ঊরুতে চোট, স্ক্যান করাতে হাসপাতালে সাকিব
বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়েন সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ অধিনায়কের খেলা হয়নি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে সেই চোটে বেশি ভুগতে হয়নি তাকে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলে আসছেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচে এসে আবারও চোটে পড়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ঊরুর পেশিতে চোট পাওয়ায় হাসপাতালে স্ক্যান করাতে গেছেন সাকিব।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চোটের কারণে অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় সাকিবকে, দৌড়ানোর সময়ও খুঁড়িয়েছেন তিনি। বাঁ উরুতে অস্বস্তি নিয়ে ১০ ওভার বোলিং করলেও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিবের চোটের অবস্থা সম্পর্কে জানান পুরস্কার বিতরণীতে আসা বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানান, ঊরুর পেশিতে চোট পাওয়ায় স্ক্যান করাতে গেছেন সাকিব। স্ক্যান শেষে তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। ঊরুর চোট তো আছেই, সঙ্গে সাকিবের জ্বরও আছে বলে জানা গেছে। ম্যাচের আগে থেকে সাকিব হাল্কা জ্বরে ভুগছিলেন। সাকিবের শরীরের অবস্থা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ব্যাটিংয়ের সময় ঊরুর পেশিতে টান লাগে সাকিবের, শুশ্রূষা নিয়ে আবারও ব্যাটিং শুরু করেন তিনি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া ম্যাচে দলের বিপদের সময় ৫১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ রান করেন সাকিব, মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। পরে ১০ ওভারে ৫৪ রান খরচায় একটি উইকেট পান সাকিব, এটা তার বিশ্বকাপের ৩৯তম উইকেট।
বোলিং কোটা শেষ করলেও ফিল্ডিংয়ের সময় দৌড়াতে অস্বস্তি হয় সাকিবের। এমনকি বোলিংয়ের সময়ও চোটে ভুগতে দেখা যায় তাকে। এ কারণেই সাকিব স্লিপে ফিল্ডিং করেন, সচরাচর এখানে ফিল্ডিং করতে দেখা যায় না তাকে। ম্যাচ শেষ করলেও চোটের অস্বস্তি নিয়ে বেশি সময় পার করেননি অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষ করেই হাসাপাতালে চলে যান।