ইনিংস হার থেকে দলকে বাঁচালেন সোহান
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার কিছু্ক্ষণের মধ্যেই ইনিংস হারের শঙ্কাতে পড়ে যেতে হয় বাংলাদেশকে। ৬ উইকেটে ১৩২ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে সফরকারীরা। ইনিংস হার থেকে বাঁচতে চতুর্থ দিন আরও ৪৩ রান করতে হতো বাংলাদেশকে। এদিন টিকতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংস হার থেকে দলকে বাঁচানোর কাজটা একাই করেছেন নুরুল হাসান সোহান।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাটে ইনিংস হার এড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের দলের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৮৬ রানে। হারটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আরেকটি বড় হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির পেটে প্রথম সেশন
বৃষ্টি থামলেও মাঠ ভেজা থাকায় প্রথম সেশনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন চলে গেল বৃষ্টির পেটে। দফায় দফায় পর্যবেক্ষণ করেও আম্পায়াররা খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি মাঠ ভেজা থাকায়। স্থানীয় সময় ২টা ১০ মিনিটে আবারও মাঠ পর্যবেক্ষণ করা হবে, যা বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ১০ মিনিট। এরপর খেলা শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃষ্টিতে খেলা শুরু হতে বিলম্ব
তৃতীয় দিনের শেষভাগে বৃষ্টি হানা দেয়, যে কারণে ১০ ওভার আগেই খেলা শেষ হয়। চতুর্থ দিনও বৃষ্টি বাগড়ায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দিনের খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে এখন বৃষ্টি নেই, মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবার বৃষ্টি না হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই খেলা মাঠে গড়াবে।
বৃষ্টি বাগড়ায় নিশ্চয়ই অস্বস্তি হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কারণ তৃতীয় দিনই যে জয়ের সুবাশ পেতে শুরু করে ক্যারিবীয়রা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই অপেক্ষাটা তাই হয়তো লম্বা মনে হচ্ছে স্বাগতিকদের কাছে। বাংলাদেশের অবশ্য উল্টো অনুভূতি হওয়ার কথা। নিশ্চিত হারের পথে থাকা দলটি চাওয়া হতে পারে, 'বৃষ্টি যেন আর না থামে।' কেবল এটা হলেই ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব তাদের জন্য।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৩৪ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৮ রান তোলে। প্রথম ইনিংসেই ১৭৪ রানের লিড পায় তারা। অনেকটা পথ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ আবারও ছন্নছাড়া ব্যাটিং করে। কেমার রোচের বোলিং তোপের মুখে ৩২ রানেই ৩ উইকেট হারানো সফরকারীরা তৃতীয় দিনের শেষের আগ পর্যন্ত আরও ৩টি উইকেট উইকেট হারায়।
৩৬ ওভারেই নেই ৬ উইকেট, স্কোরকার্ডে জমা হয়েছে ১৩২ রান। ইনিংস হার এড়াতে আরও ৪৩ রান করতে হবে সাকিব আল হাসানের দলকে। তিন পেসারের ওপর ভরসা না থাকায় ইনিংস হার থেকে দলকে বাঁচানোর গুরুদায়িত্ব নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে। সোহান ১৬ ও মিরাজ শূন্য রানে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।
তৃতীয় দিন বাংলাদেশের প্রথম ৩ উইকেট তুলে নেন কেমার রোচ। ক্যারিবীয় ডানহাতি এই পেসারের শিকারে পরিণত হয়ে ৩২ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয় ও এনামুল হক বিজয়। তামিম ৪, জয় ১৩ ও বিজয় ৪ রান করেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৯১ বলে ৮টি চারে ৪২ রান করে আউট হন। লিটন কুমার দাস ১৯ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৬ রান করেন। রোচ ৩টি, আলজারি জোসেফ ২টি ও জেডেন মিলস একটি উইকেট নিয়েছেন।