এক হাজার বছর আয়ু: আমরা কি প্রস্তুত দীর্ঘজীবনের জন্য?

ফিচার

05 July, 2021, 08:05 pm
Last modified: 05 July, 2021, 08:08 pm
দীর্ঘ আয়ু পাওয়ার অর্থ কী? আমরা কি আদৌ এর জন্য প্রস্তুত?

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-র (বিবিএস) সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৮ বছর হয়েছে। তথ্যটি সবাইকেই উল্লসিত করেছে।

একজন মন্ত্রী অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অগ্রগতির ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু বৃদ্ধি নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জাপানের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৮০ বছর—বাংলাদেশ শিগগিরই গড় আয়ুর দিক থেকে জাপানকে ধরে ফেলবে। 

৮০ বছর গড় আয়ু অর্জন বাংলাদেশের জন্য বিশাল সাফল্য হতে পারে। তবে দুই বছর আগে এসইএনএস (স্ট্র্যাটেজিস ফর ইঞ্জিনিয়ারড নেগলিজিবল কৌশলগতভাবে অবহেলিত সেনসেন্স) রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা, বায়োমেডিক্যাল জিরোনটোলজিস্ট (বার্ধক্য নিয়ে গবেষণা করেন যিনি) অব্রে ডি গ্রে-র একটি ঘোষণা খবরের কাগজে হইচই ফেলে দিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, এক হাজার বছর বেঁচে থাকবে যে ব্যক্তি, ইতোমধ্যে তার জন্ম হয়ে গেছে।

ড. ডি গ্রে বলেছিলেন, এক হাজার বছর আয়ুর ব্যাপারটা আসলে একটা আনুমানিক গড় হিসাব। বর্তমানের বার্ধক্যজনিত কারণ বাদ দিয়ে, মৃত্যুর অন্যান্য কারণ বিবেচনায় নিয়ে হিসেবটা করা হয়েছে।

গ্রে একা নন, তার মতো আরও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে মানুষের আয়ু আগের চেয়ে অনেক বাড়বে। 

মেরিল লিঞ্চের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'আগামী দশকের সেরা বিনিয়োগ হবে রোগ প্রতিরোধ বা নিরাময় এবং বয়স বাড়ার গতি ধীর করার গবেষণার ওপর বিনিয়োগ করা।'

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জিনোম বিজ্ঞানের উদ্ভাবনসহ নানা বার্ধক্যরোধী পণ্যের এখনই ১১০ বিলিয়ন ডলারের বাজার আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই অঙ্ক গিয়ে দাঁড়াবে ৬০০ বিলিয়ন ডলারে।

এছাড়াও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের মধ্যে মানুষের চিকিৎসাবিদ্যা বিষয়ক জ্ঞান প্রতি ৭৩ দিনে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ২০১০ সালে এ জ্ঞান দ্বিগুণ হতো প্রতি সাড়ে ৩ বছরে। ২০০৩ সালের তুলনায় ২০২০ সালে জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের খরচও ৯৯.৯৯৯ শতাংশ কমে যাবে।

মানুষের আয়ু বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব কাজ হচ্ছে, সেসবের উল্লেখও ছিল মেরিল লিঞ্চের প্রতিবেদনটিতে। তাতে বলা হয়, মানব জিনের ওপর যে গবেষণা হচ্ছে, তার বদৌলতে এমন জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হবে যার ফলে রোগবালাই নিরাময় ও প্রতিরোধে বৈপ্লবিক অগ্রগতি আসবে।

আয়ু বাড়ানোর এ খেলার আরেকদল গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হলো কিছু বড় কোম্পানি। এরা কোন লাভের আশা ছাড়াই, সম্ভাব্য ঝুঁকি ও লাভের হিসাব না কষেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী, আলোড়ন তোলা গবেষণামূলক প্রকল্পে অর্থায়ন করে।

এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে, মৃত্যুকে বিলম্বিত করার উপায় অনুসন্ধান। এই গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছে 'ammortality'. ২০২৫ সালের মধ্যে এর ৫০৪ বিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি হবে।

মৃত্যুকে বিলম্বিত করার এ গবেষণার গতি তরান্বিত করতে পারে প্রযুক্তির অগ্রগতি। প্রথমবার সফলভাবে বিমান ওড়ানোর মাত্র ৬৬ বছরের মাথায় মানুষ চাঁদের বুকে পা রেখেছে। প্রযুক্তি কত দ্রুত এগিয়ে চলে এটি তার একটা ছোট্ট উদাহরণ।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দীর্ঘ আয়ু পাওয়ার অর্থ কী? আমরা কি আদৌ এর জন্য প্রস্তুত?

