মাশরাফিকে ছুঁয়ে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ
জিম্বাবুয়ে সফরে দারুণ সময় কাটানো বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে আরও মধুর সময় পার করলো। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে যেন জিম্বাবুয়ের মতো করেই হারালো ঘরের মাঠের দলটি। এই সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেখানে ৪-০ তে পিছিয়ে ছিলো বাংলাদেশ, সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রায় অস্ট্রেলিয়ার সমান। মোট সাক্ষাতে স্কোর লাইন এখন ৫-৪।
ঘরের মাঠে যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শক্তিশালী বাংলাদেশ পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে। টি-টোয়েন্টিতে নিশ্চয়ই এটা বাংলাদেশের বিরাট সাফল্য।
এই সাফল্যে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুউল্লাহ রিয়াদ অধিনায়কত্বে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহর জয় এখন সমান, ১০টি করে। আরেকটি জয়েই টি-টোয়েন্টিতে দেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতানো অধিনায়ক হয়ে যাবেন মাহমুদউল্লাহ।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ২৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। সাবেক এই অধিনায়কের নেতৃত্বে ১০টি ম্যাচে জেতে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফির জয়ের গড় ৩৭.৩ শতাংশ। মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ২২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। মাশরাফির চেয়ে ৬ ম্যাচ কম খেলে ১০টি ম্যাচে জিতেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, তার জয়ের গড় ৪৫.৪৫ শতাংশ। যা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত সাতজন অধিনায়ক বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে শাহরিয়ার নাফিস ও লিটন কুমার দাস একটি করে ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এক ম্যাচে জেতায় নাফিসের জয়ের গড় শতভাগ। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া লিটন অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ জিততে পারেননি।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সফল পাঁচ অধিনায়ক:
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: ২২ ম্যাচে ১০ জয় (গড়- ৪৫.৪৫)
মাশরাফি বিন মর্তুজা: ২৮ ম্যাচে ১০ জয় (গড়-৩৭.০৩)
মুশফিকুর রহিম: ২৩ ম্যাচে ৮ জয় (গড়- ৩৬.৩৬)
সাকিব আল হাসান: ২১ ম্যাচে ৭ জয় (গড়- ৩৩.৩৩)
মোহাম্মদ আশরাফুল: ১১ ম্যাচে ২ জয় (গড়- ১৮.১৮)