প্রিয়া সাহার বক্তব্যের বিষয়ে কে কী বলছেন?

টপ নিউজ

20 July, 2019, 04:20 pm
Last modified: 05 March, 2021, 07:52 pm
শুক্রবার জুড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তোলা এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে শনিবার নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কাদের যেমন প্রিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন তেমনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও বলেছেন, দেশে ফিরলে প্রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে দেয়া প্রিয়া সাহার বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া এসেছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায় থেকে।

শুক্রবার জুড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তোলা এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে শনিবার নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কাদের যেমন প্রিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন তেমনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও বলেছেন, দেশে ফিরলে প্রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এ ছাড়াও প্রিয়ার বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। 

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবেঃ কাদের

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে 'অসত্য' তথ্য উপস্থাপন করায় প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভাপতিমন্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

 

তিনি বলেন, "প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে যে বক্তব্য দিয়েছে তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রিয়া সাহার বক্তব্য দেশের অভ্যন্তরে লুকায়িত মতলববাজ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আরো শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে এ ধরনের বক্তব্য দেশের জন্য ক্ষতিকর।"

ওবায়দুল কাদের বলেন, "দেশের বিরুদ্ধে অসত্য, দেশদ্রোহীমূলক বক্তব্য দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। প্রিয়া সাহা আওয়ামী লীগ ও এর কোনো সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে কোনোভাবে সস্পৃক্ত না। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রস্তুতি চলছে।"

দেশে ফিরলেই জিজ্ঞাসাবাদঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তারাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা যে 'খবর' দিয়েছেন তা কোন উদ্দেশ্যে দিয়েছেন তা জানতে দেশে ফিরলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। 

প্রিয়া সাহার বক্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে শনিবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। 

তিনি বলেন, "এ ধরনের খবর দেওয়ার পেছনে তার নিশ্চয়ই একটি কারণ ও উদ্দেশ্য রয়েছে। দেশে আসলে নিশ্চয়ই আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করব।"

 

প্রিয়া সাহা ঠিক কি উদ্দেশ্যে ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন কথা বলেছেন তা 'দেখার বিষয়' হয়ে দাড়িয়েছে বলে মন্তব্য কামালের।

"তার উদ্দেশ্যটা কী, এটা আমাদের দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

ট্রাম্পের কাছে দেয়া 'মৌলবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক প্রিয়া সাহার ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া' সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "কোথায় ঘটনাগুলো ঘটেছে এবং কার কার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার সঠিক আমরা তদন্ত করি নাই বা করেছি, সেগুলো আমরা অবশ্যই দেখব।" 

নিন্দা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ট্রাম্পের কাছে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগকে 'মিথ্যা ও কল্পিত গল্প' উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "তিনি ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান লোক উধাও হয়ে গেছে। তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মুসলিম উগ্রবাদীরা এ কাজ করেছে।"

তার এই বক্তব্যের পেছনে বাংলাদেশের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য 'স্পষ্ট' উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "তিনি ট্রাম্পের কাছে যে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার দৃঢ় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। তার এই মিথ্যা ও কল্পিত গল্পের পেছনে বাংলাদেশকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য স্পষ্ট।"

 

বাংলাদেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, "এখানে সব ধর্মের লোকেরা যুগ যুগ ধরে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের এই মানবিক মনোভাব ও উদারতা সারা বিশ্বে প্রশংসা পাচ্ছে।"
 
প্রিয়া সাহাকে আমন্ত্রণ জানানোয় বাংলাদেশ সরকার খুশি নয় এমন ইঙ্গিত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বাংলাদেশ সরকার আশা করে, এ ধরনের বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজকরা এমন ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাবেন, যারা সত্যিকার অর্থে ধর্মীয় স্বাধীনতার মূল্য বাড়াতে অবদান রাখবেন।"
 

প্রিয়া সাহার বক্তব্য তার নিজস্বঃ রানা দাশগুপ্ত
 
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে প্রিয়া সাহার দেয়া বক্তব্যকে 'তার নিজস্ব' বলে দাবি করেছেন আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত ।
 
