টেস্টের নিয়ম মেনে বোলিং করে টি-টোয়েন্টিতে সফল তাসকিন
১৪৪ রানের পুঁজি নিয়ে স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না। বোলারদের ওপর ছিল গুরুদায়িত্ব। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেই দায়িত্ব সামনে থেকে পালন করেছেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসার ইনিংসের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নেওয়াসহ ৪ ওভারে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন। যা তার ক্যারিয়ার সেরা এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চতুর্থ সেরা বোলিং।
সাফল্যের এই পথ ব্যাটিং করার সময়ই চিনে ফেলেন তাসকিন। বাংলাদেশের ইনিংসে উইকেটে মুভমন্টে টের পান তিনি। তখনই বোলিংয়ের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন বাংলাদেশ পেসার। কিন্তু সেটা টি-টোয়েন্টির মতো করে নয়, টেস্টের লেংন্থে বোলিং করার জন্য মন স্থির করেন তিনি। এই পরিকল্পনা মতো বোলিং করে সফলও তাসকিন।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা তাসকিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, 'এটা দারুণ জয় আমাদের জন্য, জয়টা আমাদের দরকার ছিল। দল হিসেবে আমরা ভালো খেলেছি, অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আমি আমার মৌলিক দিকটা ঠিক রেখেছি। প্রথম ইনিংসে মুভমেন্ট দেখেছিলাম, তাই টেস্ট ক্রিকেটের লেংন্থে বোলিং করেছি।'
ইনিংসের প্রথম দুই বলে বিক্রমজিত সিং ও বাস ডে লেডেকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান তাসকিন। দলের বাকিদের মতো হ্যাটট্রিকের চিন্তা তারও মাথায় আসে তখন। কিন্তু হ্যাটট্রিক বা ৫ উইকেট পেতে ভাগ্য লাগে বলে মনে করেন তাসকিন, 'আশা ছিল অবশ্যই। কিন্তু নিজের প্রক্রিয়ায় ছিলাম। আসলে হ্যাটট্রিক, পাঁচ উইকেট ; এসবে ভাগ্যও লাগে। দল জিতেছে, আমার অবদান ছিল। এতেই আমি খুশি।'
অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত কয়েক ম্যাচে পাখির চোখ রাখেন তাসকিনরা। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরও কাজে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা গত কয়েকটি ম্যাচ দেখছিলাম। নতুন বল এখানে উপমহাদেশের চেয়ে বেশি সুইং হয়। পেসাররা সবাই কঠোর পরিশ্রম করছিল। আমরা নিউজিল্যান্ডেও কিছু সময় কাটিয়েছি। এখানে এসে চেষ্টা করেছি মৌলিক দিকগুলো যেন ঠিক থাকে। আমরা সবাই বোলিং ইউনিট হিসেবে উন্নতি করছি। সবাই ভালো করছি।'