অবশেষে খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের
খোঁজ মিলল ইসরো থেকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাঠানো ল্যান্ডার তথা বিক্রমের। তবে এখনও এটির সঙ্গে বেতার-সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অরবিটারের পাঠানো ছবি থেকে হদিস মিলল চাঁদের বুকে হারিয়ে যাওয়া বিক্রমের। ভারতের সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) তথ্য অনুযায়ী, সংযোগ স্থাপনের সবরকম চেষ্টা চলছে ইসরো থেকে।
ক্ষয়ক্ষতির অংকটা কত তা এখনই বোঝা যাবে না। অরবিটারের মাধ্যমে থার্মালের সাহায্যে পাওয়া গেছে ল্যান্ডারের ছবি। এটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইসরো থেকে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জানানো হয়েছিল, চন্দ্রযান মিশনের প্রদীপ এখনও জ্বলছে। ভারতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশিন চ্যানেল দূরদর্শনকে দেওয়া ইসরো চেয়ারম্যান কে শিভান জানিয়েছিলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া ল্যান্ডার খুঁজে বার করা চেষ্টা করা হবে। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টার কম সময়ের পাওয়া গেল বিক্রমকে।
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) চন্দ্রযান-২ পাঠায় মহাকাশে।
শনিবার রোভার বিক্রমকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামিয়ে দেবে চন্দ্রযান-২, এমনটি পরিকল্পনা ছিল। ঠিকঠাক সেখানে পৌঁছুতে পারলে চন্দ্রযান-২এর ভেতরে থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’ নতুন তথ্য পাঠাত পৃথিবীতে। সেখান থেকে জানা যেত চাঁদের বুকে কতটা পানি আছে অথবা সেটি কী অবস্থায় আছে।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২২ জুলাই মিশন শুরুর পর সবকিছু ভালোমতোই চলছিল। ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশযান ‘চন্দ্রযান-২’ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে ২০ আগস্ট।
কক্ষপথে ঘুরতে থাকা চন্দ্রযান-২এর অরবিটার থেকে শনিবারের প্রথম প্রহরে আলাদা হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের ৭০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশে নিয়ন্ত্রিত অবতরণের কথা ছিল এটির। তারপর উপযোগী পরিবেশে বিক্রমের বুক থেকে বেরিয়ে আসত রোবটযান ‘প্রজ্ঞান’।
কিন্তু তার আগেই পৃথিবীর সঙ্গে বিক্রমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
চাঁদের ওই অংশটি এখনও মানুষের কাছে অজানা। সেখানে জমাট বরফ আকারে পানি থাকার বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছিলেন ভারতের চন্দ্রযান-১ অভিযান থেকেই।