লাঠিটিলা অরণ্যে সাফারি পার্ক: আমরা কি প্রকৃতি বিনাশ করতে চলেছি?
ফিচার
লাঠিটিলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিশ্র চিরসবুজ বনাঞ্চল। পরিবেশগতভাবে অরক্ষিত এ অঞ্চলটি ইন্দো-বার্মা জীববৈচিত্র্য হটস্পটের অংশ, দেশের ছয়টি আন্তঃসীমান্ত সংরক্ষিত বনের একটি এই অরণ্য।
বর্তমানে এই বনভূমিতে একটি সাফারি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন আছে। পার্কটিতে ভারি অবকাঠামো নির্মাণ হবে, আফ্রিকান জীবজন্তু, ডলফিন ও বিদেশি বিভিন্ন পাখি প্রজাতির আবসস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। দেশের জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষিত এ আশ্রয়কেন্দ্র এখন সংকটাপন্ন।
বিগত কয়েক বছর ধরেই আমার বেশ কয়েকজন সহকর্মীর মুখে শুনছি- লাঠিটিলা একটি মৃতপ্রায় বন। প্রথম দিকে আমি তাদের এই উদ্বেগকে খুব একটা গুরুত্ব দেইনি।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুদূরে এই বনটির অবস্থান, ঠিক কোন কারণে এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে? জীববৈচিত্র্যের এই আবাসস্থল বরং হতে পারতো আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বর্ণিত সংরক্ষিত অঞ্চল।
সমৃদ্ধ এ বনটির সংরক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের পথও সুগম হতো।
আমার কিছু সহকর্মীর একটু আলাদা হাস্যরসবোধ আছে বলা যায়। আমি যখনই 'ওমনিয়াস ওরাকল' শুনি আমি একে কৌতুক হিসেবেই নিতাম। পরে বুঝতে পারি তা ভুল ছিল। একটি নিয়ম ভুলে গিয়েছিলাম আমি, যা কিছু খারাপের দিকে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে- তা খারাপের দিকে যাবেই।
একারণেই যখন মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা বনে তৃতীয় সাফারি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনার ঘোষণা আসলো, আমি হতবাক হয়ে যাই।
আমি যখন সাফারি পার্কের সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের ড্রাফট ও মাস্টারপ্ল্যান হাতে পাই, এই পরিস্থিতির ভয়াবহতা ও লাঠিটিলার ভাগ্যে কী দুর্দশা ঘনিয়ে আসছে- তা পরিষ্কার হয়ে যায় আমার কাছে।
সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ২৪৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বনটিকে একেবারে আমূলে বদলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলা আছে।
পুরো পরিকল্পনা ও এর প্রভাবের কারণে স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশ সচেতন মানুষের মধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে। এরমধ্যে রয়েছেন শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে সাংবাদিক, গবেষক থেকে বাংলাদেশ বন বিভাগের কর্মকর্তা, পরিবেশবিদ থেকে সিটিজেন সায়েন্টিস্ট। প্রত্যেকটি সংবেদনশীল মানুষ এই পরিকল্পনার সম্ভাব্য ঝুঁকির ব্যাপারে সোচ্চার হচ্ছেন, লাঠিটিলা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে লাঠিটিলার জন্য পার্কটি ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি করবে। এর ফলে বেশ কিছু বিপন্ন প্রজাতির প্রাণি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে, যার ফলে বাস্তুসংস্থান ভেঙে পড়ার মতো বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে।
