরে যে অস্থিশীলতা তৈরি হয়েছিলে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশটির পর্যটন খাত। এই পুরাকীর্তি ও প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার মিশরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে বলে মনে করছে দেশটির সরকার। 

প্রসঙ্গত, এই মাসের শুরুর দিকে লুক্সরের মোট দুইটি প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের কথা জানায় মিশর সরকার। আরেকটি আবিষ্কার করা হয় লুক্সরের পশ্চিমে অবস্থিত ‘ভ্যালিজ অব মাঙ্কি’ নামের জায়গা থেকে।  
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.