রানা দাশগুপ্ত বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি। তার সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা। 
 
প্রিয়ার এই বক্তব্যের বিষয়ে হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বক্তব্য না দেয়া হলেও বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের কাছে এই বক্তব্য দিয়েছেন রানা। 
 
তিনি বলেছেন, ""তিনি যা বলেছেন, এটা তার একান্ত নিজস্ব বক্তব্য, সাংগঠনিক বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত নয়।"
 
ওই গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, তার সংগঠন থেকে তিনজন প্রতিনিধিকে ওয়াশিংটনের ওই সম্মেলনে পাঠানো হয়েছিল। এরমধ্যে প্রিয়া সাহা ছিলেন না। 
 
তিন কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়েছে বক্তব্য দিয়ে প্রিয়া সাহা কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর।

বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্তঃ মার্কিন রাষ্ট্রদূত
 
গত আটমাসে বাংলাদেশে ঘুরে এদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা দেখেছেন তা বিশ্বের জন্য  দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।
 
শুক্রবার রাজধানীর মেরুল বাড্ডা বৌদ্ধ বিহারে এক অনুষ্ঠানে গেলে প্রিয়া সাহার বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি এ মন্তব্য করেন। 
 
প্রিয়ার বক্তব্য নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না জানিয়ে মিলার বলেন, মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশ থেকে পাঁচজন প্রতিনিধি এবং দুইজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ওয়াশিংটনের ওই সম্মেলনে পাঠিয়েছিল। 

 
রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়ে আসার পর গত আট মাসে সবগুলো বিভাগ ঘুরে এবং প্রধান চার ধর্মের উপাসনালয়ে গিয়ে তার ধারণা হয়েছে, ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ 'উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি' দেখিয়েছে, বলে মত দেন তিনি। 
 
"আপনি কীভাবে উপাসনা করেন, কীভাবে প্রার্থনা করেন, স্রষ্টাকে আপনি কেমন করে অনুভব করেন-এই সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে অন্য ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধা করতে পারাটা বিশ্বের জন্যই একটা দৃষ্টান্ত।"  
 
তিনি বলেন, "এটা আমার দেশের জন্য একটা শিক্ষানীয় বিষয়, পুরো বিশ্বের এখান থেকে শেখার আছে।"

ট্রাম্পের কাছে কি বলেছেন প্রিয়া সাহা?
 
যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মত আয়োজিত 'ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি' শীর্ষক তিন দিনের একটি সম্মেলনে যোগ দেয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা দেখা করে নিজ নিজ দেশের সমস্যার কথা জানান। সেখানেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ জানান বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা।
ট্রাম্পের কাছে তিনি বলেন, "বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন।"
 
তিনি বলেন, "প্লিজ আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ আছে। আমার অনুরোধ, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না। তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু বিচার হয়নি।"
 
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানতে চেয়েছিলেন- কারা তার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, জমি কেড়ে নিয়েছে।
 
জবাবে প্রিয়া বলেন, তারা মুসলিম মৌলবাদী, তারা সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।
 
ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যপক আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়। বাংলাদেশ সরকারও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তার বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। 
 

কে এই প্রিয়া সাহা? 
 
প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। 
 
তিনি 'শারি' নামে বাংলাদেশের দলিত সম্প্রদায় নিয়ে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত। প্রিয়া সাহা 'দলিত কণ্ঠ' নামে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক।
 
পিরোজপুরের মেয়ে প্রিয়া সাহার স্বামী মলয় কুমার সাহা দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা। তাদের দুই মেয়ে পড়াশোনা করেন যুক্তরাষ্ট্রে।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন প্রিয়া। থাকতেন রোকেয়া হলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। 
 
তিনি 'মহিলা ঐক্য পরিষদ'এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
'বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের' অভিযোগ এনে গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
 
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক সংগঠন 'হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন'র কর্মকর্তা জয় ক্যানসারার উদ্যোগে প্রিয়া সাহা যুক্তরাষ্ট্রে ওই সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.