করোনা মহামারির মধ্যেই স্কুলগুলো আবার খোলা কতটা নিরাপদ?

ফিচার

ইউএনবি
10 August, 2020, 10:45 am
Last modified: 10 August, 2020, 10:51 am
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানায়, প্রস্তাবিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কুলে মাস্ক পরা এবং চলাচল সীমাবদ্ধ করা যাতে বাচ্চারা সারাদিন একই ক্লাসরুমে থাকে।

কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে। যেহেতু এটি একটি নতুন ভাইরাস, তাই চিকিৎসক এবং গবেষকরা করোনা কীভাবে বাচ্চাদের প্রভাবিত করে এখনও সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। 

যে কোনও বয়সের লোকদেরকে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া সম্ভব, তবে এখনও পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে বাচ্চাদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর খুব কম সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ঝুঁকিগুলো প্রতিটি শিশুর স্বতন্ত্র পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

এছাড়া এটি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় এলাকায় কমিউনিটি সংক্রমণ কেমন এবং বিদ্যালয় খোলার পর সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন হবে তার উপরও নির্ভর করবে। যে সব এলাকায় করোনা করোনা সংক্রমণ বেশি সেখানে শিক্ষাগ্রহণ খুব ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।

স্কুলে যেভাবে নিরাপদে থাকবেন

বাচ্চারা চলমান সঙ্কটের প্রভাব বড়দের থেকে আলাদাভাবে মোকাবিলা করছে। কোভিড-১৯ সম্পর্কিত তথ্য এবং রোগীদের আশঙ্কা এবং উদ্বেগকে হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। নিজস্ব ভাবে ক্লাস পুনরায় শুরু করার সময় স্কুলগুলোকে এসব তথ্য সামঞ্জস্য করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানায়, প্রস্তাবিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কুলে মাস্ক পরা এবং চলাচল সীমাবদ্ধ করা যাতে বাচ্চারা সারাদিন একই ক্লাসরুমে থাকে। কয়েক ফুট দূরত্বে ডেস্ক স্থাপনেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অ্যাসেম্বলি, ক্যাফেটেরিয়া খাবার এবং অন্যান্য জমায়েত বাতিল করাও এটি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।

ইউনিসেফ ক্লাসের আকার ছোট করার জন্য স্কুলগুলোকে শিফটে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। প্রশাসকদের হ্যান্ড ওয়াশিং, শ্বাস প্রশ্বাসের নিয়ম (অর্থ্যাৎ কাশি এবং কনুইতে হাঁচি দেয়া), শারীরিক দূরত্বের ব্যবস্থা, সুবিধাগুলোর জন্য পরিষ্কার পদ্ধতি এবং নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুতের অনুশীলনসহ স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপের উন্নতির সুযোগগুলো দেখার কথা বলেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু স্কুল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য ব্যক্তিগত ক্লাস এবং অনলাইন শিক্ষার পরিকল্পনা করছে, কিছু স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশও তুলনামূলকভাবে স্কুল পুনরায় চালু কম করেছে এবং স্কুলগুলোতে প্রাদুর্ভাবের কোনও বাঁধা ছিল না। কিন্তু ইসরায়েলে ভাইরাসজনিত কার্যকলাপ কম থাকাকালীন যে স্কুলগুলো আবার চালু হয়েছিল কয়েক সপ্তাহ পরে সেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়।

বাংলাদেশে করোনভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে একাডেমিক কার্যক্রম যাতে বাধা না হয় সেজন্য ফেসবুক এবং ইউটিউবে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.