টেস্টে কেন রিভার্স সুইপ, মুশফিকের শট নিয়ে সুজনের প্রশ্ন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতা দলেরই টেস্ট সিরিজে কী করুণ হাল! প্রথম টেস্টে তবু একটি ইনিংসে চোখ চোখ রেখে লড়ার দৃশ্য দেখায়। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়ে হারলেও ছিল প্রাপ্তির জায়গা। কিন্তু পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের পথ একটাই, সেটা উল্টো।
চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংস থেমে যায় ২১৭ রানেই। প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে পড়তে হয় ২৩৬ রানে। এমন অস্বস্তির মাঝে মুশফিকুর রহিম কেবল পেরেছেন পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলতে। কিন্তু দিন শেষে সেই মুশফিকই কাঠগড়ায়। দলের দুঃসময়ে রিভার্স সুইপ খেলে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসায় তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় সবখানে।
সমালোচকদের তালিকায় খোদ বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও। দল যখন দিশেহারা, তখন একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে টিকে থাকা মুশফিক কেন রিভার্স সুইপ খেলবেন; এটা বিসিবির এই পরিচালকেরও প্রশ্ন। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের ভাষায়, মুশফিকের শটটি অপ্রত্যাশিত।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বিধ্বস্ত অবস্থা বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটির পর ২০ রানের মধ্যে চার উইকেট হারায় সফরকারীরা। তৃতীয় দিন বাকি ৫ উইকেটে তোলে ৯০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বেহাল দশা। ৪১৩ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে মুমিনুল হকের দল।
তবে তৃতীয় দিন শেষে দুই ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার চেয়ে মুশফিকের আউট হওয়ার ধরন নিয়েই বেশি আলোচনা। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের রিভার্স সুইপ নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, 'মুশির শটটা অবশ্যই প্রত্যাশিত না। আমরা এমন কিছু অবশ্যই দেখতে চাই না। আমরা ফলো অন থেকে ৪৩ রান দূরে ছিলাম। সে আমাদের সর্বশেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিল। খুবই অপ্রত্যাশিত।
'টেস্ট ম্যাচের এমন একটা সময়ে এই শট খেলব, অবশ্যই আমরা এমন কিছু আশা করি না। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে এটা হতে পারে, যেহেতু খেলাটা রানের। কিন্তু টেস্টে এমন অবস্থায় কেন এমন শট খেলল? ভালো ব্যাটিং করতে করতে সে যেন খেলাটা ছেড়ে দিল।' যোগ করেন বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর।
তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ যে বড় হারের শঙ্কায়, সেটা না বললেও চলছে। খালেদ মাহমুদের কণ্ঠে তাই হতাশার সুর। একই সঙ্গে স্পিনের বিপক্ষে দলের নাজেহাল অবস্থায় তিনি রীতিমতো বিব্রত। তার ভাষায়, 'তৃতীয় দিন শেষে অবশ্যই ভালো বলব না। গত তিন দিন দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় আমরা আমাদের সব বিভাগেই পিছিয়ে ছিলাম।'
'আমি এই দক্ষিণ আফ্রিকাকে খারাপ দল বলব না। কারণ এই দলে অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে। খুবই হতাশাজনক যে, আমরা স্পিনে আউট হয়েছি। এটাই হতাশাজনক। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম টেস্টের ফলাফলটা ভালো হবে। কিন্তু আমরা পরিকল্পনাটা ভালোমতো বাস্তবায়ন করতে পারিনি।' যোগ করেন খালেদ মাহমুদ।