আকাশপথে ভ্রমণ চিরতরে বদলে দিতে চলেছে কোভিড-১৯

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
10 July, 2020, 06:55 pm
Last modified: 10 July, 2020, 10:08 pm
টুইন টাওয়ারে হামলার আগে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আকাশপথে ভ্রমণের বাজার- যুক্তরাষ্ট্রে ৮টি বৃহৎ এয়ারলাইন্সের অস্তিত্ব ছিল। সেই সংখ্যা হামলা পরবর্তী সময়ে নেমে আসে চারটিতে।  

শুষ্ক এবং মরু অঞ্চল বলেই পরিচিত অস্ট্রেলিয়ার আউটব্যাক অঞ্চলের ছোট্ট শহর অ্যালিস স্প্রিংস। এই স্থানে প্রায় ৩০ হাজার বছর ধরে স্থানীয় আদিবাসীদের বসবাসের প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে নতুন এক ধরনের বাসিন্দা ভিড় জমাচ্ছে এই প্রাচীন বসতিতে। যদিও এ বাসিন্দারা আসলে মানুষ নয় বরং বিশালাকার উড়োজাহাজের ঝাঁক। 

শুধু গত এপ্রিলেই উড়ে আসে বিশালাকার চারটি এয়ারবাস এ-৩৮০ সুপার জাম্বো জেট। ৫০০ টনের এসব দৈত্যাকৃতির উড়োজাহাজের মালিকানা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের। অবশ্য সিঙ্গাপুর একাই নয়, চলমান বৈশ্বিক মহামারির কারণে যাত্রী সংখ্যায় রাতারাতি যে পতন দেখা দিয়েছে, তা বিশ্বের অনেক দেশের এয়ারলাইন্সকেই অ্যালিস স্প্রিংসে তাদের উড়োজাহাজের পুরো বহরের পার্ক করে রাখতে বাধ্য করেছে। 

অস্ট্রেলিয়ার এ অঞ্চল অত্যন্ত শুষ্ক, ফলে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি একেবারেই কম এখানকার বাতাসে। সেই তুলনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুমোট, আদ্র আবহাওয়ায় উড়োজাহাজ সংরক্ষণ করা হলে, তাতে যন্ত্রাংশে মরিচা পড়ার ঝুঁকিই বেশি। শহরটির ছোট্ট বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ নামার মতো লম্বা রানওয়েও আছে। আবার শুষ্ক আবহাওয়ায় কারণে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা হলেও; তাতে বিমানের ক্ষতির সম্ভাবনা কম। 

করোনাভাইরাস জনিত বিপর্যয় কাটিয়ে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন অচিরেই মহামারি পূর্ব স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরবে না। একারণেই অস্ট্রেলিয়ার আউটব্যাককে সংরক্ষণের জন্য বেছে নিয়েছে বৈশ্বিক এয়ারলাইন্সগুলো। খবর বিবিসির। 

আকাশপথে যাত্রী সঙ্কট এবারই প্রথম নয়, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পরও এমন অবস্থা তৈরি হয়েছিল। নিরাপত্তা ঝুঁকির শঙ্কায় ২০০২ সালে মাত্র ১৬৩ কোটি মানুষ বিমানে ভ্রমণ করেন। আগের বছরের তুলনায় যা কমেছিল প্রায় ৩ কোটি। এ অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ফ্লাইট বাতিলে বাধ্য হয় এয়ারলাইন্সগুলো। বাধ্য হয় অনেক বিমানকে সংরক্ষণ করতেও। কিন্তু যাত্রী সংখ্যায় আংশিক ধ্বস ওই সময়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তুলে ধরতে পারে না। 

২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পরবর্তী সময়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই অনেক এয়ারলাইন্স অন্যদের সঙ্গে একীভূতকরণের মাধ্যমে টিকে থাকার উদ্যোগ নেয়। খরচ সাশ্রয়ে নেয় কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো উদ্যোগ। 

টুইন টাওয়ারে হামলার আগে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আকাশপথে ভ্রমণের বাজার যুক্তরাষ্ট্রে ৮টি বৃহৎ এয়ারলাইন্সের অস্তিত্ব ছিল। সেই সংখ্যা হামলা পরবর্তী সময়ে নেমে আসে চারটিতে।  

কিন্তু বর্তমান যাত্রী ধ্বস নতুন মাত্রার। আকাশপথে পরিবহনের এমন ধ্বস সংশ্লিষ্ট শিল্পের ইতিহাসে নজিরবিহীন। তাই কোভিড-১৯ পরবর্তী আকাশপথে ভ্রমণ কেমন হবে তা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। 

তবে প্রথমেই যাত্রী সঙ্কটের কারণগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। ভাইরাসের বিস্তার রোধে নেওয়া নানা দেশের সরকারি নীতিমালার প্রেক্ষিতেই এখন আকাশপথে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে। ভারত, মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কিছু দেশ এখন পর্যটক ভিসা দিচ্ছে না। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো কিছু দেশ পর্যটনে ভিসাহীন ভ্রমণ সুবিধা বাতিল করেছে। 

