‘১১০ শতাংশ দিয়ে চেষ্টা করব ট্রফি আমাদের ঘরেই রাখতে’

খেলা

টিবিএস রিপোর্ট
27 July, 2022, 05:20 pm
Last modified: 27 July, 2022, 05:28 pm
দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হবে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ সালে পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে তারা।

নারীদের চারটি বিশ্ব আসরের আয়োজক দেশ চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আসরটি আয়োজন করবে বাংলাদেশ। বার্ষিক সম্মেলনে এই অনুমোদন দেয় আইসিসি। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় এই আসরের ট্রফি বাংলাদেশেই রেখে দিতে চান নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, ট্রফি রেখে দিতে ১১০ শতাংশ দিয়ে চেষ্টা করবেন তারা।

দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হবে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ সালে পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ১০ বছর পর আয়োজক হতে পেরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন বলে রোমাঞ্চের শেষ নেই জ্যোতিরও।

আয়োজক হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস জানিয়ে জ্যোতি বলেন, 'খবরটা শোনার পর আমি খুব রোমাঞ্চিত। কারণ নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার মতো সৌভাগ্য সবার হয় না। জানি না কী হবে, বেঁচে থাকলে খেলার সুযোগ, পেলে আমাদের জন্য বড় একটা বিষয়। নিজের দেশের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে। দর্শকদের সমর্থন থাকে, যা দলকে অনুপ্রাণিত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।'

এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে সালমা খাতুনের দল। এরপর আসরটি আর অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বাংলাদেশের গায়েই আছে চ্যাম্পিয়নের ট্যাগ। এটা মনে করানোর পাশাপাশি ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা যে ঘরেই রেখে দিতে চান, সেই জানানও দিয়ে দিলেন জ্যোতি।

উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার বলেন, '২০১৮ সালের পর আর এশিয়া কাপ হয়নি, আমরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে আছি। সালমা আপুর হাতে শিরোপা এসেছে, এবার যেহেতু আমাদের মাঠে খেলা, দল হিসেবেও আমরা শক্তিশালী। কারণ নিজের মাঠে সবাই সেরা। এশিয়া কাপের আগে আমরা যেহেতু বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলব, আমাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। ইচ্ছে আছে ট্রফি তো নিজের ঘরে আছে, নিজের ঘরেই রাখার জন্য। ১১০ শতাংশ দিয়ে চেষ্টা করব আমাদের ট্রফি আমাদের ঘরেই রাখতে।'

বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ব্র্যান্ড বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা যাবে বলে মনে করেন জ্যোতি। তার ভাষায়, 'আইসিসি যখন থেকে নারীদের ইভেন্টগুলো ভাগাভাগি করছিল, তখন থেকে কিন্তু লক্ষ্য এটাই ছিল যেন আইসিসি নারী ক্রিকেটকে আরও বেশি প্রমোট করতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, যেহেতু শুধু এটা নারীদের বিশ্বকাপ, বিশ্বজুড়ে ভালো নজরে থাকবে, আর বাংলাদেশ ক্রিকেটেও ফোকাস থাকবে।'

বিশ্বকাপের এখনও অনেক সময় বাকি। তাই এখনই ওদিকে নজর না দিয়ে প্রক্রিয়া অনুযায়ী এগোনোর ইচ্ছা জ্যোতির, 'এখনও কিন্তু আমাদের হাতে অনেক বেশি সময় আছে। এখনই ওটাতে এগোতে চাচ্ছি না। আমাদের পরের যে বিশ্বকাপ বাছাই, যেটা না হলে হয়তো পরের বিশ্বকাপটা খেলতে পারব না আমরা, সেটাতে নজর দিচ্ছি। সামনের বিশ্বকাপের জন্য অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি খেলতে পারব, অনেকগুলো দ্বিপক্ষীয় সিরিজও আছে, যেগুলোতে অন্তত তিনটা টি-টোয়েন্টি খেলব। যা পরের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করে ফেলবে। আমার কাছে মনে হয় ধাপে ধাপে এগোনো ভালো।'

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.