অবহেলিত লাঠিটিলা
মৌলভীবাজারের ৬০ কি.মি. উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সিলেট বন বিভাগের জুরি ফরেস্ট রেঞ্জের লাঠিটিলা পাথারিয়া হিল রিজার্ভ ফরেস্টের (পিএইচআরএফ) একটি অংশ। পিএইচআরএফ বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছয়টি ট্রান্স বর্ডার ফরেস্ট রিজার্ভের একটি।
প্রশাসনিকভাবে পিএইচআরএফ দেশের জুড়ি ও বড়লেখা ও দুটি উপজেলার মধ্যে অবস্থিত। ২০১৫ সালের সর্বশেষ পরিমাপ অনুযায়ী, বর্তমানে সংরক্ষিত বনটির আয়তন ৮০ বর্গ কি.মি.; এরমধ্যে লাঠিটিলার আয়তনই ২০ বর্গ কিলোমিটার।
ত্রিপুরা পাহাড়ের জামপুই রেঞ্জের সর্ব উত্তরের অংশ হলো পিএইচআরএফ, ভারতের আসামের করিমগঞ্জের সঙ্গে এর সীমান্ত এলাকাও রয়েছে।
১৯৮৯ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরষ্কার জয়ী প্রসিদ্ধ লেখক শাহরিয়ার কবির পাথারিয়ার খনি রহস্য নামে একটি কিশোর থ্রিলার লেখেন। আমার কিশোর বয়সে এই বইটি পড়েই পিএইচআরএফের ছবি আমার মনে দাগ কাতে।
২০২১ সালে এসে পিএইচআরএফ কেমন আছে? বিগত দুই দশকে সংরক্ষিত এ বনটির প্রায় ৪০ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়ে এসেছে। এরমধ্যে এখানে একটিও বড় পরিসরে, দীর্ঘমেয়াদি জীববৈচিত্র্য জরিপ চালানো হয়নি।
সাফারি পার্কের পরিকল্পনা করে, বনের যতোটুকু বর্তমানে বাকি আছে তারও এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহার করে আমরা কি এর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিচ্ছি না?
বন্য স্তন্যপায়ীদের হটস্পট
আমরা সবাই জানি লাঠিটিলায় হাতি আছে। কিন্তু আর কী আছে এই বনে? বইপত্র ঘেঁটে কিছুই পেলাম না। দুই দেশের মধ্যবর্তী বন হওয়ায় এনিয়ে ভারতের কিছু কাজ খুঁজে পেলাম।
২০১৭ সালে গ্লোবাল ইকোলজি অ্যান্ড কনজারভেশন জার্নালে প্রকাশিত দু'জন ভারতীয়র করা এক গবেষণা বলছে, মোট ৮৩টি প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণির বাস পিএইচআরএফে। এর মধ্যে রয়েছে এশিয়াটিক ওয়াইল্ড ডগ, এশীয় কালো ভাল্লুক, মেঘলা চিতা, গ্রেটার হোগ ব্যাজার, বিন্টুরং, এশীয় সোনালী বিড়াল, উল্লুক, আসাম ম্যাকাক, ভোঁদড়, প্যাঙ্গোলিন, লজ্জাবতী বানর ইত্যাদি। সবগুলো প্রাণিই বিশ্বব্যাপী বিপন্নপ্রায়।
সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিএইচআরএফের বেশিরভাগ অংশ বাংলাদেশের। এ কারণেই আমাদের অংশেই জীব বৈচিত্র্যও বেশি। তাহলে, কেনো আমরা লাঠিটিলার এমন ভাগ্য বরণ করে নেবো?
মাংসাশীদের বাঁচতে দিন
আইইউসিএন বাংলাদেশের ২০১৫ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশের মাংসাশী প্রাণিদের প্রায় অর্ধেক, ২৮টি প্রজাতি বাস করে বাংলাদেশে।
এরমধ্যে লাঠিটিলায় কয়টি প্রজাতি আছে? আর পিএইচআরএফে? বাঘ ছাড়া বাকি সব প্রজাতিই আছে এখানে। তাদের মূল্য কী এরচেয়ে বেশি না?
