রোনালদোর মায়ের আশা পূরণ হচ্ছে না
তিনি ফুটবলের ফেরিওয়ালা, নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ায় যেন অন্যরকম এক প্রশান্তি মেলে তার। নতুন ঠিকানায় যান, আর নতুন কীর্তি গড়েন। হ্যাঁ, তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ড পায়ে লুটিয়েছে তার। যদিও জুভেন্টাসে আগের মতো করে সময় কাটাতে পারছেন না তিনি। বরং খারাপ সময় যাচ্ছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে জুভেন্টাস বিদায় নেয় বেশ আগেই। টানা নয় মৌসুম পর হাতছাড়া হয়েছে সিরি 'আ'র শিরোপা। ফাইনালে উঠেও কোপা ইতালিয়া জিততে পারেনি দলটি। এমনকি আগামী মৌসুমে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলাও শঙ্কার মুখে। সব মিলিয়ে রোনালদোকে দলে ভোড়ানোর লক্ষ্য সামান্যই পূরণ হয়েছে জুভেন্টাসের।
রোনালদো তার কাজটি অবশ্য ঠিকই করে যাচ্ছেন। এই মৌসুমেও এখন পর্যন্ত ২৮ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার শীর্ষে তিনি। কিন্তু দল হিসেবে ভালো করতে পারছে না জুভেন্টাস। তাই ভালো পারফর্ম করেও দলে তার অবস্থান আগের মতো নেই। এ কারণে ক্লাব ছাড়ার চিন্তা ভাবনা করছেন রোনালদো, এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
বলা হচ্ছিল আগ্রহী ক্লাবের তালিকায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পিএসজির নাম থাকলেও রোনালদো তার শৈশবের ক্লাব স্পোর্টিং লিজবনে ফিরতে পারেন। যদিও আপাতত এমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন রোনালদোর এজেন্ট হোর্হে মেন্দেস। তার কথায় মনে হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সাল পর্যন্ত রোনালদো জুভেস্টাসেই থাকবেন।
হোর্হে মেন্দেস বলেন, 'স্পোর্টিং লিজবনের শিরোপা জেতা নিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো গর্বিত এবং এটা সে সবার সামনে বলেছেও। কিন্তু এই মুহূর্তে তার পরিকল্পনায় পর্তুগালে ফেরার বিষয়টি নেই।'
রোনালদোর পর্তুগালে ফেরার বিষয়টি ডালপালা মেলে মূলত তার মা দেলোরেস আভেইরার একটি মন্তব্যে। আভেইরা জানান, ছেলেকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন। তিনি বলেন, 'পর্তুগালে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে আমি ওর সঙ্গে কথা বলব। আগামী বছর সে আলভালাদেতে (স্পোর্টিং লিসবনের স্টেডিয়াম) খেলবে।' কিন্তু রোনালদোর মায়ের এমন আশা আপাতত পূর্ণ হচ্ছে না।
স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন রোনালদো। বয়সভিত্তিক দল থেকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে লিসবনের মূল দলে জায়গা করে নেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। পরের বছরই ডাক আসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে। ইংলিশ ক্লাবটিতে ৬ বছর খেলে ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমান তিনি। ২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখান রোনালদো।