মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নেইমার, পাশে থাকার বার্তা দিলেন সিলভা

খেলা

টিবিএস রিপোর্ট
14 October, 2021, 10:50 am
Last modified: 14 October, 2021, 12:55 pm
ক্লাব ও জাতীয় দলে একই সঙ্গে খেলেছেন, এমন তারকাদের মধ্যে নেইমার-সিলভা জুটি অন্যতম।

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিলীয় তারকা নেইমারের। না, খেলার মাঠে অতটা বিপর্যস্ত নন তিনি, যতটা মানসিকভাবে! মাত্র কিছুদিন আগেই প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই তারকা জানিয়েছেন, ২০২২ বিশ্বকাপই হতে পারে তার শেষ বিশ্বকাপ। তাই নেইমারের এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তার সতীর্থ থিয়াগো সিলভা।

ক্লাব ও জাতীয় দলে একই সঙ্গে খেলেছেন, এমন তারকাদের মধ্যে নেইমার-সিলভা জুটি অন্যতম। আগেও নেইমারের বিপদের দিনে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়েছেন সেলেসাও ডিফেন্ডার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

এক দশক ধরে ব্রাজিল জাতীয় দলে নেইমারের সঙ্গে খেলছেন সিলভা। একসময় নেইমারের বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইয়েও খেলেছেন তিনি। বিশ্বখ্যাত একজন সেন্টার-ব্যাক হিসেবে নেইমারের মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন সিলভা। কোনো খেলোয়াড়ের গায়ে 'ছিচকাঁদুনে ও মানসিকভাবে দুর্বল' ট্যাগ লাগানো যে ভীষণ কষ্টের, তাও বলেন তিনি। তাই ফুটবলের প্রতি নেইমারের ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে তাকে যথেষ্ট সমর্থন দিতে তিনি প্রস্তুত।

প্রতিবেদকদের সিলভা বলেন, "জাতীয় দলে আমিও নেইমারের মতো একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি; বিশেষত, ২০১৪ বিশ্বকাপের পর। আমাকে 'খুবই দুর্বল, ছিঁচকাদুনে' বলা হয়েছিল। এই বিষয়গুলো আপনাকে খুবই কষ্ট দিবে, যখন আপনি জানেন যে আপনি আসলে এরকম নন", বলেন সিলভা।

চেলসি তারকা আরও বলেন, "আমি আশা করি, সে জীবনের আনন্দ হারিয়ে ফেলবে না। এতদিন যেমনটা ছিল, তেমনই থাকবে। যখন নেইমার খুব খুশি থাকে, যা ভালোবাসে তা ই করতে পারে; তখন সে একজন বিশেষ খেলোয়াড় হয়ে ওঠে"।   

নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নেইমারের সাথে অন্তরঙ্গ একটি মুহূর্তের ছবি দিয়ে সিলভা ক্যাপশনে লিখেন, "তোমার যদি দুঃসময়ে কাউকে পাশে দরকার হয়, জেনে রেখো, আমি আছি। সিলভা পরিবার তোমাকে ভালোবাসে।" 

স্পোর্টস স্ট্রিমিং সার্ভিস 'ড্যাজন'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেইমার জানান, আর বেশিদিন ফুটবল খেলার মতো শক্তি তার মধ্যে নেই। তাই ২০২২ বিশ্বকাপই হতে পারে তার শেষ বিশ্বকাপ।

"তাই আমি সেখানে (বিশ্বকাপে) ভালো করার ও দেশের জন্য কিছু জেতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ছোটবেলা থেকে যে স্বপ্ন দেখে এসেছি, তা পূরণের চেষ্টা করবো। আমি আশা করি, আমি পারবো।"

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে 'মানসিক স্বাস্থ্য' একটি প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ফুটবলে জগতে। এরই মধ্যে একাধিক খেলোয়াড় তাদের ব্যক্তিগত সংগ্রাম নিয়ে মুখ খুলেছেন। নিজের সমস্যা ও কষ্ট চাপা না রেখে, কারো সাথে শেয়ার করা ও সাহায্য নেওয়া যে খুবই স্বাভাবিক, সেটিই বোঝানোর চেষ্টা করছেন তারা। এ বছর জ্যাক উইলশার, টাইরন মিংস ও ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের পর নেইমারও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোলামেলা কথা বলা তারকাদের দলে যুক্ত হলেন।  

         

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.