ব্ল্যাংক স্পট
পিএইচআরএফের অন্যান্য প্রাণিদের করা কাজও খোঁজা শুরু করি। বেশ কিছু সরীসৃপ ও উভচর প্রাণির বর্ণনাও পেয়েছি। তবে সেরকম কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি খুঁজে পাইনি। লাউয়াছড়া বনে সম্প্রতি নতুন ধরনের ব্যাঙ খুঁজে পাওয়া গেছে, লাঠিটিলার সঙ্গে এই বনের সাদৃশ্য মাথায় রেখে বলা যায়, লাউয়াছড়ার চেয়ে বেশি না হলেও, অনুরূপ প্রাজাতিগত বৈচিত্র্যের দেখা মিলতে পারে লাঠিটিলায়ও।
লাঠিটিলার ঝর্নাগুলা বহুবর্ষজীবী, বিশাল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিএইচআরএফে নতুন প্রজাতির মাছ থাকতে পারে, এমন খবরও পাওয়া গেছে। তবে পোকা-মাকড়ের ব্যাপারে সঠিক অনুমান করা সম্ভব নয়। সংরক্ষিত বন ও এর আশপাশের অঞ্চল এখনো অচিহ্নিতই রয়ে গেছে।
বিজ্ঞানের কাছেি অপরিচিত এমন কতো সংখ্যক প্রজাতি বাস করে এখানে? একটি সাফারি পার্কের সঙ্গে কি এর বিনিময় চলে?
যেসব প্রশ্ন রয়ে যায়
প্রতিবেদনটিতে সাফারি পার্ককে বন রক্ষার মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি অবশ্যই একটি কৌশলগত ভুল। দুই মাসের জরিপের মাধ্যমে বনটির গাছপালা ও প্রাণির তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
কীভাবে এতো অল্প সময়ে একটি বনের বৈজ্ঞানিক তালিকা তৈরি করা যায়? এটিই কি এই জরিপের পক্ষপাতদুষ্টতা নির্দেশ করে না?
সিংহ, হায়েনা, চিতার মতো আফ্রিকান মাংশাসী প্রাণি, এমনকি দক্ষিণ আমেরিকান জাগুয়ারকে এই বনে নিয়ে আসার কথা রয়েছে পরিকল্পনায়। বিশ্বব্যাপী বিপন্ন গণ্ডার, অরিক্স, সাবেল হরিণ, জিরাফ, জলহস্তী, নু-হরিণ বা উইল্ডবিস্টের মতো প্রাণিও আনা হতে পারে সাফারি পার্কে। এতো ছোট জায়গায় (২০ বর্গ কি.মি) কীভাবে এতো বিস্তৃত প্রজাতির বন্যপ্রাণী বাস করবে? প্রতিবেদনে একটি আদর্শ সাফারি পার্ক কেমন হবে- তাও বলা হয়নি।
সাফারি পার্কের ৫০০ কর্মকর্তার বাসস্থান নির্মাণসহ ভারি অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রাণিদের আবদ্ধ রাখার জন্য পরিবেষ্টনী দেওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারেও প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে দেশের প্রসিদ্ধ বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান একটি ভয়াবহ দিকের ওপর আলোকপাত করেন, "আফ্রিকা, মালেয়শিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও অনেক ইউরোপীয় দেশের সাফারি পার্কগুলোর সঙ্গে বিদ্যমান দুটি সাফারি পার্কেরই বিন্দুমাত্র মিল নেই। সুতরাং, বিদ্যমান পার্কের ত্রুটি সংশোধন পুনর্গঠনে আগে প্রাকৃতিক বনভূমি নতুন আরেকটি পার্ক নির্মাণ করার কোনও মানেই হয় না।"
বিদ্যমান পার্কগুলোর ব্যবস্থাপনা ও পাহাড়ি বনে নতুন সাফারি পার্ক নির্মাণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা মূল্যায়নের জন্য বিদেশি ও পেশাদার সাফারি পার্ক পরামর্শদাতা নিয়োগের পরামর্শ দেন ড. রেজা খান।
বিতর্ক
ডলফিন আর বেলুগা তিমি রাখার জন্য ডলফিনারিয়ামের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনায়। এটি রক্ষণাবেক্ষণের দক্ষতা আমাদের আছে কিনা-এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
অন্যদিকে, ডলফিনারিয়ামের পুরো বিষয়টি এমনিতেই বিতর্কিত। বিশ্বজুড়েই একের পর এক ডলফিনারিয়াম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরিকল্পনায় পাখির, বিশেষত বিদেশি পাখি রাখার জন্য বিস্তীর্ণ আবদ্ধ স্থান বানানোর কথাও রয়েছে। এর ফলে চিরসবুজ এই বনে বন্যপ্রাণী পাচারের মহাসমারোহ দেখা যেতে পারে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজসহ অনেক বিশেষজ্ঞ এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
পার্কে কৈ-কার্পের পুকুর বানানোর কথাও দেখলাম। কৈ কার্প বিশ্বের অন্যতম আক্রমণাত্মক প্রজাতি। এখানে এই মাছগুলোকে রাখা ঝর্না অধ্যুষিত বৃষ্টিবহুল এলাকায় যে কোনো মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। লাঠিটিলা ও পাথারিয়ার দেশীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য বিদেশি প্রজাতির প্রাণি কী প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনাতেই রাখা হয়নি।
সামুদ্রিক অ্যাকয়ারিয়াম স্থাপনের কথাও বলা আছে। লাঠিটিলার মিশ্ব চিরসবুজ বনের সৌন্দর্য, ঝর্না, পার্শ্ববর্তী চা বাগান- এসব বিবেচনায় রাখলে সামুদ্রিক অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার চিন্তা সঠিক?
