ঢাকায় ভারত-বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কার

টপ নিউজ

ইউএনবি
30 August, 2019, 10:50 am
Last modified: 30 August, 2019, 11:12 am
সেই সাথে ফেডারেশন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সাহায্য এবং এখানে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রসার করতে চায়...

ভারতের চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশকদের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বুধবার জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের বিনোদন শিল্পের প্রসারে তারা ঢাকায় একটি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

সেই সাথে ফেডারেশন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সাহায্য এবং এখানে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রসার করতে চায় বলে জানিয়েছেন সংস্থার সভাপতি ফিরদাউস হাসান ।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেখানে উভয় দেশ ব্যবসা করতে পারবে। এ লক্ষ্যের একটি ধাপ হলো ২১ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম ভারত-বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কারের আয়োজন।’ 

তিনি জানান, বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে বাংলাসহ ভারতীয় চলচ্চিত্রগুলো অনেক জনপ্রিয়। কিন্তু এখানে এসব চলচ্চিত্র মুক্তি দেয়ার যথাযথ নেটওয়ার্ক নেই।

১২ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে জানিয়ে হাসান বলেন, কলকাতার একজন প্রযোজক ও একজন সাংবাদিকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রকার গৌতম ঘোষ, অভিনেতা-মন্ত্রী ব্রাত বসু ও অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীর সমন্বয় একটি জুরি কমিটি পুরস্কারের জন্য ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র মনোনয়ন করবে।

বাংলাদেশ অংশের জন্যও ১২ ক্যাটাগরি থাকবে। এতে পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করা চলচ্চিত্রগুলো বাংলাদেশের নির্মাতা, সাংবাদিক ও সমালোচকদের একটি জুরি বিচার ও মূল্যায়ন করবে।

এছাড়া, ভারতীয় অংশ থেকে আট আঞ্চলিক ভাষা- তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, কান্নাডা, মারাঠি, ভোজপুরি, গুজরাটি ও হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্যও পুরস্কার থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা গৌতম ঘোষ মত দেন যে উভয় দেশের চলচ্চিত্র যাতে অধিক সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারে সে জন্য চলচ্চিত্র বাণিজ্যের সুবিধা এক জায়গা থেকে পেতে ‘সিঙ্গেল উইন্ডো’ ব্যবস্থা চালু করা যায়।

তিনি বলেন, ‘এক মঞ্চে ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রকে সম্মান দেখাতে একটি পুরস্কার অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা আমি অনুভব করেছি।’

গৌতম ঘোষ ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় মনের মানুষ (২০১০) ও শঙ্খচিল (২০১৬) পরিচালনা করেছেন।

ফিরদাউসল হাসান বলেন, উভয় দেশে সিঙ্গেল স্ক্রিন সিনেমা হল কমে যাচ্ছে এবং প্রযোজকদের সংস্থা এ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গেল স্ক্রিন ৭০০ থেকে কমে এখন ২৮০-২৯০টির বেশি নেই। আর বাংলাদেশে এ সংখ্যা ১২০০ থেকে হ্রাস পেয়ে ৩০০ হয়েছে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.