‘ক্রিকেটে উন্নতি নয়, অধিনায়ক হয়ে ক্ষমতা ভোগ করতে চাইতেন সৌরভ’ 

খেলা

হিন্দুস্তান টাইমস
20 May, 2021, 02:15 pm
Last modified: 20 May, 2021, 02:22 pm
সম্প্রতি নতুন এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন চ্যাপেল।

সৌরভ গাঙ্গুলীর উপর অদ্ভূত একটা রাগ রয়েছে গ্রেগ চ্যাপেলের। কী কারণে, সেটা অবশ্য কারও জানা নেই। অথচ নিজেই স্বীকার করেছেন, তার ভারতের কোচ হওয়ার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল সৌরভেরই। কোথায় গিয়ে সমস্যা তৈরি হল গ্রেগ আর সৌরভের? সেই কারণটা এখনও অজানা। তবে গ্রেগ এখনও সহ্যই করতে পারেন না বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে।  

যখন কোচ ছিলেন, রাহুল দ্রাবিড়কে কার্যত ভিলেন করে সৌরভের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত তাকে দল থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তবু এখনও গ্রেগের রাগ কমেনি।  

নতুন করে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে গ্রেগ বলেছেন, 'সৌরভই প্রথম কোচিং করানোর কথা বলেছিল আমাকে। অন্য প্রস্তাব থাকলেও আমি তাই ভারতকে বেছে নিয়েছিলাম। আসলে ক্রিকেট পাগল এমন একটা দেশকে ছেড়ে দিতে মন সায় দেয়নি। প্রথম দু'বছর সময়টা খুবই কঠিন ছিল। মারাত্মক প্রত্যাশা ছিল। এদিকে সৌরভকে অধিনায়ক রাখা নিয়ে তীব্র সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আসলে ও বেশি পরিশ্রম করতে চাইত না। নিজের ক্রিকেটের উন্নতিও করতে চাইত না। ও শুধু চাইত অধিনায়ক থাকতে, যাতে সব কিছু ওর নিয়ন্ত্রণে থাকে।' 

এখানেই থেমে থাকেননি গ্রেগ। দ্রাবিড়ের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেছেন, 'ভারতকে বিশ্বের সেরা দল বানানোর পিছনে দ্রাবিড়ের বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু সবার সেটা ছিল না। দলে কী ভাবে টিকে থাকবে, শুধু সেটাই ভাবত। নতুনদের নেওয়ার ব্যাপারে দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা মাঝে মধ্যেই প্রতিবাদ জানাত। কারণ ওরা জানত ওদের দিন শেষ হয়ে আসছে। সৌরভকে বাদ দেওয়ার সময় অনেকে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। ওরা বুঝতে পেরেছিল যে সৌরভকে বাদ দেওয়া হয়েছে মানে, ওদেরও একদিন বাদ দেওয়া হবে।'

মজার বিষয় হল, সৌরভকে নিজে তাড়িয়ে ভারতীয় দলের কোচের চাকরি হারানোর জন্যও তাকেই দায়ী করেছেন গ্রেগ। তিনি বলেছেন, 'সৌরভ না থাকার সময়ে পরের ১২ মাস দারুণ কেটেছিল। কিন্তু সৌরভ ফিরতেই প্রতিবাদ শুরু হয় দলের ভিতরে। অনেক বর্ষীয়ান ক্রিকেটারই তখন প্রশ্ন তোলে, সৌরভের ফেরার কথা ছিল না। তা সত্ত্বেও তিনি দলে ফিরেছেন কী করে? এরপরেই একে একে ক্রিকেটারদের আস্থা হারাতে থাকি। দলের মধ্যে এই নিয়ে বিভাজনও তৈরি হয়। আমি আর চাপ নিতে পারছিলাম না। তাই বোর্ড নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিলেও আমি সই করিনি।'  

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.