উইলিয়ামসন-মিচেলে কিউইদের লড়াইয়ের পুঁজি
শুরুর ধরন দেখে প্রশ্ন জাগছিল, লড়াইয়ের পুঁজি পাবে তো নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারেই উইকেট হারানো কিউরা পাওয়ার প্লে থেকে সেভাবে রান তুলতে পারেনি। ৩ উইকেট হারিয়ে ১০ ওভারে তাদের যা সংগ্রহ দাঁড়ায়, তাতে অস্বস্তিই হওয়ার কথা। দলের এমন দুঃসময়ে আলোক বর্তিকা হাতে ছুটে এলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, সঙ্গে পেলেন ড্যারিল মিচেলকে। তাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি পেল নিউজিল্যান্ড।
বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ১৫২ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটের বিশ্ব আসরের সেমিতে এটাই পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সেরা দলীয় সংগ্রহ। এর আগে শেষ চারে একমাত্র সাক্ষাতে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে শুরুতেই দিক ভুলিয়ে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইনিংসের তৃতীয় বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের বাঁহাতি এই পেসার। ডেভন কনওয়ের সঙ্গে যোগ দিয়ে অবশ্য এই চাপ কাটিয়ে তোলেন উইলিয়ামসন, তবে রানের চাকা সেভাবে ঘোরেনি তাদের।
ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে। এর আগে ২০ বলে ৩টি চারে ২১ রান করেন তিনি। ৬ ওভারে ৩৮ রান তোলা দলটি অষ্টম ওভারে গিয়ে বড় ধাক্কা খায়। এই ওভারে নিজেই নিজের বলে ক্যাচ নিয়ে গ্লেন ফিলিপসকে ফেরান পাকিস্তানের আরেক পেসার মোহাম্মদ নওয়াজ। ৮ ওভারে ৩ উইকেটে কিউইদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৯ রান।
দলের হাল ধরা উইলিয়ামসন ও মিচেল আরও দুই ওভার দেখেশুনে খেলেন। ১১তম ওভার থেকে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন এই দুজন। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চতুর্থ উইকেটে ৫০ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন তারা। হাফ সেঞ্চুরির একেবারে কাছে গিয়ে আউট হন উইলিয়ামসন। কিউই অধিনায়ক ৪২ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৪৬ রান করেন।
ড্যারিল মিচেল শেষ পর্যন্ত দলকে পথ দেখান, শেষ দিকে অবদান রাখেন জিমি নিশাম। ৩৪ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৫৩ রান করেন মিচেল। ১২ বলে ১৬ রান করেন নিশাম। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ২টি ও মোহাম্মদ নওয়াজ একটি উইকেট নেন।