'সপ্তম বা ত্রয়োদশ ওভারে বল করা উচিত কোহলির'
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ষষ্ঠ বোলার হবেন কে, এ নিয়ে বড়সড় ভাঁজ পড়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে। তবে এ সমস্যা সমাধানে একটি চমকপ্রদ পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক উইকেটরক্ষক দীপ দাশগুপ্ত।
হার্দিক পান্ডিয়া তার কোঠার চার ওভার বল করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এজন্যই ভারতের প্রয়োজন একজন ষষ্ঠ বোলার। দাশগুপ্তের মতে, সেই বোলারটি হতে পারেন স্বয়ং দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
ইনিংসের কোন পর্যায়ে বল করবেন কোহলি? নির্দিষ্ট করে সেটিও বলে দিয়েছেন দাশগুপ্ত। কোহলি বল করতে পারেন পাওয়ারপ্লের ঠিক পরে কিংবা ডেথ ওভারের আগে।
সেক্ষেত্রে কোহলি বল করতে পারেন সপ্তম বা ত্রয়োদশ ওভারে, কেননা পরিসংখ্যান বলছে, এই দুই ওভারেই ব্যাটিং দল সবচেয়ে কম রান তুলতে পারে।
"প্রয়োজন পড়লে বিরাট কোহলির বোলিং একটি অপশন হতে পারে, যদি আপনি আউটসাইড দ্য বক্স চিন্তা করেন। কোহলি নিজেও অবশ্যই সাবধানী হবেন যে কোন সময়ে নিজেকে বোলিংয়ে নিয়ে আসবেন। সেটি হতে পারে সপ্তম বা ত্রয়োদশ ওভার। আপনি যদি পরিসংখ্যানে চোখ বোলান, সাধারণত এই দুই ওভারে খুব বেশি রান হয় না,'' নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন দাশগুপ্ত।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দুই ওভার বল করেছেন কোহলি। এর আগেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বল হাতে দেখা গেছে তাকে। ২০১৬ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে কবজি ঘুরিয়েছিলেন তিনি। তুলে নিয়েছিলেন জনসন চার্লসের উইকেটও।
এদিকে হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিং নিয়ে অনিশ্চয়তার ফলে টিম কম্বিনেশনকে ঘিরেও উদয় হয়েছে বেশ কিছু প্রশ্নের। ৭ নম্বরে ব্যাট করবেন কে, সে প্রশ্নের জবাবে দাশগুপ্ত নিয়েছেন শারদুল ঠাকুরের নাম। ইংল্যান্ডে স্মরণীয় টেস্ট সিরিজের পর আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বেও ভালো করেছেন তিনি।
অবশ্য ঠাকুরের জন্য ৮ নম্বরে ব্যাটিংই যে বেশি সহায়ক হতে পারে, সে কথা উল্লেখ করতেও ভোলেননি দাশগুপ্ত।
"আমার মতে শারদুলকে ৮ নম্বর ব্যাটিংয়েই বেশি মানায়। কিন্তু তাকে এক ধাপ এগিয়েও আনা যেতে পারে। ভারত যদি পাঁচজন বোলার নিয়ে খেলে, তবে আমার মনে হয় তাদের তিনজন হওয়া উচিত পেসার। এতে করে দলের জন্য চক্রবর্তী [বরুণ] ও বুমরাহর [জসপ্রিত] ওভারগুলো ব্যবহারও অনেক বেশি সহজ হবে।"
লম্বা পরিসরের ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ইতোমধ্যেই নিজের জাত চিনিয়েছেন ঠাকুর। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা একেবারেই ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ। জরুরি মুহূর্তে উইকেট তুলে নিয়ে ঠাকুর হয়তো দলে নিজের গুরুত্ব প্রমাণ করেছেন, তারপরও তাকে দলে নেওয়ার অর্থ ভুবনেশ্বর কুমার কিংবা হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অভিজ্ঞদের মধ্যে একজনকে বাদ দেওয়া।