‘সাকিব ফিরেই মিরাকল পারফরম্যান্স করবে না’
আর মাত্র ৭ দিন। আগামী ২৮ অক্টোবর আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে সাকিব আল হাসানের। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল; সবাই সাকিবের ফেরার অপেক্ষায়। দেশের সেরা ক্রিকেটারের মাঠে ফেরার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই রোমাঞ্চিত। এই রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকেও।
একই সঙ্গে প্রত্যাশার মাত্রাতেও লাগাম দিয়ে রাখতে বলছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ। দীর্ঘদিন খেলার বাইরে ছিলেন সাকিব। মাঠে ফেরার পর মানিয়ে নিতে তাকে সময় দিতে হবে বলে মনে করেন ডমিঙ্গো। সাকিব ফিরেই যে আকাশছোঁয়া পারফরম্যান্স করে ফেলবেন, এভাবে ভাবছেন না প্রোটিয়া এই কোচ।
আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে মুক্ত সাকিব, খেলতে পারবেন সব ধরনের ক্রিকেট। ফেরার পর বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে সময় দিতে বলছেন ডমিঙ্গো। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের প্রধান কোচ বলেন, 'কালই তার সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। ফিটনেস নিয়ে সে কঠোর পরিশ্রম করছে।'
'সাকিব বর্তমানে দেশের বাইরে আছে। অন্য সবার মতো সাকিবেরও ফেরার পর মানিয়ে নিতে সময় লাগবে কিছুটা, ক্রিকেট খেলতে হবে। যদি আশা করা হয় ফেরার পরই বিশাল কোনো মিরাকল সে করে ফেলবে, সেটা ঠিক হবে না। তাকে নিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে।'
সাকিব বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হলেও একটা পথ ধরে তাকে এগোতে হবে বলে মনে করেন ডমিঙ্গো। তিনি বলেন, 'এক বছর ধরে কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলেনি সে, তবে মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছে। সাকিব বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার, কিন্তু তারপরও একটা পথ ধরে এগোতে হবে তাকে।'
'অনুশীলনে থ্রো ডাউন এবং বোলিং মেশিনে খেলা আর ম্যাচে ১৪০ কিলোমিটার গতির বোলারকে খেলার মধ্যে অনেক পার্থক্য। পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পেতে ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে তারও কিছুটা সময় লাগবে। আমরা জানি, সে মানসম্মত ক্রিকেটার। আশা করি বাংলাদেশের হয়ে আগামী মৌসুম দুর্দান্ত কাটবে তার।'
শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিল সাকিবের। সিরিজটি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় মাঠে ফিরতে কয়েক দিনের অপেক্ষা বাড়বে তার। আগামী মাসের শেষের দিকে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরবেন সাকিব।
জুয়াড়ির কাছ থেকে তিনবার প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করায় ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব। আগামী ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হলেও সাকিবের ওপর বাড়তি দায়িত্ব থাকবে। আগামী এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা থাকবে তার ওপর। এ সময়ে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হবে বাংলাদেশ অলরাউন্ডারকে।