ইংল্যান্ডের বিদায় প্রায় নিশ্চিত করে সেমিতে এক পা ভারতের
বোলারদের সব কষ্ট মাটি করলেন ব্যাটসম্যান, আর তাতে বিদায় বলতে গেলে নিশ্চিতই হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। খুব নাটকীয় কিছু না ঘটলে ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলা হচ্ছে না বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
এই ম্যাচ জিতে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ আরেকবার দিলো ভারত। এর আগে জেতা পাঁচটি ম্যাচই ছিলো রান তাড়া করে, এবার আগে ব্যাট করে কম পুঁজি নিয়েও ইংল্যান্ডকে বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে স্বাগতিকরা। সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল রোহিত শর্মার দল।
ভারতের দেয়া ২৩০ রানের লক্ষ্য থেকেও ১০০ রান দূরে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। আয়নার সামনে দাঁড়াতেও হয়তো লজ্জা পাবেন বাটলার-স্টোকসরা। ভারতের বোলিং লাইনআপের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে ইংলিশদের ইনিংস।
ইংল্যান্ডের মূল সর্বনাশটা করেছেন দুই ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি এবং জসপ্রিত বুমরা। আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া শামি এই ম্যাচে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট। ৩২ রান খরচায় তিন উইকেট শিকার করেছেন বুমরা। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
টিকে থাকতে হলে বাকি সব ম্যাচ জিততেই হবে, এমন সমীকরণের সামনে ছিল ইংল্যান্ড। সেই কঠিন পথে প্রথম প্রতিপক্ষই ছিল স্বাগতিক ভারত। সব মিলিয়ে প্রচন্ড চাপের মুখে জেগে উঠেছিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। লাখনৌতে স্বাগতিক ভারতকে অল্প রানেই বেধে ফেলেছিলেন ওকস- উইলিরা।
নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে নয় উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান তুলতে পেরেছে ভারত। এই ম্যাচসহ বাকি সব ম্যাচ জিতলে সেমি-ফাইনালে খেলার আশা বেঁচে থাকত ইংল্যান্ডের।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। এই বিশ্বকাপে ভারতের জেতা পাঁচ ম্যাচের সবকটিই রান তাড়া করে। সেজন্যই ঝুঁকি নিতে চাননি বাটলার। আর প্রথমবারের মতো আগে ব্যাট করে ব্যর্থ ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। কেবল অধিনায়ক রোহিত শর্মাই লড়াই করেছেন কিছুটা। সাথে সূর্যকুমার যাদব আর লোকেশ রাহুল সঙ্গ দিয়েছেন।
মাত্র ৪০ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। নয় বলে শূন্য রান করে বিদায় নেনে বিরাট কোহলি। এরপর রাহুলকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন রোহিত। দুজনের ৯১ রানের জুটি ভাঙে রাহুল ৫৮ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন রোহিত শর্মা। ১০১ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও তিনটি ছয় মারেন রোহিত।
এরপর সূর্যকুমারের ৪৭ বলে ৪৯ রানের ইনিংস ভারতের পুঁজিকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যায়। চারটি চার ও একটি ছয় মারেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ভারতের দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইনআপকে দমিয়ে রাখতে অসাধারণ বোলিং করেছেন ইংলিশ বোলাররা। ৪৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস ও লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।