হঠাৎ টেস্ট দলে শরিফুল, আজই যাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। মুস্তাফিজুর রহমান প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ ছিলেন দারুণ ছন্দে। এবার পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশ দলের বৈচিত্র আর বাড়ছে। দ্বিতীয় টেস্টের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন শরিফুল ইসলাম।
তরুণ বাঁহাতি এই পেসারের দলে নেওয়ার খবরটি সোমবার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে সোমবার রাতেই রওনা দেবেন জাতীয় দলের হয়ে ৪টি টেস্ট খেলা শরিফুল।
টেস্ট দলে ফিরতে মুখিয়ে থাকার কথা জানিয়ে বাঁহাতি এই পেসার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, 'আমি বিমান বন্দরে যাচ্ছি এখন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার ফ্লাইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবো। শেষ সময়ে টেস্ট দলের ডাক এসেছে, ফিরতে মুখিয়ে আছি।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আগে থেকেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন শরিফুল। চোটের কারণে টেস্ট দলে না থাকায় আরও কিছুদিন পর তার ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ-ই ডাক পড়ায় উড়াল দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপজয়ী এই সদস্যের।
গত এপ্রিল চোট ও ক্লান্তির কারণে দ্বিতীয় টেস্টের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে দেশে ফিরে আসেন শরিফুল। দেশে ফিরে বিশ্রামের পর পুনর্বাসনের মাধ্যম ফিট হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের এই পেসার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। কিন্তু ওই ম্যাচের চুতর্থ দিনে ব্যাটিংয়ের সময় আঙুলে চোট পান শরিফুল।
চোটে মিরপুর টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনি। এক্স-রেতে তার আঙুলে চিড় ধরা পড়ে। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দলে তখন তাকে বিবেচনা করা হয়নি। আঙুলের চোটে কিছুদিন বিশ্রামে থাকার পর গত দুই সপ্তাহ ধরে বোলিং করে আসছেন তিনি। অনুশীলনের জন্য তাকে বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে রাখা হয়। বোলিং এবং ফিটনেসের উন্নতি হওয়ায় শরিফুলকে টেস্ট দলে যুক্ত করা হলো।
আগামী ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দীর্ঘতম ফরম্যাটের সিরিজ শেষে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ দল। ২, ৩ ও ৭ জুলাই তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল । ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে তিন ওয়ানডে।
বাংলাদেশ টেস্ট দল: মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা, শহীদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, নুরুল হাসান সোহান ও শরিফুল ইসলাম।