মাহমুদউল্লাহর সংবাদ সম্মেলন থামিয়ে স্কটল্যান্ডের জয়োৎসব
কিছুক্ষণ আগেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম তখন বিষাদের নগরী। যে যার মতো শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে হয়তো মনে মনে হারের কারণ খুঁজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অধিনায়ক হওয়ায় মাহমুদউল্লাহর সেই সুযোগ নেই। এর মাঝেই তাকে যেতে হয় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে। কিন্তু সেটাও আর ঠিকভাবে করতে পারলেন কই! স্কটল্যান্ডের জয়োৎসব কিছুক্ষণের থামিয়ে জন্য থামিয়ে দেয় সংবাদ সম্মেলন।
১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩৪ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ৬ রানের হারের পেছনে কী কারণ, সেটা ব্যাখ্যা করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পাশেই তখন চলছিল স্কটল্যান্ডের জয়োৎসব। মাসকাটের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ও ড্রেসিংরুম পাশাপাশি হওয়ায় স্কটিশদের উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠ ভেসে আসছিল মাহমুদউল্লাহর কানেও।
বড় কোনো জয়ের পর বাংলাদেশ যেমন যেমন ড্রেসিংরুমে 'আমরা করব জয়' গেয়ে থাকে, স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটাররা সেভাবে গলা ফাটিয়ে এক সাথে গান গেয়ে যাচ্ছিলেন, করছিলেন উদযাপন। তাতে কথা বলতে গিয়ে যেন মনোযোগই হারিয়ে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক তাই কিছুক্ষণের জন্য কথা থামিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। আওয়াজ কমার পর আবার কথা বলতে শুরু করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইসিসির পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এমনই দেখা গেছে। ২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে প্রায় পুরোটা সময় মাহমুদউল্লাহকে মুখে হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।
পরে ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে ব্যাটিংয়ের কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'আমি হতাশ। এই মুহূর্তে আমার হতাশ না হয়ে কোনো উপায়ও নেই। বারবারই বলছি, ব্যাটিংটাই আমাদের মূল চিন্তার বিষয়। আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে।'
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারই প্রথম স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতাটা মনে রাখার মতো হলো না। উল্টো এই ফরম্যাটে নিজেদের দাপট ধরে রাখলো স্কটিশরা। এই ম্যাচের আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড একটি ম্যাচই খেলেছে। ২০১২ সালের সেই ম্যাচেও জয় পেয়েছিল স্কটল্যান্ড।