মুঠো থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচ বাঁচাতে করণীয় কী, জানালেন সাকিব
যেন মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসের হাইলাইটস। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে যাচ্ছেন আর ফিরছেন। আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ৫০৬ রান করার পর প্রথম ইনিংসেই মুমিনুল হকের দল পিছিয়ে পড়ে ১৪১ রানে। চতুর্থ দিন শেষে হিসাব দাঁড়িয়েছে, ইনিংস হার থেকে বাঁচেতেই বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ১০৭ রান।
১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ২৩ রানেই ৪ উইকেট হারায়। বিপদ আরও বাড়তে পারতো। কিন্তু প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও ভাঙন থামিয়ে দিন শেষ করেন মুশফিকর রহিম ও লিটন কুমার দাস। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়েও শেষ বিকেলে দৃঢ়তা দেখান এই দুজন। ৪ উইকেটে ৩৪ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
বাকি ৬ উইকেট নিয়ে ১০৭ রান তুলে এরপর শ্রীলঙ্কাকে লক্ষ্য দিতে হবে বাংলাদেশকে। পথটা যে কাটা বেছানো, ভালোভাবেই জানা বাংলাদেশের। তাহলে উপায়? সাকিব আল হাসান জানালেন ম্যাচ বাঁচানোর করণীয়। পথটা কঠিন জেনেও হাল না ছেড়ে আশার কথা শুনিয়ে গেলেন বাঁহাতি অবিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সাকিব বলতে লাগলেন, 'এখন দলের যা পরিস্থিতি, সেখান থেকে আশা করি যে দুজন আছে, ওরা যদি লাঞ্চ পর্যন্ত খেলতে পারে...। এরপর আমি তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারলে দলের জন্য এটা বেশি গুরুরত্বপূর্ণ হবে।'
শেষ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে কোনোভাবেই উইকেট হারানো যাবে না, হারালেই বাজে অবস্থায় পড়তে হবে বলেন জানান সাকিব। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই স্পিনার বলেন, 'লাঞ্চের আগে একটার বেশি উইকেট পড়লে আমরা খুব বাজে অবস্থায় থাকব। লাঞ্চের সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। যখন দুজন ব্যাটসম্যান এই উইকেটে সেট হয়ে যাবে, তখন তাদের আউট করা কঠিন।'
বাংলাদেশের দুই ইনিংসেই ঝড় বইয়ে দেওয়া শ্রীলঙ্কার দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দোকে সামলাতে পারলে পথ সহজ হবে বলে বিশ্বাস সাকিবের, 'তাদের দুই ফ্রন্ট লাইন বোলার হচ্ছে পেসার। পেস বোলাররা সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় ওভারের স্পেল করতে পারে। লাঞ্চের ভেতর হয়তো দুজন সর্বোচ্চ দশ দশ বিশ ওভার বোলিং করতে পারবে। ওই হুমকি সামলাতে পারলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। বল পুরনো হয়ে যাবে, বোলাররা ক্লান্ত হবে, ব্যাটসম্যান সেট হতে পারবে।'