পুঁজিবাদী বিশ্বে বেশি দিন বাঁচার মানে হলো, আমাদেরকে সম্ভবত আরও বেশি কাজ করতে হবে। কিন্তু বেশি কাজ করার সঙ্গে আরেকটা সম্ভাব্য বাস্তব সমস্যাও আছে। দীর্ঘ আয়ু লাভ করলে কাজ করতে করতে একসময় হয়তো দেখব, আমাদের কর্মদক্ষতা সেকেলে হয়ে গেছে, পরিবর্তিত সময়ের সাথে তাল মেলাতে পারছে না। এমনকি আমাদের বহু বছরের শিক্ষাও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়তে পারে। 

অথবা লম্বা আয়ুর অর্থ এমনও হতে পারে: দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার মানে আমাদের জীবনের দৈর্ঘ্য বাড়ছে, কিন্তু তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে না জীবনমান। 

তার ওপরে আছে অনেকগুলো প্রজন্মের সঙ্গে বেঁচে থাকার বিড়ম্বনা। অর্থাৎ জীবনকালে আপনাকে অনেকগুলো প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং কোনো প্রজন্মের কাছেই নিজেকে অপ্রাসঙ্গিক হতে দেয়া যাবে না।

রোবটের দীর্ঘায়ু কী?

অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ (a2i)-এর হিসাব অনুসারে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ৬০ শতাংশ কাজই যন্ত্র দিয়ে করানো সম্ভব।

এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে দেশে গার্মেন্টস কর্মীর সংখ্যা ৪২ লাখ। 

অটোমেশনের কারণে প্রায় বিশ লাখের মানুষ বেকার হয়ে যাবে, তা-ও কেবল একটি খাতে।

সব কর্মক্ষেত্রেই এই চিত্র দেখা যাবে।

সুতরাং, দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার এবং কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের দক্ষতার ঝুলি ভারী করতে হবে।

কিন্তু যুগের চাহিদার সাথে সংগতিপূর্ণ মনে না হলে দক্ষতা বাড়ানো বিলাসিতা বই আর কিছু নয়। 

তবে সুদূরপ্রসারী কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়া এমন বিশাল পরিবর্তন আনলে বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য দীর্ঘজীবন নিদারুণ যন্ত্রণায় পরিণত হবে। 

কাজেই যন্ত্রনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে কর্মীদেরকে সাহায্য করার দায়িত্ব বর্তায় নিয়োগদাতাদের ওপরও।

পরিবর্তিত পৃথিবী

ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানো এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি ও অটোমেশন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা ভবিষ্যত পৃথিবীর কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার পূর্বশর্ত।

ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের সঙ্গে খাপ না খাওয়ায়, তাহলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। 

তবে নিয়োগকর্তারা যদি পুরোপুরি প্রতিস্থাপনের বদলে উৎসাহ প্রদানের ওপর জোর দেন, তাহলে কর্মীরা লম্বা কর্মজীবন কাটাতে পারবেন। 

ম্যাককিন্সে-র এক গবেষণায় দেখা গেছে, সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা যাবে, এমন কাজের পরিমাণ ৫ শতাংশেরও কম।

কিন্তু মানব মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, সংবেদনশীল বুদ্ধিমত্তা, সহনশীলতা এবং অন্যান্য মৌলিক কার্যাবলির নিয়ন্ত্রণ মানুষের কাছেই থাকবে। অর্থাৎ অটোমেশন মানেই মানুষের দিন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জানিয়েছে, এই মৌলিক দক্ষতাগুলোই মানুষকে ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। 

সনদ যখন মূল্যহীন

২০১৮ সালে অ্যাকাউন্টিং ফার্ম আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংয়ের এক গবেষণাপত্রে একটি ভয়ানক তথ্য উঠে আসে। তাদের গবেষণায় বলা হয়, বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিগুলোর প্রায় ৪০ শতাংশ শীঘ্রই অচল হয়ে পড়বে। এবং আগামী এক দশকের মধ্যে প্রথাগত স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি উঠে যেতে পারে।

গবেষণাটিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। নইলে তাদের পাঠ্যক্রম সেকেলে হয়ে যেতে পারে। ওই গবেষণাপত্রে এমন এক ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যেখানে শিক্ষা হবে 'জীবনব্যাপী চলমান' প্রক্রিয়া। সেই ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিনিয়ত পাঠ্যক্রম বদলাতে থাকবে, এবং শিক্ষা দেওয়া হবে অনলাইনে। 

দীর্ঘ আয়ু লাভের পর্যায়ে যাওয়ার আগেই সম্প্রতি বহু মানুষ আবিষ্কার করেছেন, চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা যা শিখেছেন, সেই শিক্ষা পরবর্তীতে তাদের পেশাজীবনের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না।

উদাহরণস্বরূপ, বিপণনকারীদের পুরো একটা প্রজন্মকে হঠাৎই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালাবার জন্য নতুন করে তৈরি হতে হয়েছে। অনলাইনে প্রচারণা চালানোর এই শিক্ষা কিন্তু তারা শ্রেণিকক্ষে কখনও পাননি।

আয়ু যত বাড়বে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন জ্ঞানগুলো রাখব আর কোনগুলোকে ছেঁটে ফেলব। যদিও সময়ের পরিক্রমায় দেখা গেছে, কোনকিছু ভুলে যাওয়ার চেয়ে নতুন কিছু শেখার কাজটা অনেক সহজ। 

