অনুশীলন ছাড়াই পারবেন সাকিব, শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন হেরাথ
আমেরিকা থেকে ফিরে ১০ মে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। কিন্তু দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষার ফলে জানা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ। তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগে।
সৌভাগ্যবসত চতুর্থ দিনে করোনামুক্ত হয়ে যান তিনি। এরপর একদিন অনুশীলন করেই নেমে পড়েছেন টেস্ট ম্যাচে। আর অনুশীলন ছাড়াই সাকিব যে দলের জন্য অবদান রাখতে পারবেন, এ ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ।
করোনামুক্ত হলেও সাকিবের ফিটনেস ইস্যু ছিল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর ১৫ দিন ব্যাটিং-বোলিংয়ের বাইরে থাকা এবং করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার ফিটনেস দলের ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
১৪ মে'র অনুশীলন সাকিবের জন্য এক ধরনের পরীক্ষার ছিল। কিন্তু এদিন ফিটনেস নিয়ে কাজ না করে, কোনো ধরনের স্ট্রেচিং, বোলিং না করা বাংলাদেশ অলরাউন্ডার ৩০ মিনিটের ব্যাটিং দিয়েই বুঝিয়ে দেন, খেলতে সমস্যা হবে না তার।
প্রথম দিন তার বোলিং তেমনই ছিল। ১০ ওভারের প্রথম স্পেলে ৫টি মেডেনসহ মাত্র ৯ রান খরচা করেন তিনি। দ্বিতীয় স্পেলে ৬ ওভারে সাকিবের খরচা ১৩ রান, শিকার এক উইকেট। দিনের শেষ দিকে ৩ ওভারে এক মেডেনসহ দেন ৫ রান।
সব মিলিয়ে সাকিবের বোলিং ফিগার ১৯-৭-২৭-১। করোনা থেকে সেরে উঠে, কোনো ধরনের অনুশীলন ছাড়াই এমন বোলিং কম কীসে! লঙ্কানদের রানের চাকা তো তিনিই চেপে ধরেছিলেন, সবচেয়ে কম ১.৪২ ইকোনমিতে রান খরচা করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
৪ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। এটা হেরাথের কাছে স্বাভাবিক। বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছেন, তাতেও সন্তুষ্ট লঙ্কান এই কোচ, 'টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন হিসেবে বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে, তাতে আমি খুশি। সাকিব ও টিজে (তাইজুল) ভালো বোলিং করেছে।
'নাঈম ২টি উইকেট নিয়েছে। যদিও সে ১৮ মাস ধরে টেস্ট খেলেনি, কিন্তু অনেক অনুশীলন করে যাচ্ছে। সেদিক থেকে তার আত্মবিশ্বাসের দরকার ছিল। প্রথম উইকেট পাওয়ার পরই সে সেটা পেয়ে যায়।' যোগ করেন তিনি।
সাকিব থাকলে এমনিতেই দলে ভারসাম্য এসে যায় জানিয়ে হেরাথ বলেন, 'অনুশীলন ছাড়াই প্রথম বল থেকে ঠিক পথে ছিল সাকিব। এটা তার আত্মবিশ্বাসের জন্য ভালো ব্যাপার। সে আজ খুবই ভালো বোলিং করেছে, সবচেয়ে কম রান দেওয়া বোলার সে। সাকিব থাকলে দলে এমনি ভারসাম্য এসে যায়। না থাকলে এমন কাউকে খুঁজতে হয়, যে ব্যাটিং-বোলিং দুটিই পারে। আমি শতভাত আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, অনুশীলন ছাড়াই সে দলের জন্য অবদান রাখবে।