‘জেতা সম্ভব’ বলে বলেই সিরিজ শেষ

খেলা

টিবিএস রিপোর্ট
31 March, 2021, 06:50 pm
Last modified: 31 March, 2021, 06:56 pm
নিউজিল্যান্ড সফরে প্রতিটি ম্যাচের আগেই ‘জেতা সম্ভব’ বলে বলে আশার বেলুন ফুলিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রতি ম্যাচেই সঙ্গী হয়েছে হার। শেষ ম্যাচের আগেও সৌম্য সরকার শোনালেন একই আশার কথা।

নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বলে আসছেন, এবার জেতা সম্ভব। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, জয় অসম্ভব নয়। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ভাষায় ছিল, 'এবার সেরা সুযোগ।' এরপর প্রতিটি ম্যাচের আগেই 'জেতা সম্ভব' বলে বলে আশার বেলুন ফুলিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রতি ম্যাচেই সঙ্গী হয়েছে হার। 

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হারের বৃত্তে বন্দী। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের মুখোমুখি হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এই ম্যাচের আগেও মুখস্থ ভাষায় সৌম্য সরকার জানালেন, 'জেতা সম্ভব'। 

এরপর যে কথাটা বলেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, সেটাও যেকোনো ম্যাচের আগে বলে থাকে দলগুলো। তিন বিভাগে ভালো করতে পারলে জেতা সম্ভব- নিউজিল্যান্ড সফরে নিজেদের শেষ ম্যাচের আগে এভাবেই নিজেদের সম্ভাবনার কথা জানালেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করা সৌম্য।

নিউজিল্যান্ডে যে জেতা সম্ভব, এখনও সেই বিশ্বাস আছে সৌম্যর মনে। তবে জেতার জন্য তিন বিভাগেই যতোটা ভালো করা দরকার, ততোটা ভালো খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'এখানে জেতা সম্ভব। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলছি, একদিন বোলাররা ভালো করছি, একদিন ব্যাটসম্যানরা; এভাবে নয়। তিন বিভাগেই যদি ভালো করতে পারতাম তাহলে সহজ হতো, জয় পাওয়া সম্ভব হতো।'

সফরের শেষ ম্যাচে তাই তিন বিভাগেই ভালো করে জয়ে নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ। সৌম্য বলেন, 'আর একটা ম্যাচই বাকি আছে। যদি ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করতে পারি, তাহলে জেতা সম্ভব। গত ম্যাচে ফিল্ডিং অনেক ভালো ছিল। দুই-একটি ছোট ভুল হচ্ছে। এই ভুলগুলো যদি না করি, নিজেদের পক্ষে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় কালকের ম্যাচ জিততে পারব।'

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভুল লক্ষ্য জেনে ব্যাটিং করতে নামা ও নিজের ইনিংসটি নিয়ে সৌম্য বলেন, 'পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা অবশ্যই ছিল। যখন দুই ওপেনার ব্যাটিংয়ে গেছে, টার্গেট ঠিক ছিল না। মাঠের ভেতরে গিয়ে আম্পায়ারের সাথে কথা বললাম, উনি বললেন এমন একটা লক্ষ্য। ওভাবেই শুরু করি। প্রথম বলেই চার পেয়ে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। চেষ্টা ছিল দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার। উইকেটও ভালো ছিল। দিনশেষে ম্যাচ জিতলে আরও ভালো লাগতো।'

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.