সুপার লিগ খেললে নিষিদ্ধ হবেন ফুটবলাররাও!
ইউরোপিয়ান সুপার লিগে খেললেই নিষিদ্ধ হতে হবে; উয়েফার এমন হুমকির পরও বিদ্রোহী লিগটিতে নাম লিখেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনাসহ তিন দেশের শীর্ষ ১২টি ক্লাব। আরও তিনটি ক্লাবের নাম দ্রুতই ঘোষণা করা হবে। উয়েফার নিষেধাজ্ঞার হুমকির পরও ক্লাবগুলোর এমন সিদ্ধান্তে অবাক অনেকেই। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত এই লিগ আয়োজনের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
যদিও ক্লাবগুলো উয়েফার সঙ্গে বিরোধে জড়াতে চায় না। উয়েফা ও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সঙ্গে আলোচনা করেই নতুন এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চায় ক্লাবগুলো। কিন্তু উয়েফা তাদের সিদ্ধান্ত অবিচল, যেকোনো মূল্যে এই টুর্নামেন্ট বন্ধ রাখার চেষ্টা করবে তারা। লিগে অংশ নিলে সব ধরনের ফুটবল থেকে ক্লাবগুলোকে নিষিদ্ধ করা হবে। শুধু ক্লাবই নয়, এই লিগে অংশ নিলে ফুটবলারদের নিজ দেশের জাতীয় দলেও নিষিদ্ধ করা হবে।
এক বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, 'ক্রীড়াগত ও আইনিভাবে যা করা সম্ভব, এই প্রকল্প থামাতে তার সবকিছুই করব আমরা। সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোকে অন্য সব ঘরোয়া, ইউরোপিয়ান ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করা হবে এবং তাদের ফুটবলারদের জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া নাও হতে পারে।'
রোববার রাতে ইউরোপের ১২টি ক্লাব বিবৃতি দিয়ে জানায়, প্রস্তাবিত এই লিগে তারা যোগ দিতে যাচ্ছে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৩ বছরের চুক্তি হয়েছে সুপার লিগের। লিগটিতে অংশ নিতে স্পেন থেকে নাম লিখিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
ইতালি থেকে যোগ দিচ্ছে জুভেন্টাস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। ইংল্যান্ড থেকে সর্বোচ্চ ৬টি ক্লাব যোগ দিচ্ছে। ক্লাবগুলো হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি ও টটেনহ্যাম হটস্পার।
এই ১২ ক্লাবের সঙ্গে আরও তিনটি ক্লাব দ্রুতই যোগ দেবে বলে জানিয়েছে সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ। ১৫ ক্লাবের সঙ্গে প্রতি বছর কোয়ালিফাই করে আসা ৫ ক্লাবসহ মোট ২০ দল নিয়ে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। আরও দুই শীর্ষ লিগের আয়োজক দেশ জার্মানি ও ফ্রান্সের কোনো ক্লাব এখনও সুপার লিগে নাম লেখায়নি।