‘আমি যদি কোচিংও করাই, অধিনায়কত্বও করি, তাহলে তো সমস্যা’

তৃতীয় দফায় অধিনায়কত্ব নেওয়ার শুরুতেই ৭ উইকেটের বড় হারের বোঝা সাকিব আল হাসানের কাঁধে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে সাকিব দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে দায়িত্ব পালন করলেও পাশে পাননি অন্যদের। দুই-একজন ছাড়া বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান ছিলেন ব্যর্থতার বৃত্তে। এ নিয়ে সেভাবে হতাশা প্রকাশ না করলেও আক্ষেপ আছে টেস্ট অধিনায়কের।
দলের সব ব্যাটসম্যানেরই 'টেকনিক্যাল' (কৌশলগত) অনেক সমস্যা আছে বলে মনে করেন সাকিব। যেহেতু তার চোখে এটা ধরা পড়েছে, অধিনায়ক সাকিব কি তবে কোচদের সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করেছেন? ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন করা হলে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার জানালেন, এক সঙ্গে কোচিং ও অধিনায়কত্ব করাটা তার জন্য সমস্যার।
ব্যাটিংয়ে হতশ্রী অবস্থার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাকিব বলেন, 'টেকনিক্যালি অনেক সমস্যা আছে। আমার মনে হয় না যে খুব বেশি আমাদের টেকনিক্যাল সাউন্ড খেলোয়াড় আছে। আমাদের দলে যারা আছে, তাদের সবারই অনেক টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। তাদেরকে উপায় খুঁজে বের করতে হবে যে কীভাবে রান করতে হবে এবং কীভাবে ক্রিজে থাকতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি এ বিষয়ে কোচদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা। উত্তরে স্বভাবজাত ভঙ্গিমায় সাকিব বলেন, 'এটা তো আমার খুব একটা বেশি আলোচনার বিষয় না, কোচেরই আলোচনা করার বিষয়। এখন আমি যদি কোচিংও করাই, অধিনায়কত্বও করি তাহলে তো সমস্যা।'
সাকিব মনে করেন যার যার জায়গা থেকে নিজের দায়িত্বটুকু পালন করলেই দলের কাজ সহজ হয়ে যায়। তার ভাষায়, 'আমার মনে হয়, আমার যতটুকু দায়িত্ব ততোটুকুতে থাকি, তাহলে ভালো। আমার যতটুকু দায়িত্ব আছে, সেটা পালন করার আমি চেষ্টা করবো। বাকি যাদের যে অংশটা আছে, তারা সবাই যার জাযগা থেকে দায়িত্ব নিয়ে কাজটা করলে সবার জন্য কাজটা সহজ হবে।'
ক্যারিবীয় পেসারদের তোপে মাত্র ১০৩ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। আসা যাওয়ার মিছিলের মাঝেও ব্যতিক্রম ছিলেন সাকিব, সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২৪৫ রান করা দ্বিতীয় ইনিংসেও কাণ্ডারির ভূমিকায় দেখা মেলে তার। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ম্যাচের সবচেয়ে বড় জুটি গড়ার পথে ৬৩ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। সাকিব ও সোহানের হাফ সেঞ্চুরির কল্যাণেই ইনিংস হার এড়াতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।