টানা ৬৫ বছর গোসল করেন না তিনি
শীতকাল শেষ হতে চলেছে। শীতে রোজ গোসল করতে একটু-আধটু আলসেমি আমাদের সবারই হয়, ইচ্ছে করে না গায়ে পানি ছোঁয়াতে। কিন্তু সেটা কতদিন? বড়জোর ২ দিন। কিন্তু টানা ৬৫ বছর গোসল না করে থাকার কথা ভাবা যায়?
এমনই এক রেকর্ড করেছেন দক্ষিণ ইরানের দেজগাহর বাসিন্দা আমৌ হাজী। ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে শরীর ভাল থাকে’ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এমন আপ্তবাক্যকে একেবারে ডাহা মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।
৮২ বছর বয়সের এই বৃদ্ধের দাবি গত প্রায় সাড়ে ছয় দশক ধরে তিনি গোসল করেন না। শুধু তাই নয়, গায়ে এক ফোঁটা পানিও ছোঁয়ান না তিনি। তার সোজাসাপ্টা কথা- গোসল করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে অস্বস্তি হয়।
তাই নোংরা, মলিন থাকাটাই তার পছন্দের। আমৌ হাজী নেশা পছন্দ করেন। তাই ভালবাসেন পাইপ টানতে। পুরোনো ধুলিমলিন একটা পাইপ আছে তার। তবে পাইপে ভরা থাকে বিভিন্ন পশুর বর্জ্য পদার্থ। তামাকের বদলে এসবের ধোঁয়াতেই সুখটান পান তিনি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গোসলকে বয়কট করা এই বৃদ্ধ আবার পাত্রীও খুঁজছেন।
তবে বিয়ে করার শর্ত একটাই, তার সঙ্গে ঘর বাঁধতে গেলে সঙ্গিনীকেও তার মতোই গোসল না করে থাকতে হবে।
তবে গোসল না করলেও পানিকে ভয় পান না আমৌ। নিয়মিত পানি পান করেন তিনি।
ভারতও পিছিয়ে নেই
আমৌ যার কাছ থেকে রেকর্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন, তিনি ভারতের বারাণসীর গুরু কৈলাস সিংহ। সিংহমশাই ১৯৭৪ থেকে গত ৪৫ বছর ধরে গোসল করেন না।
কিন্তু শুধু নিজের খেয়ালে এই অভ্যাস গড়ে তোলেননি তিনি। ২৯ বছর বয়সে ১৯৭৪ সালে তার বিয়ের সময় এক সাধু নাকি তাকে বলেন যে, স্নান না করলে তিনি পুত্রসন্তান লাভ করবেন। সেই আদেশ শিরোধার্য করে কৈলাস গোসল বন্ধ করে দেন। তবে কৈলাসের ছেলে নেই, তার সাতটি সন্তানই মেয়ে!
তার স্ত্রী কলাবতী দেবীর এসব পছন্দ নয়। তিনি চান তার স্বামী স্নান করুক। কলাবতী এক সঙ্গে না থাকার হুমকি দিয়েছেন। লাভ হয়নি। গোসলের কথা বলে হাল ছেড়েছেন মেয়েরাও। ধনুকভাঙা পণে অটল কৈলাসের একটাই বক্তব্য, একমাত্র পুত্রসন্তান হলেই তিনি স্নান করবেন।
তবু ধনুকভাঙা পণে অটল কৈলাসের একটাই বক্তব্য, একমাত্র পুত্রসন্তান হলেই তিনি গোসল করবেন।