এমন পদক্ষেপ শুধু লাখ লাখ মানুষের ভ্রমণকেই শুধু নিরুৎসাহিত করেনি, বরং বিশ্বের আকর্ষণীয় সব আকাশপথের পরিবহন বাজারে এয়ারলাইন্সগুলোর সেবা দেওয়াও বন্ধ করেছে। কারণ এ অবস্থায়, খালি বিমানের উড্ডয়ন চালু রাখার কোনো আর্থিক যুক্তিও নেই তাদের। তাই সরকারিভাবে আরোপিত ভিসা নীতি কড়াকড়ি শিথিলের ওপর নির্ভর করছে যাত্রীবাহী বিমানের স্বাভাবিক চলাচল।

মরিচা রোধে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের কিছু বিমান সংরক্ষণ করা হচ্ছে অ্যালিস স্প্রিংস বিমানবন্দরে। ছবি: বিবিসি

চুক্তিভিত্তিক ভ্রমণ অঞ্চল :

ইতোমধ্যেই কিছু কিছু দেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি শিথিলে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা সম্প্রতি তাদের পর্যটন শিল্প চালুর ঘোষণা দেয়। অবশ্য, বিদেশিরা এ সুযোগ পাবেন না। শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের অনুমতি পাবে স্থানীয়রা। বিদেশিদের আরও অপেক্ষা করতে হবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির পর্যটন মন্ত্রী মামমোলোকো কুবায়ি। তিনি জানান, 'আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল উন্মুক্তের বিষয়টি বৈজ্ঞানিক তথ্যাবলী বিশ্লেষণের মাধ্যমে নেওয়া হবে। নাগরিকদের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করাটাই এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে।'  

দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রী ভাষ্য একটা দিক স্পষ্ট তুলে ধরে। তা হচ্ছে; পর্যটনের আর্থিক সুবিধা নিজ দেশের নাগরিকদের দেওয়ার পাশাপাশি- তাদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাঝে এখন সরকারগুলোকে এক ধরনের ভারসাম্য বজায় রেখেই চলতে হচ্ছে। 

নানা দেশের বিদ্যমান চলাচল নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতিতে ভ্রমণের আরেকটি উপায় হতে পারে- 'ট্র্যাভেল বাবল'। ভ্রমণ ব্যবস্থাটিকে এখন অনানুষ্ঠানিকভাবে 'করোনাভাইরাস করিডর' বা 'আকাশ সেতু' বলা বলছেন পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। 

এর আওতায় বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে কিছু কিছু দেশ নিজেদের মধ্যে পরিবহন সেবা চালু করতে পারে। বিশেষ করে, যেসব দেশে করোনার সংক্রমণ একেবারেই কম বা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে- সেসব দেশ থেকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো ব্যতীত অন্য দেশ থেকে ভ্রমণ বন্ধ থাকার ফলে 'এয়ার বাবল' অঞ্চলে সংক্রমণ ছাড়ানোর ঝুঁকিও এতে অনেকাংশে কমে আসবে। 

মহামারিতে বৈশ্বিক যাত্রী সংখ্যা কমতে কমতে নেমে এসেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়। ছবি: বিবিসি

করোনা পরীক্ষায় নির্ভুল ফলাফল নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ: 

যুক্তরাজ্য সরকার আজ ১০ জুলাই থেকে ৫০টি দেশের ভ্রমণকারীদের কোয়ারেন্টিন ছাড়াই ইংল্যান্ডে ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে। ঘোষণাটি দেওয়া সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছিলেন, ''পুরো বিশ্ব থেকে আগমনকারীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার পরিবর্তে যেসব দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে; সেসব দেশের ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রেই শুধু এমন সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।''

কিন্তু এ ধরনের চলাচলে যাত্রীদের নিজস্ব বিচার-বিবেচনার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করতে হবে। উপসর্গ অনুভব করা স্বত্বেও কেউ যদি আকাশপথে ভ্রমণ করেন; তাহলে অন্যান্য যাত্রীদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

উদাহরণস্বরূপ ধরে নেওয়া যাক, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যে বিশেষ চুক্তিভিত্তিক বিমান পরিবহন অঞ্চল। ফরাসি কোনো নাগরিক যদি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ চলছে এমন দেশ (যেমন; যুক্তরাষ্ট্র) ভ্রমণ করে তারপর ফ্রান্স হয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন; তাহলেই 'এয়ার বাবলের' পুরো ব্যবস্থাটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। এমন ঝুঁকি কীভাবে দূর করা হবে, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। 

বিষয়টি আরও অস্পষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যেসব দেশের মধ্যে কোনো সীমান্ত বাঁধা নেই, এমন জোনের মধ্যে চলাচলের ক্ষেত্রে।  