বেশ কয়েক বছরের মাছ পালনের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত অ্যাকোয়ারিয়ামের পরিচর্যা করা কতোটা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারে। এটি দেখে বিস্ময়ে আমার চোখ কপালে ঠেকেছিল।
অর্থের সদ্ব্যবহার
সাফারি পার্ক নির্মাণ করার জন্য বিশাল অঙ্কের- ৯৮০ কোটি টাকার বাজেট চাওয়া হয়েছে সরকারের কাছ থেকে।
"বিনোদন ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে সাফারি নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এক দিক দিয়ে চিন্তা করলে এটি বড় পরিসরে প্রাণিদের আবদ্ধ রাখার স্থান যা লোকালয়ের কাছেই বানানো উচিত। সীমান্ত এলাকা ও দুর্গম বনের ভেতর নয়," বলেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পরিবেশ সংরক্ষণবাদী এনাম উল হক।
"পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্যের হুমকির কারণে সাফারি পার্কটি সরকারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে, বিপুল অঙ্কের বার্ষিক ক্ষতিও গুনতে হতে পারে। মালয়েশিয়ায় এধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল; যার কারণে বার্দ সাফারি পার্কটির বেসরকারিকরণ করতে হয়েছিল," যোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে, ড. রেজা খানের মতে বিদ্যমান চিড়িয়াখানা ও পার্কগুলোতে বিনিয়োগ করা আরও লাভজনক হবে। "যথাযথ চেষ্টায় আমাদের চিড়িয়াখানা থেকে প্রস্তাবিত ওই সাফারি পার্কের চেয়ে বেশি আয় করা সম্ভব," বলেন তিনি।
আরও অনেক কম বিনিয়োগ করেই আমরা লাঠিটিলায় প্রকৃত পরিবেশ সংরক্ষণের ফল পেতে পারি। বছরপ্রতি বৈজ্ঞানিক জরিপে বিনিয়োগ করলে অনেক নতুন নতুন আবিষ্কার হতে পারে। বনটিকে জাতীয় পার্ক বা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্যও অর্থ খরচ করা যায়।
বাংলাদেশ বন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের দক্ষতা বাড়াতে অর্থ ব্যয় করা যায়। পরিবেশ সংরক্ষণের শিক্ষার প্রসারে ও মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত পরিস্থিতির উন্নয়নে অর্থ ব্যয় করা যায়। এসব ক্ষেত্রে দেশ একেবারেই পিছিয়ে আছে।
নাকি আমরা একটি সম্পূর্ণ বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করে বিশাল বড় চিড়িয়াখানা বানাবো?
"দুটি জিনিসই অসীম: মহাবিশ্ব আর মানুষের অজ্ঞতা; এবং আমি মহাবিশ্বের ব্যাপারে নিশ্চিত নই," বলেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন।
- লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক ও বন্যপ্রাণি গবেষক।
- ভাষান্তর: রাফিয়া তামান্না
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.