মেজাজ হারিয়ে ড্রেসিং রুমের দরজায় মাহমুদউল্লাহর লাথি
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে সময়টা তেমন ভালো যাচ্ছিল না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। আগের চার ম্যাচের তিনটিতে ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ছন্দময় ব্যাটিংয়ে দল ও নিজের ইনিংস বড় করে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু এদিনও বড় হলো না ইনিংস। এবার আর মেজাজ রাখতে পারলেন না, আউট হয়ে ফেরার পথে ড্রেসিং রুমের দরজায় লাথি মেরে দিলেন মোহামেডান অলররাউন্ডার।
৫১ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৪৮ রান করা মাহমুদউল্লাহ সাবলীল ব্যাটিংই করে যাচ্ছিলেন। তাতে বিপাকে পড়া দলও আলো পথে আগাচ্ছিল। কিন্তু ৩৭তম ওভারে গিয়ে দিক হারাতে হয় তাকে। ২০ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ৫ উইকেট নেওয়া এনামুল হক জুনিয়র ফিরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহকে।
এনামুল হক জুনিয়রের অফ স্টাম্পের বাইরে করা আর্ম বলে ব্যাট চালিয়ে নিজের বিপদ যেকে আনেন মাহমুদউল্লাহ। বল তার ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক জাকির হাসানের গ্লাভসে জমা হয়। বলটি কীভাবে খেললে ভালো হতো, সেটা যেন বুঝতেই পারেননি তিনি। কারণ এনামুলের ডেলিভারিটি পড়েই অস্বাভাবিকভাবে নিচু হয়ে যায়।
এই ব্যাপারটিই যেন ক্ষেপিয়ে তোলে মাহমুদউল্লাহকে। উইকেটের অসমান বাউন্সের কারণেই হয়তো ফেরার পথে ব্যাট উঁচিয়ে মাঠকর্মীদের কিছু একটা বলতে লাগলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, মিরপুর স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুমে ঢোকার সময় বাম পা দিয়ে দরজায় জোরে লাথি মারেন মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহর মতো তার দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকেও হতাশ হতে হয়েছে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৩৮.১ ওভারে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। এদিন মোহামেডানকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন দেন এনামুল হক জুনিয়র। বাঁহাতি অভিজ্ঞ এই স্পিনার ৯.১ ওভারে ৪১ রানে ৫ উইকেট নেন। এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এ ছাড়া মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৩টি উইকেট নেন।
ছোট লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে হেসেখেলেই তা ছাড়িয়ে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। আসিফ আহমেদ রাতুল ও ফজলে মাহমুদ রাব্বির ব্যাটে ৩৬.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় প্রিমিয়ার লিগের নতুন দলটি। ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয় নম্বরে আছে তারা। মোহামেডান ৭ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে আছে।