তাই সবচেয়ে ঝুঁকিমুক্ত উপায় হিসেবে বলা হচ্ছে বিমানবন্দরে দ্রুত করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার কথা। এর ফলে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের তাৎক্ষনিক ভাইরাস টেস্ট করতে পারবেন। আবার শনাক্ত ব্যক্তিকে তাৎক্ষনিকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখার উদ্যোগও নেওয়া যাবে এর ফলে। 

ইতোমধ্যেই স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এর কার্যকারিতা নিয়ে এক গবেষণা করছেন। তাইওয়ান সরকারের সহযোগিতায় করা এ গবেষণায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর বিমানযাত্রীদের ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করা হচ্ছে। গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীরা জানান, ''পরীক্ষার পর কত দ্রুত একজন যাত্রীকে সংক্রমণ ঝুঁকি মুক্ত ঘোষণা করে ছেড়ে দেওয়া যায়, তা নির্ধারণ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।'' তাইওয়ানের মতো যেসব দেশের ক্ষেত্রে আকাশপথে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পুনরায় চালু করার সঙ্গে অর্থনীতিকে গতিশীল করার সম্পর্ক অপরিহার্য- তাদের জন্য এ গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যায়ের সংস্পর্শ কমাতে ইতোমধ্যেই অনেক সেবা বাতিল করেছে কিছু কিছু এয়ারলাইন্স। ছবি: বিবিসি

তবে করোনা পরীক্ষায় নির্ভুলতা নিশ্চিত করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ধরে নেওয়া যাক; আপনি বিমানে ভ্রমণ করছেন আর আপনার পাশের যাত্রী করোনা নেগেটিভ ছাড়পত্র পেলেও, আসলে তিনি পজিটিভ। ফলে আপনিও সংক্রমিত হয়ে পড়তে পারেন। ইতোমধ্যেই করা বেশকিছু গবেষণা জানাচ্ছে, নেগেটিভ চিহ্নিত ব্যক্তিদের মধ্যে আসলে প্রকৃত সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। এমনকি প্রতি তিনজনে একজন ব্যক্তির পরীক্ষার ফলাফলে এমন ভুল হচ্ছে; যাকে বলা হয় 'ফলস নেগেটিভ'।
 
নিউ ইয়র্কের রচেস্টার ইনস্টিটিউড অব টেকনোলজির জীববিদ্যা অনুষদের অধ্যাপক মরিন ফেররান বলেন, ''নাকের ভেতর থেকে সোয়াবের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়ার তা অনেক সময় তা যথেষ্ট গভীরে প্রবেশ করানো হয় না। তাই যথেষ্ট নমুনাও পাওয়া যায়না। যেটুকু নমুনা পাওয়া যায়, সেখানে ভাইরাসের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনাও কম। এর ফলে ভুল করে কাউকে সংক্রমণমুক্ত শনাক্ত করা হতে পারে।'' 

তিনি আরও বলেন, ''কাউকে যদি সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে বা অনেক পরের পর্যায়ে টেস্ট করা হয়, সেক্ষেত্রেও ফলস নেগেটিভ ফল আসতে পারে। কারণ এ দুটি স্তরে রক্ত কণিকায় ভাইরাসের উপস্থিতি খুব একটা থাকেনা'' 

তাই বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যক হলো করোনার স্থায়ী প্রতিষেধক আবিষ্কার। এর ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি যেমন কমবে, ঠিক তেমনি নানা দেশের আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করা হতে পারে। 

তবে স্থায়ী প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার করা সহজসাধ্য নয়। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার পরও এখন পর্যন্ত এইচআইভি বা ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রতিরোধের শতভাগ কার্যকর টিকা আবিষ্কার করা যায়নি। পাশাপাশি টিকা আবিষ্কারের পর তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতেও দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। 

এই অবস্থায় যাত্রী সেবায় কিছু পরিবর্তন আছে কাতার এয়ারলাইন্সের মতো কিছু পরিবহন সংস্থা। 

কোভিড-১৯ পূর্ববর্তী সময়ে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণের স্বার্থে শব্দ নিরোধক হেডফোন, পায়জামাসহ আন্তর্জাতিক মানের পাঁচকদের তৈরি খাবার পরিবেশন করা হলেও; সেসব এখন বন্ধ করে দিয়েছে কাতার এয়ারলাইন্স। বিমানে বসে পড়ার জন্যে আগের মতো ম্যাগাজিনও পাচ্ছেন না যাত্রীরা। তবে খরচ বাঁচাতে নয়, বরং সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে এমন 'টাচপইয়েন্ট' কমাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাত্রী সেবার জন্য এশিয়ার বিখ্যাত আরেক পরিবহন সংস্থা- সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সও সম্প্রতি যাত্রীদের ট্রলিতে করে খাবার পরিবেশন বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তে যাত্রীরা পাচ্ছেন স্নাক ব্যাগ; যেখানে প্রয়োজনীয় পানীয় ও অন্যান্য খাবার থাকছে। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.