হতাশার ব্যাটিংয়ের মাঝে ব্যতিক্রম কেবল আফিফ-মোসাদ্দেক

খেলা

টিবিএস রিপোর্ট
24 October, 2022, 11:55 am
Last modified: 24 October, 2022, 11:52 pm
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হতশ্রী ব্যাটিংয়ে মেলেনি বড় সংগ্রহ, এরচেয়েও বেশি হতাশার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার ধরন। বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

শুরুটা মন্দ ছিল না। দুই ওপেনারের ব্যাটে ঠিক পথেই থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ধারায় থাকা হয়নি সাকিব আল হাসানের দলের। হোবার্টে বৃষ্টি নামার আগে শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের উইকেট বৃষ্টি। আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন সবাই। এর মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এ দুজনের টি-টোয়েন্টি মেজাজের ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত কিছুটা লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার হোবার্টে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। স্কোরকার্ডই বলে দেয় কতোটা হতাশার ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। স্কোরের চেয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আউটের ধরন অবশ্য বেশি হতাশার ছিল। বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান মিস হিটে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।  

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৫.১ ওভারে ৪৩ রান যোগ করেন এ দুজন। যা বাংলাদেশের জন্য এক প্রকার স্বস্তিই। কারণ টি-টোয়েন্টিতে ৩০ ইনিংস পর বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটির রান ৪০ ছাড়ালো।

ভালো শুরুর স্বস্তি মিলিয়ে যেতে অবশ্য সময় লাগেনি। উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই শুরু হয়ে যায় আসা যাওয়ার মিছিল। সৌম্যর বিদায়ে হতাশার পর্বের শুরু। তুলে মারতে গিয়ে মিস হিটে মিড উইকেটে ধরা পড়েন ১৪ বলে ১৪ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার। পরের ওভারে বিদায় নেন শান্ত। ২০ বলে ৪টি চারে ২৫ রান করা শান্তও মিস হিটে ক্যাচ তুলে আউট হন। 

ধীর-স্থির শুরু করা লিটন কুমার দাসের আউটের ধরন আরও হতাশার। দুই ওপেনারের মতো তিনিও মিস শটে ক্যাচ তুলে আউট হন, করেন ১১ বলে ৯ রান। পরের ওভারেই বড় ধাক্কাটি আসে বাংলাদেশের ইনিংসে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে দেন নেদারল্যান্ডসের ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার শারিজ আহমেদ। ফেরার আগে ৯ বলে ৭ রান করেন সাকিব। 

ইয়াসির আলী রাব্বিও টিকতে পারেননি। ফুটওয়ার্কের দীনতায় ভেঙে যায় তার স্টাম্প। ৫ বলে ৩ রান করে পল ফন মিকিরেনের বলে বোল্ড হন তিনি। বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন আফিফ ও নুরুল হাসান সোহান। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। এ সময়ে সোহান দেখেশুনে খেললেও আফিফ দ্রুত ব্যাট চালান। তার ব্যাটেই এগোতে থাকে বাংলাদেশ। 

দলীয় ১২০ রানে ভাঙে এই জুটি, ১৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন সোহান। এই ওভারে থামেন আফিফও। ফেরার আগে ২৭ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ইনিংস সেরা ৩৮ রান করেন তিনি। শেষ দিকে অল্প সময়ের জন্য ঝড় তোলেন মোসাদ্দেক। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ২০ রান করেন। নেদারল্যান্ডসের মিকেরেন ও বাস ডি লেডে ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ফ্রেড ক্লাসেন টিম প্রিঙ্গেল, শারিজ আহমেদ ও লগান ফন বিক।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.