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরামহীন শিক্ষার এক জগতের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। 

২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২১ সাল পর্যন্ত নতুন কোনো দক্ষতা অর্জনের জন্য আমাদের ১০১ দিনের প্রশিক্ষণও লাগবে। 

সুতরাং, চাকরিদাতাদের মনে হতেই পারে, এত সময় খরচ করে নতুন কাউকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করার চাইতে আগে থেকেই যারা প্রশিক্ষিত হয়ে আছে, তাদের নিয়োগ দেওয়াই ভালো। সুতরাং, ভবিষ্যতে ত্রিশের কোঠায় বা এর চেয়ে বেশি যাদের বয়স, তাদেরকে পড়াশোনার পেছনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় দিতে হবে।

পরিমাণ নয়, মান

তর্ক হতে পারে, বর্তমানে চিকিৎসাক্ষেত্রের সিংহভাগ বিনিয়োগই হচ্ছে মৃত্যুহার কমানোর গবেষণায়—বয়সজনিত অসুস্থতা বা বার্ধক্য বিলম্বিত করার গবেষণায় নয়।

আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে রোগশোক, প্রতিবন্ধিতা, স্মৃতিভ্রংশ এবং মৃত্যুর আগে অনেক বেশি সময় ধরে বার্ধক্যে ভোগার ঝুঁকি। মোদ্দা কথা, আয়ু বাড়ার অর্থ হলো অসুস্থতাও বেড়ে যাওয়া।

সুতরাং, কীভাবে আয়ু বাড়ানো যায় তা নিয়ে ভাবার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা চিন্তা মাথায় রাখা উচিত—বাড়তি আয়ুষ্কালের জীবনমান একই থাকার সম্ভাবনা কিন্তু কম। কাজেই স্রেফ আয়ু বাড়ানোর ওপর নজর না দিয়ে সুস্থ দীর্ঘজীবনের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। অর্থাৎ একজন মানুষ কত বছর সুস্থ জীবন কাটাতে পারেন, তার ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত আমাদের। 

অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকলে কিন্তু সেরা পরিকল্পনা বা শ্রেষ্ঠ দক্ষতাও কোনো কাজে লাগে না। 

এ সমস্যা নিয়েও অবশ্য গবেষণা হচ্ছে। ড. গ্রে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দীর্ঘজীবন কেবল তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন মানুষ সত্যিকার অর্থে দীর্ঘ যৌবন পাবে। 

আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'অথর্ব, শক্তিহীন ও অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকার কোনো অর্থ নেই।'

এসইএনএস রিসার্চ ফাউন্ডেশনে তাঁর লক্ষ্য হলো, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া বার্ধক্যকে জয় করা। 

তার দীর্ঘায়ু তত্ত্বটি মানুষকে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। তার লক্ষ্য জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বয়স বৃদ্ধির জন্য দায়ী কোষ ও অণুগুলোকে সরিয়ে ফেলা, প্রতিস্থাপন করা অথবা অকার্যকর করে ফেলা। 

ড. গ্রে সফল হলে আমাদের আরেকটা বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়ে যেত হবে।

দীর্ঘ যৌবন

আমরা এখন এক সন্ধিক্ষণে আছি। বার্ধক্যকেও বোধহয় নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার সময় এসে গেছে। বার্ধক্য শুরু হয় কখন?

বর্তমানে কোনো ব্যক্তি বার্ধক্যে পৌঁছেছেন কি না তা ঠিক হয় তিনি পেনশন পাওয়ার বয়সের ওপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে ধরে নেওয়া হয়, বয়স পঁয়ষট্টি হলেই একজন মানুষ বার্ধক্যে পৌঁছেন। কিন্তু আমাদের আয়ু বাড়লে যৌবনের স্থায়িত্বও বাড়বে। 

ভবিষ্যতে ৫০ বছর কি ৩০ বছরের সমতুল্য হয়ে যাবে? আমাদের আয়ু বেড়ে গেলে তখন হয়তো তা-ই হবে। 

এখন আমাদের সিংহভাগ সময় কাটে অর্থ ও কর্মের সংস্থানে। আয়ু বাড়লে আমরা নিজেদের পছন্দের কাজের পেছনে অনেক বেশি সময় দিতে পারব। 

তখন আর ৩০ বছরের মধ্যে বাড়ি কেনার, পঁয়ত্রিশের আগে বিয়ে করার, বিশের আগে স্কুল-কলেজ শেষ করার তাড়া থাকবে না। বেশি সময়ের কল্যাণে আমরা বেশি স্বাধীনতা পাব। আর বাড়তি সময় কাজে লাগাতে পারব নিজেদের শখের পেছনে।

মাত্র এক শতাব্দীতে আমরা আমাদের গড় আয়ু ৩০ বছর বাড়াতে পেরছি। এটি সম্ভবত মানবজাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। 

এখন এ অর্জনের সদ্ব্যবহার কীভাবে করতে পারি, তা নিয়েই ভাববার সময় এসেছে।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.