অযাচিত মন্তব্যে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ বাংলাদেশের পেসার

খেলা

টিবিএস রিপোর্ট
18 October, 2022, 07:00 pm
Last modified: 18 October, 2022, 07:01 pm
বিসিবির পক্ষ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর বিসিবির নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে দেখা করে নিজের দোষ স্বীকার করে বাঁহাতি এই পেসার।

চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলছেন মেহেদি হাসান রানা। খেলার মাঝেই তাকে নিষিদ্ধ করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির নির্বাচক প্যানেলকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও একটি জাতীয় দৈনিকে অযাচিত মন্তব্য করায় বাঁহাতি এই পেসারকে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি। আজ থেকেই তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও একটি জাতীয় দৈনিকে অযাচিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নিবন্ধিত কোনো ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য আশা করে না বিসিবি। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মেহেদিকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নজরে আসার পর বিসিবির পক্ষ থেকে মেহেদিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর বিসিবির নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে দেখা করে নিজের দোষ স্বীকার করে তিনি। দোষ স্বীকার করে নেওয়ার পর তাকে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

গত ১১ অক্টোবর মেহেদির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট যায়। যে পোস্টে তিনি দাবি করেন, বিপিএল এবং ঘরোয়া লিগে ধারাবাহিক পারফর্ম করার পরও জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না তাকে। জাতীয় দলে যোগ্যরা সুযোগ পাচ্ছেন না বলেও দাবি করেন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত এই পারফর্মার।

বিসিবির এক নির্বাচকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন মেহেদিক। তার দাবি, ওই নির্বাচক তাকে 'এ' দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা বলে পরবর্তী সময়ে তাকে এড়িয়ে যান। বারবার কল, মেসেজ দিয়েও তিনি ওই নির্বাচকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

যদিও পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যে পোস্টটি সরিয়ে নেন মেহেদি। একি ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, তার পেহ হ্যাক হয়েছিল। পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার আগে বিষয়টি বিসিবির নজরে পড়ে।। এ নিয়ে মেহেদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বোর্ড। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.